--- বিজ্ঞাপন ---

ভারতে বানালো সুপারসোনিক এক মিসাইল

0

দীর্ঘ ১৫ বছর পরে ভিজ্যুয়াল রেঞ্জের এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (বিভিআরএএএম) ’ ভারতীয় বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তুত। ডিআরডিও আশা করছে, প্রথম দিকে আইএএফ তার সুখোই-৩০ এমকেআই জেটের জন্য কমপক্ষে ২০০টি ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্র অর্ডার করবে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ইতিমধ্যে ‘অস্ত্রে’র বর্তমান স্ট্রাইক রেঞ্জটি ১১০ কিলোমিটার থেকে ১৬০ কিমি ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্যও কাজ করছে। ডিআরডিও প্রধান ড. জি সতীশ রেড্ডি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, “অস্ত্র আজ বিশ্বের অন্যতম সেরা বিভিআরএএএম। এটির আরও দীর্ঘ মেয়াদি বিকাশের সক্ষমতা রয়েছে আমাদের”।

ডিআরডিও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বের মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশ এমন উন্নতমানের বিমান যুদ্ধবিমানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে থাকে। সেই নিরিখে ভারত এখন আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ইজরায়েলের মতো দেশগুলির সঙ্গে একই পঙ্‌ক্তিতে থাকার অধিকার অর্জন করল। শত্রুপক্ষের চিন্তাভাবনা তছনছ করে দিয়ে সুপারসোনিক এই মিসাইল দীর্ঘ পরিসরে “পাল্টা ব্যবস্থা” নিতে সিদ্ধহস্ত।

মসৃণ ৩.৫৭ মিটার দীর্ঘ অস্ত্র-র ওজন ১৫৪ কেজি দৈর্ঘ্যের ভর ওজনের, শব্দের থেকে চারগুণ বেশি গতিতে উড়ে যেতে সক্ষম। সরকার অধিগৃহীত সংস্থা ভারত ডায়নামিক্সের তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিটি ইউনিটের দাম ৭-৮ কোটি টাকা। বর্তমানে রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ইজরায়েল থেকে ভারতে যে বিভিআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আমদানি করে, সেগুলির থেকে অনেক সস্তা এই ‘অস্ত্র’।

জানা গেছে, রাশিয়ার তৈরি সুখোইসের পাশাপাশি হালকা যুদ্ধ বিমান তেজস-এও এই বিভিআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে। ইসিসিএম (ইলেকট্রনিক কাউন্টার-কাউন্টার মেজার্স) প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। সাম্প্রতিক অতীতে পাঁচ‌‌টি সফল উৎক্ষেপণের পর ভারতীয় বায়ুসেনার অস্ত্র-এর অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তুত ডিআরডিও।

অন্য দিকে, জাতিসংঘে ভাষণে ইমরান খান কার্যত  পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দেন তিনি। এর পরই কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয় এবং সেনা তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। ভারতের উপকূল অঞ্চলগুলিতেও সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। (সূত্রঃ খবর অনলাইন)

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.