--- বিজ্ঞাপন ---

ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘গজনাভি’ উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান..গুজরাটে হাই অ্যালার্ট জারি

0

পুলওয়ামা হামলা, বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলা ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার-একের পর এক ঘটনায় উত্তেজনার চরমে ভারত-পাক সম্পর্ক । এর মধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘গজনাভি’ উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান ।

সেনাবাহিনীর তরফ থেকে মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর জানিয়েছেন শক্তিশালী এই ক্ষেপনাস্ত্র ২৯০ কি.মি. পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে । এই ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণে সাফল্যের জন্য পাক-সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আরিফ অলভি ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ।

পাকিস্তান আক্রমণ করতে পারে, এই আশঙ্কায় গুজরাটের বন্দরগুলোতে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

গুজরাটে আক্রমণের জন্য সমুদ্রপথে কচ্ছ অঞ্চল দিয়ে পাকিস্তানি কমান্ডোরা ভারতীয় অংশে প্রবেশের চেষ্টা করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে গুজরাটের সব বন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

আদানী বন্দর এবং এসইজেড বিবৃতি দিয়ে জানায়, “নৌবাহিনী সূত্রে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে পাকিস্তানি কমান্ডোরা হারামি নালা ক্রিক অঞ্চল দিয়ে গুজরাটের কচ্ছ উপসাগরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, এসব পাকিস্তানি কমান্ডোরা পানির নিচে দিয়ে আক্রমণে বিশেষভাবে পারদর্শী।”

মুন্দ্রা বন্দরের সব জাহাজে প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং উচ্চ সতর্কতা বজায় রেখে নজরদারীর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বন্দরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, উপকূলের কাছাকাছি কোনো সন্দেহজনক ব্যক্তি বা নৌকার সন্ধান পেলে তল্লাশি চালাতে বলা হয়েছে।

উপকূল অঞ্চল বরাবর টহলদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি নিকটবর্তী অফিসে বা বাড়িতেও তল্লাশি চালানোর কথা বলা হয়েছে। তল্লাশি চালানো হচ্ছে রাস্তার গাড়িতেও।

এদিকে ‘কাশ্মীর আওয়ার’ পালনের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার দুপুরে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার পাকিস্তান এবং কাশ্মীরের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসন্ন প্রতিরক্ষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, কাশ্মীর আওয়ার পালনকালে সাইরেনও বাজানো হবে। ওই সম্মেলনে বেসামরিক এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষ ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।

গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে কার্যত কাশ্মীরকে পুরো বিশ্ব থেকে আলাদা করে দেয় ভারত। কাশ্মীরের ভেতরে এবং বাইরে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।

কাশ্মীরকে ভারতের কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে নিয়ে আসার ঘোষণার পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণে কাশ্মীর আওয়ার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি শুক্রবার কাশ্মীর আওয়ার পালনের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের নিপীড়িত জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, তারা (ভারত) তাদের ট্রাম্প কার্ড খেলে ফেলেছে। এখন তাদের হাতে খেলার জন্য আর কোনো কার্ড নেই। এখন যা করা দরকার তা আমরা আর বিশ্ব করবে।

এই কর্মসূচিতে তরুণদের বিশেষ করে ছাত্রদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন আসিফ গফুর। তিনি বলেন, জাতীয় বীর, বিনোদন শিল্পের লোকজন, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও কাশ্মীরিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ওই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, ওই কর্মসূচিতে ‘কাশ্মীর বান গায়া পাকিস্তান’ (কাশ্মীর পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত হবে) স্লোগান দেয়া হবে। (বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন)

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.