--- বিজ্ঞাপন ---

সৌদিআরবে নতুন করে সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন

0

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ

মুসলমান রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম ধনী দেশ সৌদিআরব। বিশেষ করে মুসলমানদের প্রতি বছর হজ্ব উপলক্ষে সৌদিআরবের ভান্ডারে জমা হচ্ছে কোটি কোটি ডলার। এ ধনী দেশটির দিকে বরাবরই নজর রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। অস্ত্র আমদানি থেকে শুরু করে তেলসহ নানা বিষয়ে সৌদিআরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। হালে এমন কথা উঠেছে, সৌদি আরবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে মার্কিনীরা। তারা বলছে, সৌদিআরবের প্রতিরক্ষা ব্যবস্তা শক্তিশালী করা প্রয়োজন। আর এ ফাদেঁ পা দিয়েছে সৌদিরা। এখন দেশটিতে  নতুন করে সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।

ইয়েমেনের প্রতি সৌদি আরবের বিদ্বেষ নতুন কিছু নয়। অভিযোগ রয়েছে সৌদিআরব পরিকল্পিতভাবে ইয়েমেনকে ধংস করার কাজে লিপ্ত রয়েছে। তাই অস্ত্র ধরেছে হুতি আনসারুল্লাহ যোদ্ধা। সম্প্রতি হুতি বিদ্রোহীদের হাতে দু’টি সৌদি তেল স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং দেশটির তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে । এছাড়া হুতি বিদ্রোহিদের কাছে সৌদি সেনাবাহিনী নানা সময় নাস্তানাবুদ হচ্ছে। এ অবস্থায় সৌদি আরবের অবকাঠামো রক্ষা করতে উঠে পড়ে লেগেছে আমেরিকা ।

সৌদি আরবের এ অবস্থা নিয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র জনাথন হাফম্যান বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, সৌদি আরবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য একটি প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থা, চারটি সেন্টিনেল ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর এগুলো পরিচালনার জন্য ২০০ সদস্যের একটি সামরিক দল সৌদি আরবে পাঠানো হবে। ওয়াশিংটনের দাবি, থ্রিডি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা- সেন্টিনেল দিয়ে তুলনামূলক কম উচ্চতায় উড়ে আসা হুমকি প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেন্টিনেল দিয়ে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে পারবে বলে দাবি করছে পেন্টাগন।

ইয়েমেনে হুতি যোদ্ধারা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, তারা সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ১০টি ড্রোনের সাহায্যে সাম্প্রতিক হামলা চালিয়েছেন। হুতিরা এ কথা বললেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সুর মিলিয়ে সৌদি আরব দাবি করছে, ইরান ওই হামলা চালিয়েছে। সৌদির ওই অভিযোগ কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। তেহরান বলেছে, তারা এ ধরনের কোন কাজ করেনি।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.