--- বিজ্ঞাপন ---

চট্টগ্রামের চার ফ্লাইওভার সিডিএ থেকে সিটি কর্পোরেশনে যাচ্ছে

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম

0

চট্টগ্রামে নগরীতে ৯২৭ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪টি ফ্লাইওভার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করবে সিডিএ। যথাশীঘ্র এ ব্যাপারে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের গত ১৬ নভেম্বর থেকে তিনদিন সিডিএ’র প্রকৌশল, মেকানিক্যাল, বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ যে ৪টি ফ্লাইওভার হস্তান্তর হচ্ছে সেগুলি সবদিক থেকে ঠিকঠাক আছে কিনা তা পুন:পরিদর্শন করে চূড়ান্ত করবেন। এব্যাপারে ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে উভয় সংস্থার কর্মকর্তাদের মধ্যে এক বৈঠকে ডিসেম্বরে হস্তান্তরের দিনটি ঠিক করা হয়।
সিডিএ’র পক্ষ থেকে  বৈঠকে অংশ নেয়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাহফুজুর রহমান প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সিটি কর্পোরেশনকে বুঝিয়ে দেয়ার আগে আমরা ফ্লাইওভারগুলিতে যানবাহন চলাচলে যাতে কোনপ্রকার অসুবিধা না হয় সেগুলি এ সপ্তাহের প্রথম তিন দিনের মধ্যেই দ্রুত পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে পুরোপুরি নিশ্চিত হবো আশা করছি। যেমন ফ্লাইওভারের রেলিংসমূহ, বৈদ্যুতিক লাইটসমূহে সংযোগ ঠিকঠাক আছে কিনা আমরা দেখবো কোন ত্রুটি দেখলে সেগুলি নিদ্দিষ্ট সময়ে হস্তান্তরের আগেই সারিয়ে ফেলবো।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে সংস্থার আওতাধীন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) অধীনে বাস্তবায়িত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, বহদ্দারহাটের এম এ মান্নান ফ্লাইওভার, কদমতলী জংশনের ফ্লাইওভার ও দেওয়ানহাট ওভারপাসটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিডিএ’র চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের উদ্ধর্তন প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সিডিএ নির্মিত চারটি ফ্লাইওভার যথাক্রমে, বহদ্দারহাট এমএ মান্নান ফ্লাইওভার, মুরাদপুর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার এবং দেওয়ানহাট ওভার পাস ও কদমতলী ফ্লাইওভারের সৌন্দর্য্যবর্ধন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর চূড়ান্ত দিন তারিখ ঠিক করা হয়েছে। সিডিএ ফ্লাইওভার নির্মাণ করলেও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও লোকবল নেই। তাই এসব ফ্লাইওভার চসিককে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সিডিত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, চট্টগ্রামের দীর্ঘতম আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর। এর আগে ২০১৩ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। প্রায় ৬৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারটি চার লেনের। ২০১৫ সালের মার্চে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইওভারটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
নগরের শুলকবহর থেকে বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত এমএ মান্নান ফ্লাইওভার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালের জানুয়ারিতে। ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তদারকিতে নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়।
নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে ডিটি (ঢাকা ট্রান্ক) রোডের ধনিয়ালাপাড়া পর্যন্ত ফ্লাইওভার ৫৮ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালের জুলাইয়ে নির্মাণ কাজ শুর হয়। এর উদ্বোধন হয় ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর। নগরীর দেওয়ানহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১২ সালে। এবং এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় ২০১৩ সালে।
## ৩০.১১.২০১৯ইং।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.