--- বিজ্ঞাপন ---

দেশ ছাড়তে বাধ্য হলো পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মী গুলালার

0

দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের নারীবাদী গুলালা ইসমাইল সোচ্চার। নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে জঙ্গীবাদ। সব কিছু নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতেন তিনি। বিশ্বের কাছে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রায়শ কথা বলতেন তিনি। এক পর্যায়ে পাকিস্তানের প্রশাসননহ বিভিন্ন রোষানলে পড়েন। তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এমনকি তার ব্যাংক একাউন্ট জব্দসহ নানা বিষয়ে তার উপর হস্তক্ষেপ চলে। গুলালার উপর খবরদারি এমন পর্যায়ে যায় যে, তাকে শেষপর্যন্ত আত্মগোপন করতে হয়। বদলাতে হয় নানা জায়গা।

কয়েকমাস ধরে আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে পাকিস্তান ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন দেশটির আলোচিত মানবাধিকারকর্মী গুলালাই ইসমাইল। নারী নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে প্রতিপক্ষের রীতিমতো ‘গলার কাঁটা’ বনে গিয়েছিলেন তিনি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গুলালাই বলেছেন, গত কয়েকমাস ছিল তার জন্য ভয়াবহ। তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। হয়রানি করা হয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন তিনি। তবে কবে, কখন, কীভাবে পালিয়ে গেছেন, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি। যদিও তাকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রেখেছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানে গুলালাই ইসমাইলের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম’ এবং ‘সহিংসতা প্ররোচিত’ করার অভিযোগ রয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, ৩৩ বছর বয়সী বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী গুলালাই ইসমাইল বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। সঙ্গে তার বোন আছেন। একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। পাকিস্তানসহ সংশ্লিষ্ট মহলে নারী অধিকার কর্মী হিসেবে সুপরিচিত নাম গুলালাই ইসমাইল। বেশ কয়েক বছর ধরে গুলালাই মানবাধিকার নিয়ে, বিশেষত নারী ও মেয়েদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্টবাদী সমালোচক। ২০১৩ সালে ইসমাইল ১০০ জন নারীকে নিয়ে একটি সংগঠন শুরু করেন। এরপর নারীদের সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে রোধে কাজ শুরু করে সংগঠনটি। যদিও গুলালাই মানবাধিকারের কাজ আরও বহু আগে থেকে। ১৬ বছর বয়সে প্রথম নারী অধিকার নিয়ে কাজ নামেন ইসমাইল। কাজের জন্য অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন গুলালাই।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.