--- বিজ্ঞাপন ---

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে ভারত

0

বিশেষ প্রতিনিধিঃঃ
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে ভারত। দু’দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তির পর নড়েচড়ে বসেছে বন্দর। প্রস্ততি নিচ্ছে যাতে ভারত চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চাইলে নিস্কন্টকভাবে করতে পারে। দু’প্রধানমন্ত্রী যে অর্থে বন্দর ব্যবহারের কথা বলেছেন, তাতে দেখা যায়, ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যাপারে আগ্রহী। যেহেতু এসব রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা যে পণ্যগুলো ইউরাপে পাঠায় সেগুলো অনেক দুরপথ হয়ে কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে যায়। চট্টগ্রাম বন্দর কাছে থাকার কারনে এ বন্দর ব্যবহাররের জন্য চেম্বার টু চেম্বার আলাপ আলোচনা হয়। সে প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলো তাদের পণ্য ইউরোপে পাঠানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। এতে বন্দরের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর সেবার মান আরও বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। বন্দরে কমে এসেছে জাহাজের গড় অবস্থান। উন্নত একটি বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জাহাজের অবস্থানকাল কম হলেও আমাদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে। সাধারণত এই গড় অবস্থানকালে তিন দিনের মধ্যে সীমাবন্ধ থাকে। ২০১৭ সালে জাহাজের সর্বোচ্চ গড় অবস্থান গড়ে সাত থেকে আট দিন পর্যন্ত হয়েছিল। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে কি গ্যান্ট্রি ক্রেন বাড়ার ফলে কনটেইনার ওঠানো- নামানোর কাজে গতি বেড়েছে। ফলে কনটেইনারবাহী জাহাজকে আগের চেয়ে কম সময় জেটিতে অবস্থান করতে হচ্ছে। ২০১৭ সালের অর্তবছরে যেখানে প্রতিদিন দশ থেকে বারোটি কনটেইনারবাহি জাহাজকে বর্হিনোঙ্গরে অবস্থান হতো, সেখানে ২০১৮ সালে তা দুই থেকে তিনটিতে নেমে এসেছে। এই সময়কালে বন্দরে জাহাজ আসার পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৭ সালে জাহাজ আসার সংখ্যা ছিল ৩,৩৭০ টি, আর ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৭৪৭ টিতে। চট্টগ্রাম বন্দর রুটে জাহাজ পরিচালনাকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জাহাজের বর্তমান গড় অবস্থানকালীন সময়কে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। রপ্তানিমূখী তৈরী পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বন্দরের চলমান সেবা কার্যক্রমে সন্তÍুষ্ট।
সংগঠনটির প্রথম সহসভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, এখন দিনে দিনে এফসিএল কনটেইনার ডেলিভারি পাওয়া যায়। আর এলসিএল কনটেইনার পাওয়া তিন থেকে চার দিনে। নেই কোন জাহাজজট। নতুন যন্ত্রপাতি যুক্ত হওয়ার পর থেকে সামগ্রিক চিত্র পাল্টে গেছে।
কনটেইনার ওঠানামায় নতুন রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। ২০১৭ সালে যেখানে কনটেইনার ওঠানামা হয়েছিল ২৬ লাখ ৬৭ হাজার টিইইউ, ২০১৮ সালে সেটি হয়েছে ২৯ লাখ ৩ হাজার একক। প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় নং শতাংশ। আর সাধারন কার্গো ওঠানাম হয়েছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ টন। এই খাতে প্রবৃদ্ধিও হার ১৩ শতাংশ। জার্মানির হামবুর্গ পোর্ট কনসালট্যান্সি (এইচপিসি) প্রণীত মহাপরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৮ সালে কনটেইনার ওঠানামা হবে প্রায় ২৪ লাখ একক; ২০১৯ সালে হবে ২৬ লাখ ৬৬ হাজার একক এবং ২০২০ সালে হবে ২৯ লাখ একক কনটেইনার। আড়াই বছর পরের সেই পূর্বাভাস বা লক্ষ্যমাত্রা এখনই পূরণ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর।
চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা বেড়েছে মাত গুণেরও বেশি। ৭ দশমিক ৫ রানিং নটিক্যাল মাইলের জলসীমা নতুন ব্যাপ্তি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ রানিং নটিক্যাল মাইলে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ঘিরে সরকার যে মেগা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই বন্দরের জলসীমা বাড়ানো হয়েছে। ফলে বহুগুণে বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে বন্দরের সেবার পরিধি।
