--- বিজ্ঞাপন ---

ক্ষেপেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম

0

আবারও ক্ষেপতে শুরু করেছেন বিশ্বের দু’পাগল নেতা বলে পরিচিত উত্তর কোরিয়ার কিম আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বছরের শেষ দিকে এসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের ডাকে কয়েকদিন ব্যাপি এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাধারনত এসব বিষয় উত্তর কোরিয়া প্রকাশ্যে আনে না। কিন্ত তাদের এ সম্মেলনে কিম অনেকটা হুমকি দিয়ে আক্রমনাত্মক বক্তব্য দিয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন তার দেশের ‘সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সোমবার ক্ষমতাসীন দলের কয়েকদিনব্যাপী সম্মেলনে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। বছরের এই সময়ে উত্তর কোরিয়অর ক্ষমতাসীন দলের এ ধরনের সম্মেলনের ঘটনা বিরল।

কিম ‘আক্রমণাত্মক’ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানালেও তার ধরণ সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। উত্তর কোরিয়া আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রিকরণ বিষয়ক আলোচনা বন্ধ করে পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা আবার শুরু করতে পারে বলে যখন জল্পনা চলছিল তখন কিম এ আহ্বান জানালেন। আমেরিকা বলেছে, উত্তর কোরিয়া আলোচনা বন্ধ করে দিলে ওয়াশিংটন ‘মারাত্মকভাবে হতাশ’ হবে।

সম্প্রতি পিয়ংইয়ং ঘোষণা করেছিল, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আমেরিকা পরমাণু আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ছাড় দিতে ব্যর্থ হলে উত্তর কোরিয়া ‘ভিন্ন ব্যবস্থা’ নিতে বাধ্য হবে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ওব্রায়েন গতকাল (রোববার) এক বক্তব্যে বলেন, উত্তর কোরিয়া বড় ধরনের সমরাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিলে তা ওয়াশিংটনে হতাশা সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, আমেরিকা এখনো কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়াকে রাজি করাতে চায়।

এদিকে, আলোচনা শুরু করার জন্য উত্তর কোরিয়ার বেধে দেয়া সময়সীমা যখন শেষ হতে যাচ্ছে তখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আজ (সোমবার) চলমান অচলাবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য একটি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য রাশিয়া ও চীনের প্রস্তাবে এ বৈঠক হবে। তবে ওয়াশিংটন এর আগে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

ট্রাম্পের টুইটার বার্তা

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে হুশিয়ার করে বলেছেন, একের পর এক সমরাস্ত্র পরীক্ষা অব্যাহত রাখলে তাকে সব হারাতে হবে। টুইটারে এক পোস্টে রোববার তিনি এ মন্তব্য করেন। ট্রাম্প আরও বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে শত্রুতা করলে ক্ষতি উত্তর কোরিয়ারই হবে। খবর রয়টার্সের।

এর আগে পিয়ংইয়ং দাবি করে, তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সমরাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে আলোচনা বাতিলের পরই উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এ পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা এলো। মূলত এর পরই কিমকে সব হারানোর হুশিয়ারি দেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের হুশিয়ারির আগেই শনিবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরীয় দূত কিম সং বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনো দীর্ঘমেয়াদি আলোচনার প্রয়োজন নেই। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার টেবিল থেকে ইতোমধ্যে সরে গেছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, পিয়ংইয়ং হয়তো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর খবরে বলা হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তনে সাম্প্রতিক এ পরীক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

উত্তর কোরিয়া নতুন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে এক বছরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, যাতে দেশটির বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়।###৩০.১২.১৯

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.