--- বিজ্ঞাপন ---

সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি চামড়ার বাজার

0

এন.এইচ নিরব: যারা আল্লাহর হুকুম পালনে গরু,মহিষ, ছাগল বা হালাল পশু কোরবানী করেন, সেই পশুর চামড়া বিক্রির টাকা স্থানীয় মাদরাসার গরীব ছাত্র, এতিম-মিসকিন বা গরীব মানুষের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়ে থাকেন। কোরবানীর চামড়া বরাবরই গরীব-মিসকিন ও এতিমের হক।

কিন্তু কয়েক বছর হলো সেই চামড়ার দাম
পাচ্ছেন না পশু কোরবানী দাতারা। এবার
কোরবানীর পশুর চামড়ার দাম এমন কমা
কমেছে যে, বিক্রির জন্য ক্রেতাই খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছে না।

গ্রাম-গঞ্জে সাধারণত হাফেজিয়া মাদরাসার
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কোরবানীর চামড়া সংগ্রহ
করে তা পরে বিক্রি করে দেন। কিন্তু, এবার
তারাও চামড়া নিয়ে খুব বেশি তৎপরতা দেখাননি।
কোথাও কোথাও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা চামড়া
সংগ্রহের পর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে
তা রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন বলেও খবর
আসছে।

লাখ টাকার কোরবানীর গরুর
চামড়া বিক্রি হয়েছে ২০০- ৩০০ টাকায়। চামড়ার দাম
না পাওয়ায় কোরবানী দাতাদের অনেকেই
ক্ষুব্ধ হয়ে মাটিতেই পুঁতে দিচ্ছেন।

সাধারণত কোরবানীর ঈদের দিন সকাল
থেকেই কোরবানীর পশুর চামড়া কিনতে
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা শহরের অলিগলি এবং গ্রাম
গঞ্জের পাড়া-মহল্লায় চামড়া কেনার জন্য
অপেক্ষা করেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীদের
পাশাপাশি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে
হুজুরদেরও দেখা যেত।

পশু কোরবানীর পর সেই চামড়া কেনার জন্য টানাটানিও করেন। কিন্তু এবার সে দৃশ্য দেখা যায়নি। হাতেগোনা কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী এক থেকে দেড় লাখ
টাকা দামের গরুর চামড়া ৫শ’টাকার বেশি দাম
বলেননি। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চামড়া পড়ে
থাকতেও দেখা গেছে গরুর চামড়া।

হোসেন আড়তদার বলেন, আমি ৩০ বছর ধরে চামড়ার ব্যবসা করি। এবারের মতো দরপতন কোনোদিন দেখিনি। এবার চামড়া কম দামে কিনেও ঝুঁকিতে আছি।

উল্লেখ্য, এ বছর গরুর কাঁচা চামড়ার দাম ঢাকায়
প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ঢাকার বাইরে
৩৫ থেকে ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে
সরকার। সারা দেশে খাসির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা
হয়েছে প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং
বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট
১৩ থেকে ১৫ টাকা।

যে টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার সেই পরিমাণে ও টাকা পাচ্ছে না কোরবানি দাতা এবং কোরবানির চামড়ার বিক্রেতারগণ।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.