--- বিজ্ঞাপন ---

সীতাকুন্ডের  ডা: শাহ আলম হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন  র‌্যাবের বন্দুকযুদ্ধে নিহত

0

চট্টগ্রাম,( ২৩ অক্টোবর, ২০১৯ ইং):  চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে চিকিৎসক শাহ আলম হত্যাকান্ডের প্রধান সন্দেহভাজন  ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু (২৬) র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোরের দিকে সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, বুধবার ২৩ অক্টোবর ভোরে সীতাকুন্ডের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র‌্যাব-৭ এর টহল দলের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের  ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ সংবাদ নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে খুনীরা নির্মমভাবে ডা: শাহ আলমকে হত্যা করে রাস্তার পাশে জঙ্গলে ফেলে চলে যায়। একদিন পর অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ হিসেবে পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। সেখানে তার লাশ শনাক্ত করা হয়।

এদিকে ডা: শাহ আলমের মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখা এবং ড্যাব এর ডাক্তার নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার দাবীতে নগরীতে  মানববন্ধন  করেন এবং পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচীর ডাক দেন।

ডা. শাহ আলম দীর্ঘ ৩০ বছর সৌদি আরবের মদিনা হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি সীতাকুন্ডে নিজ গ্রামে শিশুদের জন্য ‘চাইল্ড কেয়ার’নামে একটি ক্লিনিক চালু করেন।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ জানান, নাজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু ডা. শাহ আলমকে হত্যায় জড়িত ছিনতাইকারী দলের প্রধান। তার সাথে বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি একটি পিস্তলসহ ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কর্মস্থল সীতাকুন্ড থেকে নগরীর চান্দগাঁও এলাকার বাসায় ফিরতে একটি লেগুনায় উঠেন সৌদি আরবের মদিনা ফেরৎ ডা: শাহ আলম। ওই লেগুনায় আগে থেকেই দুজন ছিনতাইকারী ছিল। লেগুনাটি কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর আরও দুজন ছিনতাইকারী লেগুনায় উঠে। লেগুনা আরও কিছুদূর গেলে চার ছিনতাইকারী মিলে ডা. শাহ আলমকে যা আছে তা বের করে দিতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে ছুরিকাঘাতে খুন করে ছিনতাইকারীরা।

র‌্যাবের কর্মকর্তা কাজী তারেক আজিজ বলেন, খুনের পর মরদেহের পরিচয় যাতে শনাক্ত করা না যায় সেজন্য ডা. শাহ আলমের মুখ বিকৃত করে দেয় ছিনতাইকারীরা। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম  মহাসড়কের পাশে লাশটি ফেলে পালিয়ে যায় তারা।তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই ‌র‌্যাব ছায়া তদন্ত  শুরু করে। পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়। তদন্ত করতে গিয়ে র‌্যাব জানতে পারে, লেগুনাতেই খুন হন ডা. শাহ আলম। পরে লেগুনাটির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে ঐ লেগুনা চালক ওমর ফারুককে (১৯) আটক করা হয়।

## শহীদ

 

 

 

 

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.