কৌশলগত মহপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩৬ সালে ৫.৬ মিলিয়ন টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের চাপ সামাল দিতে হবে চট্টগ্রাম বন্দরকে। গত পাঁচ বছরে কনটেইনার পরিবহন দ্বিগুণ হয়েছে। এ চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে ইয়ার্ড সম্প্রসারন ও নতুন নতুন ইয়ার্ড নির্মাণের ফলে। নতুন করে ৩৭ একর জায়গার ওপর ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড যুক্ত হতে যাচ্ছে। ফলে বর্তমান প্রবৃদ্ধিও হাওে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও চট্টগ্রাম বন্দর তা পরিবহনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বে টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ও লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প চুড়ান্ত হয়েছে। ৯০৭ একর জমির ওপর ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ বে টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বে টার্মিনাল হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বেড়ে যাবে তিন গুণ। বছরে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যে নির্মানাধিন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) ১৬ শতাংশ কাঠামো সম্পন্ন হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ৮৬৮ কোটি ২৮ লাখ টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। মোট এক হাজার মিটার দীর্ঘ স্থান জুড়ে পাচঁটি জেটি এবং এক হাজার মিটার দৈর্ঘ্যর এবং তিন’শ মিটার প্রস্থেও ব্যাকআপ ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে এ টার্মিনালে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় ১৪ ও ১৫ নম্বর খালের মাঝামাঝি লালদিয়ার চরে নির্মিত হবে এ টার্মিনাল। এ টার্মিনালে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে। টামর্নিালের নির্মাণ কাজ ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এবং ২০২২ সালে পুরোদমে কর্মক্ষ, করার লক্ষ্যে সামনে রেখে কাজ করছে কর্তপক্ষ।
এসবের পাশাপাশি ভারি যন্ত্রপাতি আমদানি সুবিধাকে সহায়তা দিতে জিসিবি ও ১৩ নং জেটিকে রুপান্তর করা হচ্ছে। নতুন টার্মিনালগুলোর সাথে যুক্ত করে নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ড এবং ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড। বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার রাখা সম্ভব হয়েছে।
চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে দুই দফায় তিনটি করে ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত হবার পর কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের চিত্র পাল্টে গেছে। নতুন আসা ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন টার্মিনালের তিন, চার ও পাঁচ নাম্বার জেটিতে যুক্ত করা হয়েছে। আগের চারটিসহ মোট ১০ টি গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে এনসিটির পণ্য ওঠানামা শুরু হওয়ায় বন্দর ব্যবহারকারীরাও খুশি। বন্দরের পণ্য ওঠানামার ক্ষেত্রে গ্যান্ট্রি ক্রেন বেশ সুফল বয়ে আনছে। বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে খালাস পণ্য লাইটারে করে খালাস করতে কর্ণফুলী নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচটি লাইটারেজ জেটি। সময় কমানো ও দ্রæত খালাস করার উদ্দেম্যে জিটিগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। বিশেষ করে যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমাদনি বেশি তাদেরকে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে এসব জেটি। ইতিমধ্যে দুটি জেটি পরিচালনা শুরু করেছে কেএসআরএম গ্রæপ ও কনফিডেন্স সিমেন্ট। এ পাঁচটি ছাড়াও আরও ১৫টি লাইটার জেটি নির্মাণ করছে কর্তপক্ষ।
