--- বিজ্ঞাপন ---

নিউইর্য়কে দুর্ঘটনাঃ শেষ হয়ে গেলো সাকিবের স্বপ্ন

0

সাদমান সাকিব। ২৩ বছরের বাংলাদেশী তরুণ। থাকেন নিউইয়র্কের কুইন্স বরো’র বাঙ্গালি-অধ্যুষিত উডহ্যাভেন এলাকায়। সঙ্গে বাবা-মা ও এক ভাই। ২০১৪ সালে পরিবারটি আমেরিকায় এসেছে। 
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সাকিব লেখাপড়ার পাশাপাশি দুটো চাকরী করেন। লা’গার্ডিয়া কমিউনিটি কলেজের ছাত্র। সেই সাথে ফার্মেসী টেকনিশিয়ান এবং রাতে আমাজনের ডেলিভারী’র কাজ। মাত্রই কিছুদিন আগে ফার্মেসী টেকনিশিয়ানের লাইসেন্স পেয়েছিলেন।
সাকিব স্বপ্ন দেখতেন একদিন কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার হবেন। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করছিলেন। কিন্তু রবিবার রাতে সব শেষ।
আমাজনের পণ্য ডেলিভারী দিতে শেষ রাতে নিজের হোন্ডা একর্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ওজন পার্ক এলাকার এক রাস্তা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খুঁটির সাথে প্রচন্ড আঘাত। মুহূর্তেই দুই ভাগ হয়ে গেল গাড়ি। দুই টুকরো ছিটকে পড়লো দুই জায়গায়। সাকিব মারা গেলেন ঘটনাস্থলেই।
প্রতিবেশী একজন ছুটে এলেন। সাকিবের চোখ দুটো তখনও খোলা, কিন্তু পলকহীন। এবং নিথর, নিস্তব্ধ শরীর। ড্রাইভিং লাইসেন্সে বাসার টঠিকানা দেখে ঐ প্রতিবেশী সাকিবের বাসায় গেলেন এবং বাবা’কে জানালেন মর্মান্তিক ঘটনা।
(ফুটনোট: পুলিশ দুর্ঘটনার নেপথ্য কারণ তদন্ত করছে। তবে ধারণা করা যায় রাতের নির্জন রাস্তায় সাকিবের গাড়ির গতি হয়তো মাত্রাতিরিক্ত ছিলো। এসব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশংকা থাকে, যা চরম বিপদ ডেকে আনতে পারে)। # প্রবাসী সাংবাদিক শহীদুল ইসলামের পোস্ট থেকে

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.