--- বিজ্ঞাপন ---

একান্ত সাক্ষাতকারে সাইফ পাওয়ারটেক এমডি তরফদার রুহুল আমিন

0

তরফদার রুহুল আমিন। চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক। দেশের একজন স্বনামধম্য ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব । চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসা কর্মকান্ডের সাথে জড়িত তিনি। বন্দরের বেসরকারী টার্মিনাল  অপারেটর ও নিউমুরিং টার্মিনালের স্বত্বাধিকারী শিল্পপতি তরফদার রুহুল আমিন ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল সভাপতি। বাংলাদেশের সংবাদকে  দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকান্ড ও ক্রীড়াঙ্গনের  সাথে তাঁর সম্পৃক্ততা সহ তাঁর কর্মময় জীবনের নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সাক্ষাতকারটি গ্রহণ করেছেন সম্পাদক কাজী আবুল মনসুর

আপনি তো দীঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের  সাথে  জড়িত আছেন, বন্দরের বেসরকারী র্টার্মিনাল অপারের্টিং কাজের সাথে কিভাবে যুক্ত হলেন ?

আসলে এটা ২০০৪ সালের কথা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তখন জাপান থেকে গ্যান্ট্রি ক্রেন ক্রয় করে জাপানের মিৎসুবিশি ও সুমোটোমো কোম্পানীর এ প্রকল্পের সাথে জড়িত ছিল এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান এ কোম্পানীর স্থানীয় কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করছিলাম। চুক্তি ছিল  বন্দর কর্তৃপক্ষ গ্যান্ট্রি ক্রেন চালু করলে এ কাজের মেনটেইনেন্স করব আমরা। অপারেশন করবে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ।  ঐ অপারেশনও  সুপারভাইজ করবে আমাদের প্রতিষ্ঠান বিদেশী বিশেষজ্ঞ দিয়ে। এসময় বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের  অপারেটর দিয়ে গ্যান্ট্রি ক্রেন চালানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু আধুনিক এসব গ্যান্ট্রি ক্রেন চালানোর মত অভিজ্ঞতা না থাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে হোঁচট খায়। পরবর্তীতে এ কাজের জন্য ওপেন টেন্ডার আহ্বান করে প্রাইভেট অপারেশনে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারের  সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাদের প্রতিষ্ঠান ’মেসার্স সাইফ পাওয়ার টেক’ দুবাই  পোর্টসহ বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অপারেটর এনে গ্যান্ট্রি ক্রেন অপারেশন চালু করেছিলাম। এবং সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা পরে টার্মিনাল অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করি।

প্রাইভেট অপারেটর হিসেবে আপনাদের প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাইফ পাওয়ার টেক দায়িত্ব নেয়ার পর কন্টেইনার হ্যান্ডলিংসহ বন্দরের উন্নয়ন কর্মকান্ড কতটা  বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

অবশ্যই বেড়েছে, ২০০৭ সালের মার্চ মাসে যখন আমরা অপারেটর হিসেবে অপারেশন শুরু করি এর আগে যেখানে  চট্টগ্রাম বন্দরের চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনালে  তখন বছরে  ২ লক্ষ ১০ হাজার  টিইউএস কন্টেইনার  উঠানামা হত । আমরা দায়িত্ব নেয়ার এক বছরের মাথায় এ সংখ্যা বৃদ্ধি করে প্রথম দিকে সাড়ে তিন লক্ষ থেকে পৌণে চার লক্ষ এবং পরে এ সংখ্যা বৃদ্ধি করে  দ্বিগুনেরও বেশী  পাঁচ লক্ষ টিইউএস-এ উন্নীত করতে সক্ষম হই। এ সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার কারণে আমদানী রফতানীকারকগণ তাদের পণ্য দ্রুত রফতানী ও খালাস করতে পারছে। চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব আয়ও এর ফলে বেড়েছে। আমি বলব চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার  হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে এটা একটা বড় পরিবর্তন্‌ ।

চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে বিদেশের অন্যান্য বন্দরের মধ্যে পার্থক্য কি ?

আসলে চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে কলকাতা কিংবা শ্রীলংকার বন্দরের মত এন্ডিং বন্দর । এটা সিঙ্গাপুর বন্দরের মত কোন ট্রানজিট বন্দর নয়। অবকাঠামোগত কারণে  এখানে  কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের একটি  প্রধান সমুদ্র বন্দর। দে্শের নব্বই শতাংশ আমদানী রফতানী পণ্যই এ বন্দর দিয়ে উঠানা্মা করে থাকে। এখানে যেসকল পণ্য আসে সেগুলি আর অন্য কোন দেশে ট্রান্সশিপমেন্ট হয়না। সিঙ্গাপুর বন্দর বিশ্বের একটি ট্রান্সশিপমেন্ট হাব এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে  এর সাথে তুলনা করলে চলবেনা। তবে বর্তমান সরকার জাতীয় প্রবৃদ্ধির সাথে মিল রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তাছাড়া এখন বন্দরের অবস্থা আগের চাইতে অনেক ভাল।

সাইফ পাওয়ার টেক এখন চট্টগ্রাম বন্দরের কত ভাগ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করছে ?

