--- বিজ্ঞাপন ---

হাজার মাইল দুরে বন্দী জীবন কাটাচ্ছে গ্রেফতার হওয়া কাশ্মিরীরা

0

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ একমাত্র মুক্তি পেলে জানা যাবে কাশ্মিরের হাজার হাজার বন্দী কি অবস্থায় ছিলেন, কোথায় ছিলেন। কারন তাদের নেয়া হয়েছে শত, এমনকি হাজার মাইল দুরেও। এমন তথ্য উঠে এসেছে বিভিন্ন অনুসন্ধানে। যেখানে রয়েছে সব পেশার মানুষ। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানে প্রায় ৩০০ মানুষ জননিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেফতার হন। যাদের বেশিরভাগকেই হাজার কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের তালিকায় নির্মাণ শ্রমিক যেমন আছেন, তেমনি রয়েছেন কাশ্মীরের সুপরিচিত আইনজীবীও। জননিরাপত্তা আইনের (পিএসএ) অধীনে গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিনা বিচারে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত আটকে রাখা যায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্যটি কেন্দ্রশাসিত দুইটি আলাদা অঞ্চলে ভাগ করার ঘোষণার আগে ও পরে বিশৃঙ্খলা ও উসকানি প্রতিরোধের নামে কাশ্মীরের বেশিরভাগ নেতাকে গৃহবন্দি করা হয়। এছাড়াও নানা অভিযোগে আরো প্রায় চার হাজার মানুষকে আটক করে পুলিশ। বাড়ি থেকে হাজার কিলোমিটার দূরের কারাগারে আটকে রাখার কারণে বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে দেখা করতে বা তারা কি অবস্থায় আছেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্যই পাচ্ছেন না। ভারতীয় কর্মকর্তাদের দাবি, আগস্ট থেকে নয়, বরং গত বছর থেকেই কাশ্মীরি বন্দিদের অন্যান্য রাজ্যের কারাগারে সরিয়ে নেওয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ছিন্ন করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে আগস্ট থেকে বন্দি সরিয়ে নেওয়ার গতি দ্রুত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তারা। যদিও তাদের ধীরে ধীরে মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু পিএসএর অধীনে কাশ্মীর বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রধান নাজির আহমেদের মতো আরো অনেক আইনজীবী, শিক্ষক এবং রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কী করা হবে তা এখনো অনিশ্চিত।###

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.