--- বিজ্ঞাপন ---

সিরিয়ায় মার্কিন অভিযানে নিহত ১৬শ

0

নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ায় রাক্কায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে অন্তত ১৬০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। ব্রিটিশ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও পর্যবেক্ষণ সংস্থা এয়ারওয়াস জানায়, তারা ২০০টি স্থানে বিমান হামলা নিয়ে তদন্ত করে এক হাজার নিহতের পরিচয় জানতে পেরেছেন। ২০১১ সালে আইএস রাক্কাকে রাজধানী ঘোষণা করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ শুরু করে। গোষ্ঠীটির নতুন নামকরণ হয় ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এ্যান্ড দি লেভান্ট (সিরিয়া)। এক সময় ইরাক-সিরিয়ার ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় জঙ্গিগোষ্ঠীটি। তাদের খেলাফতের অধীনস্ত হয় প্রায় এক কোটি মানুষ। তবে মার্কিন ও রুশ বাহিনীর বিমান হামলার পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিরোধ-যুদ্ধে পাঁচ বছর পরে এখন খেলাফত সঙ্কুচিত হয়ে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে সিরিয়ার ইউফ্রেটিস নদীর এক বাঁকে। এবার মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত সেই বাঘুজেতে বিজয় নিশান উড়িয়েছে কুর্দিদের সংগঠন ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের’ (এসডিএফ)’ যোদ্ধারা। এর মাঝেই মার্কিন বিমান হামলায় বিশালসংখ্যক বেসামরিক নিহত হয়েছেন। অ্যামনেস্টি ও এয়ারওয়ার্স মার্কিন জোটকে ‘দুই বছর ধরে’ বেসামরিক হত্যা নিয়ে নিজেদের অস্বীকৃতির অবস্থান থেকে সরে আসার আহ্বান জানায়। মার্কিন জোটের দাবি, এই অভিযানে হতাহতের সংখ্যা ১৮০ জন। কামান্ডারদের দাবি, তারা বেসামরিকদের সুরক্ষার ব্যাপারে সচেতন। ২০১৪ সাল থেকে তারা সিরিয়া ও ইরাকে ৩৪ হাজার হামলা চালিয়েছে। অ্যামনেস্টি ও এয়ারওয়ার্স জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের হামলায় সরাসরি প্রাণ হারিয়েছেন এমন মানুষের তালিকা তৈরি করেছে। অ্যামনেস্টির সিনিয়র ক্রাইসিস রিসপন্স এডভাইজার ডোনাটেল রোভেরা বলেন, ‘আইএস সদস্যরা বোমা পুতে রেখে, স্নাইপার দিয়ে মৃত্যুফাঁদ বানিয়ে রেখেছিলো। তারপরও জোটের হামলায় অসংখ্য মানুষ মারা গেছে। তিনি বলেন, জোটের হামলা রাক্কা ধ্বংস হয়ে গেছে, এই সত্য মুছে ফেলা যাবে না। বিবিসি, রয়টার্স।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.