সাইফ পাওয়ার টেক অপারেশন শুরু করার পর চট্টগ্রাম বন্দর গত বছর ২৫ লক্ষ টিইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করে । এখানে আমাদের সংখ্যা ১৪ লক্ষ টিইইউএস কন্টেইনার। এবছর ২০১৮ সালে আমরা প্রায় ১৫ লক্ষ টিইউএস অতিক্রম করতে যাচ্ছি। সব মিলিয়ে  আমাদের প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ার টেক চট্টগ্রাম বন্দরের মোট কন্টেইনার উঠানামার ষাট ভাগ কন্টেইনারই হ্যান্ডলিং করছে সফলতার সাথে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব বহুলাংশে বেড়ে গেছে যা  বাংলাদেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধির হারের সাথে পাল্লা দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখে চলেছে।

কন্টেইনার অপারেটর হিসেবে আপনারা কত বছর হল জড়িত আছেন ?

বাংলাদেশে একমাত্র প্রাইভেট কন্টেইনার টার্মিনাল অপারেটর হিসেবে সাইফ পাওয়ার টেক দশ বছর টার্মিনাল অপারেশনের সাথে জড়িত রয়েছে ।

অতীতে দেখা গেছে শুরুতে সাইফ পাওয়ার টেক যখন কাজ শুরু করছিল তখন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এর বিরোধীতা করেছিলেন, ব্যাপারে আপনাদের বক্তব্য কি ?

আসলে ঐ সময় কনসেপ্টটি ভিন্ন ছিল। আগে একটা কনসেপ্ট ছিল যে, সরকারের কাজগুলো সরকার নিজে নিজেই চালাবে।সরকারী পর্যায়ে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকায় বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী সমাজ যথাযথ সেবার বন্দর কর্তূপক্ষের কাছ থেকে পাচ্ছিলনা।মান ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছিল।পৃথিবীর প্রায় বেশীর ভাগ বন্দরই বর্তমানে বেসরকারী পর্যায়ে অপারেটর নিয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ।এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম চেম্বার সহ বন্দর ব্যবহারকারীগণের দাবী জানাচ্ছিল যে, চট্টগ্রাম বন্দরের এই কার্যক্রমকে যাতে প্রাইভেট অপারেশনের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। এক্ষেত্রে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীগণের যুক্তি ছিল এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকান্ডে দক্ষতা বেড়ে যাবে।এ দক্ষতা বাড়াতে গিয়ে বন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট গুটি কয়েক লোকের অসুবিধা হয়েছিল যারা সাবেক মেয়রকে ভুল বুঝিয়েছিলে্ন।পরে ব্যবসায়ী বন্দর ব্যবহারকারীগণ বিষয়টি নিয়ে মেয়র মহোদয়ের সাথে দেখা করে পুরো ব্যাপারটি তাঁকে বুঝিয়ে বললে তিনি অনুধাবন করতে পারলেন যে, তাঁকে মহলবিশেষ ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তাঁকে  বুঝিয়েছিল। এরপর তিনি  ভুল বুঝতে পেরে এ বিষয় নিয়ে কোন সভা কিংবা ফোরামে আর উচ্চবাচ্য করা থেকে বিরত থাকেন।

বন্দর ব্যবহারকারীগণ বিশেষ করে পোশাক রফতানীকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর তরফ থেকে বিভি্ন্ন সময়ে অভিযোগে বলা হয়ে থাকে চট্টগ্রাম বন্দরে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে  যে  কারণে তাদের পণ্য ডেলিভারী করতে অনেক সময় লেগে যায় একজন বেসরকারীঅপারেটর হিসেবে আপনি বিষয়টিকে কিভাবে দেখেন?

আসলে অভিযোগটি  সঠিক নয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ যে সকল যন্ত্রপাতি এনেছে এবং আমরা যেগুলি আমদানী করছি এগুলি সবই আধুনিক। বিষয়টি হচ্ছে অবকাঠামোগত কারণ। আমাদের বন্দর কোন ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর নয় বিধায় এখানে অটোমেশনের যন্ত্রপাতি ব্যবহারযোগ্য নয় । যেমন, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি বন্দর সমূহে কন্ট্রোলরুম থেকে সকল অপারেশন নিয়ন্ত্রিত হয় লোকবলের  তেমন প্রয়োজন হয়না। এবং সেখানকার যন্ত্রপাতিও অবকাঠামো অনুপাতে স্থাপন করা হয়। আমাদের দেশে এখনও সে সময় আসেনি। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে যেসকল যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগলি স্ট্যান্ডার্ড ও আধুনিক ।

এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারণে আপনি একজন ব্যস্ত ব্যবসায়ী হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত  হঠাৎ করে আপনাকে ইদানিং খেলার মাঠে ফুটবল নিয়ে সময় দিতে দেখা যায় এজন্য অনেকে  আপনাকে একজন ফুটবলপ্রেমী হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন ব্যাপারে কিছু বলুন

আসলে বাংলাদেশের সর্বত্র ফুটবল চেনেনা এমন লোক খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। সেই ছোট্ট বেলা থেকেই আমরা ফুটবলের সাথে পরিচত হয়ে আসছি। দেশের  গ্রামে-গঞ্জে এবং সর্বত্র খোঁজ নিলে দেখা যাবে আমরা ভুমিষ্ট হওয়ার পর থেকে দু’এক মাসের মধ্যে আমরা বাচ্চাদের ফুটবল কিনে দেই । বল নিয়ে তারা নাড়াচাড়া করে লাথি দেয়। এভাবে ফুটবলের সা্থে তাদের পরিচিত করাই। আমি মনে করি এ ফুটবল বাঙালী জাতির রক্তের সাথে মিশে আছে । অর্থনীতিতে সর্বক্ষেত্রে যেখানে দেশ উন্নতি করছে এগিয়ে যাচ্ছে।খেলাধুলায় ক্রিকেটে আমরা লাল সবুজ পতাকাকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি্। অথচ ফুটবলে আমরা যেখানে আরও আগে এগিয়ে যেতে পারতাম কিন্তু পারিনি। বিশ্ব ফুটবল অঙ্গনে আমাদের অবস্থান আজ সবার নীচে অথ্যাৎ আমরা দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছি। এই পিছিয়ে যাওয়া থেকে ফুটবলকে একটি ভাল অবস্থানে দাঁড় করাতে  আমরা দেশব্যাপী কাজ করে যাচ্ছি।

 ফুটবলের উন্নয়নে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

আমাদের মাঠ পর্যায়ে  খেলোয়াড় তৈরী করার যে পাইপ লাইন যথাযথ রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে সেটা ধ্বংস হয়ে গেছে বলা যায় । এ হাল থেকে ফুটবলকে রক্ষা করতে নতুন নতুন খেলোয়াড় তৈরী করার লক্ষ্যে  আমরা জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা স্বল্প মেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ পর্যায়ে আমরা দেশব্যাপী অনুর্দ্ধ-২০ বয়সের খেলোয়াড়দের বাছাই পর্বের টুর্ণামেন্ট চালু রেখেছি। আগামী মার্চ-এপ্রিলের দিকে বিভাগীয় পর্যায়ে হোম-এওয়ে টুর্ণামেন্ট এর আয়োজন করছি এবং এ টুর্ণামেন্ট থেকে ২০০ জনকে বাছাই করে তাদেরকে দীর্ঘ  মেয়াদে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে যাতে ভবিষ্যতে একটা শক্তিশালী জাতীয় দল গঠন করা যায়। এতো গেলো স্বল্প মেয়াদের প্রশিক্ষণের কথা। দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ফুটবল ফেডারেশনের সহযোগিতা প্রয়োজন যা আমরা এ পর্যায়ে পাচ্ছিনা। আগামী  ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আমরা যাতে ফুটবল ফেডারেশনকে ঢেলে সাজাতে পারি। যাতে আগামী ৫/৭ বছরের মধ্যে বিশ্ব মানচিত্রে অন্তত: এশিয়া পর্যায়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি । ভবিষৎে ফুটবলে বিশ্ব মানচিত্রে  একদিন লাল সবুজের পতাকাকে  উন্নীত করবো সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।

আপনি তো চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের পরিচালক ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান, সাইফ পাওয়ার টেক গ্রুপ পরিচালিত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব এরও কর্ণধার আপনি, ক্লাব পর্যায়ে আপনাদের পরিকল্পনা কি?

দেশের ৬৪টি জেলায় বর্তমানে যে ফুটবল লীগ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের গ্রুপ সাইফ পাওয়ার টেক কাজ করে যাচ্ছে  এবং ঢাকা মহানগর  লীগে যে ৪৮ ক্লাব রয়েছে সেগুলিকেও আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি যাতে দেশের সর্বত্র ফুটবলকে সচল রাখা যায়।

আপনি কি আশা করেন দেশের ফুটবলের ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে?

এজন্য দরকার সঠিক পরিচর্যা  ও পরিকল্পনা। এখানে যদি যথাযথ শৃংখলা যদি ফিরিয়ে আনা যায় আমি মনে করি দেশের ফুটবলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.