--- বিজ্ঞাপন ---

ঋণের টাকায় ভারত থেকেই সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ

0

ভারতের দেয়া ঋণের টাকায় ওই দেশ থেকেই সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ৷ তবে ভারত থেকে কি ধরণের অস্ত্র কেনা হবে এখনো সেই সিদ্ধান্ত হয়নি বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন৷

বুধবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ২০১৭ সালে ভারতের সঙ্গে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে বাংলাদেশ৷ কিন্তু ওই অর্থ দিয়ে এখনো কোনো সামরিক সরঞ্জাম কেনা হয়নি৷ ভারতের দেওয়া এই ঋণ এক শতাংশ সুদে ২০ বছরে শোধ করতে হবে৷

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গত মঙ্গলবার ঢাকায় এক বৈঠকে তাদের দেওয়া ঋণের টাকায় ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনকে অনুরোধ করেন৷

এ প্রসঙ্গে আবদুল মোমেন বলেন, সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার লাইন অব ক্রেডিট দিয়েছে৷ তারা বলছে, আপনারা এখন আমাদের সামরিক সরঞ্জাম কেনেন৷ ভারতে এখন অনেকগুলো ডিফেন্স কোম্পানি গড়ে উঠেছে৷

মন্ত্রী বলেন, “আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনি৷ অ্যামেরিকা, চায়না, ইউকে, টার্কি থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনি৷ আমরা যেহেতু আগে কোনোদিন ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনি নি তাই এখন আমাদের লোকরা দেখছে ভারত থেকে কী ধরনের সামরিক সরঞ্জাম কেনা যায়৷ কী কিনব এখন তা চিহ্নিত করতে হবে, আমরা তো যেই-সেই জিনিস কিনব না।”

“সম্প্রতি আমরা চীন থেকে মাল্টিপল রেঞ্জের কিছু অটোমেটিক ফায়ার আর্মস কিনেছি৷ তারা (ভারত) বলছে এগুলো তাদের কাছ থেকে কিনতে৷ আমরা বলেছি আমরা কিনতে রাজি আছি এবং তোমাদের কাছ থেকে আমরা সামরিক সরঞ্জাম কিনব৷ আমাদের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনকে জানাব, তারা জানাবে কী ধরণের সরঞ্জাম আমরা কিনতে পারি, তারাই সেই লিস্ট তৈরি করবে৷”

ভারত থেকে অস্ত্র কিনলে রাজনৈতিক বিরোধিতা হতে পারে কি না, সেই প্রশ্নে মোমেন বলেন, “আমার মনে হয় না৷ কারণ আমরা আমাদের প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করব৷ ভারত শুধু আমাদের দেশে নয়, অন্য দেশেও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে, অস্ত্র বিক্রিতে তাদের সুনাম আছে৷ তাদের বাস-ট্রাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কেনে, আমরাও কিনি৷ আমাদের দেশে ভারতবিরোধী একটি মত থাকলে ভারতের ট্রাক-বাসের কেউ বিরোধিতা করে না৷ আমরা আগে কখনো ভারতীয় সামরিক সরঞ্জাম কিনি নি৷ এখন ওরা আমাদের টাকা দিয়েছে, এখন আমরা ওদের কাছ থেকে কিনব৷”…সৌজন্যে দয়েৎসেভেলে

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.