--- বিজ্ঞাপন ---

প্রাচ্যের স্বর্গ কাশ্মির এখন নরকে পরিনত হতে চলেছে, ঘর বন্দী শিশুদের শৈশব

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মিরকে বলা হয় প্রাচ্যের স্বর্গ। সেই স্বর্গ এখন নরেকে পরিনত হয়েছে। ঘর বন্দী জীবন যাপন করছে কাশ্মীরের বাসিন্দারা। লেখা পড়া নেই। আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক ঘরে মানবেতর জীবন চলছে। স্কুলে যেতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত কোমলমতি শিশু কিশোররা। ঘরে পড়ায় মন বসছে না। কবে এ বন্দী জীবন থেকে মুক্তি জানেন না কাশ্মিরীরা। বাইরে পহরা। বড় ভাই বড় বোনের সঙ্গে এখন প্রায়ই ঝগড়া হচ্ছে ১৪বছর বয়েসী আফনান আহমেদ দারের। বড় ভাই আর বড় বোন পড়াতে বসাতে চাইলেই রেগে যাচ্ছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আফনান। বলছে, ‘‘যা পড়ার স্কুলেই পড়ব।’’ ভারত শাসিত কাশ্মীরের পুরনো শ্রীনগরের এক বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়া আফনানের মতো অবস্থা এখন কাশ্মীরের অধিকাংশ স্কুল পড়ুয়ারই।

প্রায় দু’মাস হল নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছে উপত্যকা। স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না অধিকাংশ অভিভাবক। ফলে স্কুলে হাজিরা দিচ্ছেন কেবল শিক্ষক ও অন্য কর্মীরা। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, আফনানের বড় বোন সুরাইয়া সম্প্রতি বিএড করেছেন। বললেন, ‘‘ভাইকে বলি অন্তত বাড়িতে পড়। কিন্তু বললেই ও রেগে যাচ্ছে। সব সময়েই টিভি দেখছে।’’ ক্ষুব্ধ সুরে আফনান বলল, ‘‘রোজ বিকেলে খেলতাম। এখন বাবা-মা বেরোতেই দিচ্ছে না।’’ আফনানের মতো অনেকেই তাদের অভিভাবকের কাছে জানতে চাইছে কেন তারা স্কুলে যেতে পারবে না? কেন খেলতে যাবে না? অভিভাবকেরা প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন। বাইরে গেলে বিপদ হবে ছাড়া আর বিশেষ কিছু বলারও নেই তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের বড় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মাকসুদ নুর। একই মত এসএমএইচএস হাসপাতালের মনোবিদ ইউসুফ আলির। তাঁদের মতে, স্কুলে যে পড়াশোনা হয় তা বাড়িতে সম্ভব নয়। আলির বক্তব্য, ‘‘এই প্রতিযোগিতার যুগে পড়ুয়ারা পিছিয়ে থাকতে চায় না। এমন পরিস্থিতিতে তাদের বড় মানসিক ক্ষতি হতে পারে।’’ দিশেহারা মানুষ বুঝতে পারছে না, কিভাবে এই অসহনীয় অবস্থার পরিবর্তন হবে।##

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.