বন্দরকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থতেও যুক্ত হয়েছে অনেক পরিবর্তন। ২০১৫ সাল থেকে চালু হয়েছে ১২৮টি সিসিটিভি। এছাড়া আরও ৮০০ সিসিটিভি বসানোর প্রকল্প বুয়েটের সমীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া বন্দরে অবাধে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে বায়োমেট্রিক ডাটাবেস করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ১৬ হাজার মানুষের বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত টহলের পাশাপাশি যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে চ্যানেলের ১৫ নম্বর ঘাটের কাছে একটি র‌্যাপিড রেসপন্স স্থাপন করা হয়েছে।
সদরঘাট থেকে বাকলিয়া পর্যন্ত কর্ণফুলী ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম বন্দরের খরচ হচ্ছে ২৪২ কোটি টাকা। হল্যান্ড থেকে ১৩০ কোটি টাকার সরঞ্চাম আনা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য ৩৩৪টি পদে জনবল নিয়োগ চলমান রয়েছে। বর্তমানে কর্মরত আছেন, ৮ হাজার ৬৭৯ পদের বিপরীতে কর্মরত আছে ৬ হাজার ৩৭২ জন কর্মকর্তা- কর্মচারি। বাণিজ্যিক এই বন্দরের সাথে জড়িত প্রায় ৩০টির মতো প্রতিষ্ঠান। এদেও মধ্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনের কাজ প্রত্যক্ষভাবে বন্দরের কার্যকারিতাও প্রভাবিত করে।
চট্টগ্রাম বন্দরে কাছে প্রত্যাশা যেমন বেশি তেমনি দৈনন্দিন বাণিজ্য চাহিদা মেটাতে নিয়ত বেড়েই চলেছে এর কাজের পরিমাণ। হালের বিবেচনায় পর্যটন শিল্পের ব্যাপক চাহিদার বৃদ্ধিও ক্ষেত্রে ক্রুজ টার্মিনাল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বøু-ইকোনমির সম্ভাবনাকে সহায়তা দেবার জন্য কিছু বিশেষায়তি জেটি নির্মাণের প্ররিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এসবের ভেতর রয়েছে মাইনিং জেটি এবং ফিস হারবাল জেটি।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও বিশ্বমানের বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্বল্প মেয়াদী ১৪টি প্রকল্প নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রæতগতিতে চলছে। নিউমুরিং এলাকায় ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণ ও ৭নং খালের পাশে কন্টেইনার ইয়ার্ড-ওভার ফ্লো-ইয়ার্ড নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় অন্য যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- সার্ভিস জেটি নির্মাণ প্রকল্প, লাইটারেজ জেটি নির্মাণ প্রকল্প, জেটি এলাকায় আরসিসি ইয়ার্ড নির্মাণ প্রকল্প, ভিডিও সার্ভিলেন্স সিস্টেম প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি, সার্ভিস ভেসেলস- টাগ বোট, পাইলট ভেসেলস, মুরিং লঞ্চ ইত্যাদি সংগ্রহ এবং অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ, জেটি ও টার্মিনালগুলোর জন্য ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ, ড্রেজার সংগ্রহ, সার্ভে ভেসেলস সংগ্রহ ও টাইড হাউস নির্মাণ, মহেশখাল ও মাতারবাড়ী এবং কুতুবদিয়াতে পোর্ট লিমিট বৃদ্ধি, সিটিএমএস টাওয়ার নির্মাণ, দুটি কাটার সাকশন ড্রেজার সংগ্রহ।
বন্দর উন্নয়নে মধ্য মেয়াদী প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- বে-টার্মিনাল নির্মাণ (১ম পর্যায়), ওয়ানস্টপ সার্ভিস বাড়ানো, টাগ বোট, পাইলট ভেসেলস, ওয়াটার বার্জ, বয়া লিফটিং ভেসেলস ইত্যাদি সংগ্রহ, জেটি ও টার্মিনালগুলোর জন্য ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ, বন্দরের জিসিবি এলাকায় ৯-১৩ নং জেটিতে কর্ণফুলী কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ, রেজু খাল প্রকল্প, স্ট্র্যাটেজিক ফ্ল্যোটিং হার্বার স্থাপন প্রকল্প ও ভিটিএমআইএস বর্ধিতকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প। বন্দরের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দেশে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবহারও বাড়ছে। বন্দরের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বেশকিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বন্দরের মূল অবকাঠামো উন্নয়নের কাজও জোর গতিতে চলছে। তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত হয়েছে। পতেঙ্গায় নতুন টার্মিনাল নির্মাণের কাজও চলছে। আগামী বছরের লয়েডস লিস্টের তালিকায় অবশ্যই আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে চট্টগ্রাম বন্দর। ###

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.