--- বিজ্ঞাপন ---

লাকেম্বা- -সিডনিতে একখন্ড বাংলাদেশ

0

চারবছর পর আবার লাকেম্বা আসলাম। ২০১৪ সালে একবার এসেছিলাম বাজার করতে। এখানে আসলে মনে হয় ঢাকায় আসলাম।বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের দেখা পাওয়া যায়। এমনকি রোহিঙ্গা ও পাওয়া যায়।যদিও তারা বলে বাড়ি টেকনাফ বা কক্সবাজার। এলাকাটা মুসলিম প্রধান বলা যায়। বাঙালী ছাড়া ও লেবানিজ, ফিলিস্তিনি,পাকিস্তানি আফগানি মুসলমান আছে। আছে ইন্ডিয়ানও। তবে বাঙালীদের দেখাযায় বেশি। কারণ বাঙালী আড্ডা বাজ। এখানে সেখানে দেখা যায় জনাকয়েকের আড্ডা। চটপটি, ফুসকার দোকান ও আছে। আছে মিস্টি তরতরকারি দেশি মাছ মুরগির দোকান। এখানে আসলে মনে হবে যেন একখণ্ড বাংলাদেশ! তবে এখানে ছাত্র বা নবাগত এবং অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি। কারণ সিডনি শহর কেন্দ্রের খুব কাছে এটি।তবে নিম্নবিত্ত মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মনেহয় একটু জৌলুষ হীন। চোখধাঁধানো তেমন কিছু নেই। বড় একটা মসজিদ আছে এখানে। তুর্কী মসজিদ সম্ভবত। একদিন জুমার নামাজ পড়ার ইচ্ছে আছে। বাঙালী অভিবাসীদের সম্পর্কে তেমন অভিযোগ নেই। তবে লেবানিজরা সহিংস কাজে এক আধটু জড়িয়ে পড়ে বলে জেনেছি। ২০১৪ সালে প্রথম যখন সিডনি এসেছিলাম তখন এখানকার টিভি সংবাদে এই এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষের খবর দেখে ছিলাম।পরে কমিউনিটি লিডারদের হস্তক্ষেপে শান্ত হয়ে যায়। লেবানিজরা এসব করে বলে শুনেছি।জৌলুষ হীন হলেও এখানে আসতে মনচায়।কারণ দেশের আমেজ পাওয়া যায়।একটা দোকান থেকে কিছু তরকারি কিনলাম। দোকানীর কথা শুনে মনে হল টেকনাফ অঞ্চলের টান।তবে শুদ্ধ নয়।বুঝলাম রোহিঙ্গা। বাড়ি কোথায় জিগ্যেস করাতে বলল বুঝতে পারছেন না? চট্টগ্রাম আরকি? কিছু মাছ মাংস তরিতরকারি কেনা হল।রুই মাছ মলা মলা মাছ কেনা হল।ইলিশ ও আছে।আরও অনেক মাছ আছে। দেশী মুরগী ও আছে।তবে শক্ত হওয়ার কারণে আমার মেয়ে পছন্দ করেনা।ওরা ব্রয়লারে অব্যস্ত।
এখানে এসে প্রথমে একটা বাঙালি রেষ্টুরেন্টে ঢুকলাম। ফুচকা আর কিমা পরটা খেলাম।নাহ! ভাল লাগেনি মোটেই। বাঙালি মান নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে সেটা মনে হয় জানেই না।তাই সবখানে বদনাম।সিডনিতে ইন্ডিয়ান লেবানিজ পাকিস্তানী আফগানদের খাবার দোকান ও আছে।ওদের খাবারের মান সম্পর্কে কোন অভিযোগ করা কঠিন। কানাডার মন্ট্রিলে বাঙালি দোকানে দুপুরে লাঞ্চ করে রীতিমতো বমি করার উপক্রম হয়েছিল । ব্যতিক্রম পেয়েছিলাম টরন্টোতে প্রিমিয়াম সুইটস।ওদের অনেক গুলো শাখা আছে টরন্টো তে। বাঙালি মিষ্টির ও খাওয়ার দোকান। ঢাকায় ও ওদের মিষ্টির দোকান আছে।বেশ মানসম্মত বাংলাদেশী ও ইন্ডিয়ান খাবার পাওয়া যায়।তবে কিন্তু আছে? মালিক বাঙালী হলে কি হবে পরিচালনা পুরোটাই ইন্ডিয়ান। সব স্টাফ ইন্ডিয়ান। এবার তাহলে বুঝুন! এজন্যই আমরা বাঙালিরা ব্যবসায় সবসময় পিছিয়ে।
দোকানে অনেক বাংলাদেশের খদ্দর দেখা গেল।অন্যদেশের ও কিছু দেখলাম। অল্প কিছু বাঙালী ললনার পোশাক পরিচ্ছদ দেখে রীতিমতো ভীমড়ি খেলাম। এরা একেবারে বিদেশিনী! যাকে বলে অন্ধ অনুকরণ! এরাই হয়ত একদিন নিজস্বতা হারিয়ে বিলীন হয়ে যাবে। খুব হতাশ হলাম! যদিও আশার কথা সিডনির বেশির ভাগ বাঙালি পরিবার তাদের স্বকীয়তা সম্পর্কে সচেতন বলে আমার মনে হয়েছে।### ১১.১২.১৯

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.