--- বিজ্ঞাপন ---

প্রসঙ্গ চমেক হাসপাতাল, ময়লা চাদর থেকে রোগীরা মুক্তির অপেক্ষায়

0

ডেস্ক রিপোর্টঃ চমেক হাসপাতালে নতুন ওয়াশিং মেশিন আগামী সাপ্তাহে চালু হতে যাচ্ছে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এ মেশিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের অপারেশন থিয়েটার ও ব্যবহৃত চাদর পরিস্কার করার কাজে লাগবে। ইতোমধ্যে ওয়াশিং মেশিন চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ মেশিন চালু করা হবে বলে চমেক হাসপাতালে উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম জানান। নতুন এই ওয়াশিং মেশিন চালু হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রোগীদের চাদর অপরিস্কারের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবে।
সুত্র জানায়, হাসপাতালের সব ধরণের চাদর পরিস্কার করা যাবে এই মেশিনে। এতে রোগী ও স্বজনদের চাদর পরিস্কার নিয়ে নানা ধরণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।দীর্ঘদিনের অভিযোগ চাদর ভাল করে পরিস্কার না হলে রোগীদের দেয়া হতো। বছররে হাসপাতালে চাদর পরিস্কার করার ব্যয় কমবে আসবে অর্ধেকে। চমেক হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, সেন্ট্রাল মসজিদের পাশে লিনেন স্টোরে ৪১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওয়াশিং মেশিন স্থাপন করা হবে। প্রতিদিন ২ শিফটে ৮ শত চাদর পরিস্কার করা যাবে।এতে হাসপাতালের প্রতিবছর ২৫ লক্ষ টাকার মত ব্যয় কমবে হাসপাতালের। একটি চাদর পরিস্কার করতে এই মেশিনে খরচ হবে ১ টাকা করে। এ দিকে চমেক হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে চাদর অপরিস্কার অবস্থায় রোগীদের দেয়া হতো। রোগীদেও এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ভাল ভাবে পরিস্কার করতো না। পরিস্কার না হলে রোগীদের অপরিস্কার অবস্থায় দেয়া হতো।নার্সরা রোগীদের যেভাবে চাদর দিতেন সেভাবে তা গ্রহণ করতে হতো। ফলে এখানে লেগে থাকতো নানা রোগ-জীবানু। নতুন চাদও চাইলেও নার্সরা দিতেন না।
চমেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার কামরুজ্জামান বলেন, রোগীদের চাদর পরিস্কারের কাজ করে আমাদের অনেক সহকর্মী নানা ধরণের রোগ ও জীবানুতে আক্রান্ত হয়েছে। নতুন ওয়াশিং মেশিন আসলে এ অবস্থা মুক্তি মিলবে। বর্ষাকালে চাদর শুকানোর চিন্ত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
চমেক হাসপাতাল উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম বলেন, চমেক হাসপাতালে ৪১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময় নতুন ওয়াশিং মেশিন ক্রয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়াশিন মেশিন চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। বসাতে আগামী সাপ্তাহের শেষ নাগাদ লাগতে পারে।চালুর হলে হাসপাতালে সেবার মান আরো এক ধাপ বেড়ে যাবে। নতুনভাবে এই মেশিন স্থাপন করাই হাসপাতালে চাদর পরিস্কারের ব্যয় কমে যাবে।আগে যেখানে পরিস্কার ও লন্ড্রি করতে ৩০-৩২ টাকা খরচ হতো সেখানে এখন ২ টাকা খরচ হবে। তিনি বলেন,লন্ড্রি মেশিন ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। পরিস্কার ও লন্ড্রি মেশিন চালু হলে প্রতিবছর হাসপাতালে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় কমে যাবে। এছাড়াও চাদর অপরিস্কার ও লন্ড্রি না করে রোগীদের ভাঁজ করে দেয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।###

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.