--- বিজ্ঞাপন ---

কাশ্মিরের উপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে মার্কিন চাপ

0

ডেস্ক নিউজ :

কাশ্মিরের ওপর ভারতের চাপিয়ে দেয়া সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে নয়াদিল্লিকে আহ্বান জানিয়েছেন আরো এক মার্কিন সিনেটর। কাশ্মির ইস্যুতে ভারত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মার্কিন আইনপ্রণেতারা (সিনেটর) একাট্টা হচ্ছেন।

ভার্জিনিয়ার সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘ভারতের নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়টি যদিও আমি বুঝতে পারছি, তবুও আমি জম্মু ও কাশ্মিরের মধ্যে যোগাযোগ এবং চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিরক্ত। আমি আশা করি ভারত সংবাদমাধ্যম, তথ্য এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়ে তার গণতান্ত্রিক নীতিমালা অনুসারে কাজ করবে।’


কাশ্মিরে অবরোধের অবসান ঘটাতে এর আগে বহুসংখ্যক মার্কিন সিনেটর এবং প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ভারত সরকারকে আহ্বান জানিছেন। সিনেটরদের মধ্যে এলিজাবেথ ওয়ারেন, বার্নি স্যান্ডার্স, কমলা হ্যারিস ভারতকে কাশ্মিরের অবরোধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই তিনজন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের জন্য মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী।

চলতি মাসের শুরুতে কাশ্মিরে মানবিক সঙ্কট অবসান ও যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্বহাল চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটররা। পররাষ্ট্র বিষয়ক সিনেট কমিটি তাদের এক রিপোর্টে জম্মু ও কাশ্মির বিষয়ে এই আবেদন জানিয়েছিলেন।

এ ছাড়া মঙ্গলবার কাশ্মিরি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিকদের একটি দল ১৪৮ জন কংগ্রেস সদস্যকে তাদের স্বদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। কংগ্রেসকে তারা স্মরণ করিয়ে দেন যে, তারা যদি ভারতকে অধিকৃত উপত্যকায় জনসংখ্যার ভারসাম্যের পরিবর্তনকে থামাতে চায় তাহলে ‘এখনই কাজ করার সময়’।
কংগ্রেসনাল ব্রিফিংয়ে প্যানেলবিদ হিসাবে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ লেখক এবং জীবনীকার ভিক্টোরিয়া শোফিল্ড। তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য ‘তৃতীয় পক্ষের কোনো মধ্যস্থতাকারী’ দরকার।

শোফিল্ড বলেন, উত্তর আয়ারল্যান্ডে ব্রিটেনও একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়ে এসেছিল কারণ বাইরের সমর্থন ছাড়াই বিরোধটি সমাধান করা সম্ভব হতো না। ‘একজন মধ্যস্থতাকারী আনা লজ্জার বিষয় নয়,’ বলেন শোফিল্ড। সূত্র : দ্য ডন।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.