--- বিজ্ঞাপন ---

জঙ্গলের ভেতর থেকে উদ্ধার হলো সেই শিশুটি….

0

আগের খবর
ভারতের কেরলের পাহাড়ি এলাকার পর্যটন শহর মুন্নার। রাতের অন্ধকারে সেখানকার জঙ্গলের পাশের রাস্তা দিয়ে সেখান ছুটে গেল একটি এসইউভি। গাড়িটি চলে যাওয়ার পরই দেখা গেল রাস্তার মধ্যিখানে এ দিক থেকে ও দিক হামাগুড়ি দিচ্ছে একটি শিশু। গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ স্থানীয় থানায় একটি ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে জানানো হয়, জঙ্গলের কাছে রাস্তার মাঝখানে একটি ছোট্ট বাচ্চা হামাগুড়ি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এক ফরেস্ট অফিসার বাচ্চাটিকে হামাগুড়ি দিতে দেখে থানায় খবর দিয়েছিলেন। এর পর ১০টা নাগাদ থানার অফিসাররা ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেন ও তার মাথায় আঘাত ছিল। তার প্রাথমিক চিকিৎসাও করান। ওই থানার অফিসাররা পার্শ্ববর্তী থানাগুলিকেও রাস্তায় উদ্ধার হওয়া বাচ্চাটি সম্পর্কে জানান। বাচ্চা পড়ে যাওয়ার ঘটনাটি ধরা পড়েছে সেখানে থাকা সিসিটিভিতে। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এসইউভি থেকে পড়ে যায় এক বছরের এই কন্যা শিশুটি। তার পরই রাস্তায় হামাগুড়ি দিতে থাকে সে। গাড়ি থেকে পড়ে গেলেও তাঁর বাড়ির লোক সে সময় বুঝতেই পারেননি। এর পর জানা যায়, সেখান থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে একটি থানায় বাচ্চা হারানোর ডায়েরি করা হয়েছে। তখন বাচ্চাটির অভিভাবকদের ফোন করে ডাকা হয় এবং তাঁদের হাতে বাচ্চাটিকে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই পরিবার তামিলনাড়ুর একটি মন্দির থেকে পুজো দিয়ে ফিরছিল। ওই বাচ্চাটির একটি ভাই ও একটি বোনও রয়েছে।

 

পরের খবর

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১০টা। গভীর জঙ্গল থেকে ভেসে আসছে বন্য প্রাণীদের ডাক। জঙ্গলের চেক পোস্টে ডিউটি করছিলেন বন কর্মীরা। এমন সময়ে হঠাৎই দেখেন অন্ধকার রাস্তা দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে আসছে একটি ছোট্ট ফুটফুটে শিশু। প্রথমে নিজেদের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারেননি তারা।

মুন্নার বন দফতরের ওয়ার্ডেন আর লক্ষী জানান, প্রথমে ভেবেছিলাম কেউ জঙ্গলে বাচ্চা ফেলে দিয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও উর্ধ্বতন কর্মকতাদের খবর দেন তারা। চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ার কারণে কপালে রক্ত জমাট বেধেছিলো শিশুটির। পুলিশের উদ্যোগেইশিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। আর সেখানেই তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

জঙ্গলের ভিতরে ১ বছরের শিশু এলো কোথা থেকে? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই চেক পোস্টের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন তারা। সেখানেই চলন্ত জিপ থেকে পড়তে দেখা যায় শিশুটিকে। জিপ থেকে পড়েই হামাগুড়ি দিতে শুরু করে সে। এগিয়ে যায় চেক পোস্টের আলোর দিকে। তামিলনাড়ুর রোহিতায় মুরুগান মন্দিরে পূজা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই দম্পতি। এসময় শিশুটি গাড়ি থেকে পড়ে গেলেও কোনও খেয়াল ছিলনা মায়ের। শিশুটি যেখানে পড়ে যায় সেখান থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে তার বাড়ি। বাড়ি পৌঁছেই শিশুটির মা-বাবার টনক নড়ে। তিন সন্তানের একজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! সঙ্গে সঙ্গে রাজামালায় স্থানীয় থানায় ছুটে যান শিশুটির মা-বাবা। সেখানে তাদের মুন্নারে শিশু খুঁজে পাওয়ার কথা জানান পুলিশকর্মীরা। এরপর মুন্নার থানায় যান শিশুটির মা-বাবা। এরপর যাচাই করার পর তাদের কাছে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

শিশুটির বাবা জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ নেন তার স্ত্রী। তাই ঘুমের মধ্যে কখন শিশুটি পড়ে গিয়েছে, বুঝতে পারেননি। (ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে)

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.