--- বিজ্ঞাপন ---

উড়ন্ত ইংল্যান্ডের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা

0

অপেক্ষার পালা শেষ। বিশ্বকাপ শুরুর ক্ষণগননা, প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়া সবই শেষ। বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ এর প্রথম ম্যাচে আজ স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কাগজে-কলমে এবং নিজেদের কন্ডিশনের কারনে ইংল্যান্ড থাকবে অনেকটা এগিয়ে। তবে ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করাই যায়। লর্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় ম্যাচটি শুরু হবে।

সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় ইংলিশরাই এগিয়ে। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ৮৮ ম্যাচে ৫৮ জয় নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে মরগানের দল। অন্যদিকে গত বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ খেলেছে ৭৪টি। যার মধ্যে জয় ৪৭টি। জয়ের হারের দিকে দিয়ে ইংল্যান্ড প্রথম অবস্থানে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয়।

ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অধিনায়ক এউইন মরগান, জস বাটলার, মঈন আলী, জনি বেয়ারস্টো দলের মূল ভরসা। বল হাতে ক্রিস ওকস, জোফরা আর্চার ও আদিল রশিদ প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কের নাম। এছাড়া অলরাউন্ডার হিসেবে বেন স্টোকস ও টম কুরানতো আছেনই। অপরদিকে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস, কুইন্টন ডি কক ও অভিজ্ঞ হাশিম আমলার সমন্বয়ে আফ্রিকানদের ব্যাটিংও যথেষ্ঠ সমীহ জাগানিয়া। বল হাতে ডেল স্টেইন, কাগিসো রাবাদা ও ইমরান তাহির প্রোটিয়াদের ধাঁরালো অস্ত্র। ব্যাট ও বল হাতে নৈপুন্য দেখাতে ডুমিনি ও ক্রিস মরিস প্রস্তুত আছেন।

এবার আসি দুই দলের সর্বশেষ ৫টি সাক্ষাতের ফল নিয়ে। এখানে অনেক এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। চার জয়ের বিপরীতে এক হার হজম করেছে দলটি। ২০১৭ সালের শেষ দেখায় ৭ উইকেটে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। রাবাদার বোলিংতোপে ১৫৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি ইংলিশরা। এর আগের ম্যাচে ৫ উইকেটে হারে ইংল্যান্ড। তার আগের ম্যাচটাই সান্ত¦না ইংলিশদের জন্য। সেই ম্যাচে মঈন আলির অলরাউন্ড নৈপুন্যে ৭২ রানে জয় পায় তারা। পরের দুটি ৫ উইকেট ও ১ উইকেটে জয়ী হয় প্রোটিয়ারা।

প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে দুই দলই নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারায় ৮৭ রানে। ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরের ম্যাচটি বৃষ্টিতে পন্ড হয়ে যায়। ইংল্যান্ড প্রথম প্রস্ততিমূলক ম্যাচে অস্টেলিয়ার কাছে ১২ রানে হেরে গেলেও পরের ম্যাচে ঘুরে দাড়িয়েছে। আফগানিস্থানের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে স্বস্তি ফিরেছে স্বাগতিক শিবিরে।

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে কোথাও এগিয়ে ইংল্যান্ড, আবার কোথাও দক্ষিণ আফ্রিকা। এককভাবে কাউকেই এগিয়ে রাখতে পারছেন না কেউ। তাই দুই জায়েন্টের একটি জমজমাট লড়াইয়ের আশা করাই যায়। আর এই দুই দলের উপরই সজাগ দৃষ্টি থাকবে বাংলাদেশ দলের। কারণ রাউন্ড-রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতিপক্ষ দু’তিন দলে সীমাবদ্ধ নেই। সবার প্রতিপক্ষ এবার সবাই।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.