--- বিজ্ঞাপন ---

ইরানের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক লড়াই শুরু

0

ইরাকের মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাকে যুক্তরাষ্টের সঙ্গে তেহরানের সামরিক লড়াই হিসাবেই দেখছেন অনেকে। কেননা এই হামলার জবাব দিতে মোটেও বিলম্ব করবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের ওপর মার্কিন সেনাদের পাল্টা হামলা যে আরো ভয়াবহ হবে তাতে কোনো সন্দেহ নাই। আর এমনটি হলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ভয়াবহ যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। আর যুদ্ধ শুরু হলে তা কেবল দু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এমন নয়, এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে গোটা বিশ্ব জুড়ে।

বুধবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইতিমধ্যে বিশ্ব বাজারে বেড়ে গেছে তেলের দাম। গত শুক্রবার বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের এলিট ফোর্স আল কুদসের প্রধান কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে এই হত্যার‘ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ’নেয়ার কথা বলে আসছিলেন ইরানি নেতারা। এর বদলা নিতেই বুধবার ভোরে ইরানি সেনারা ইরাকের দুাট মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ওই হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত এবং আরো ২০০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সত্যতা স্বীকার করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। ইরাকের সেনাবাহিনী বলছে, সব মিলিয়ে ২২ টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। আল আসাদ ঘাঁটিতে ১৭ টি মিসাইল হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে দুটি বিস্ফোরিত হয়নি।

তবে ইরবিলে যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে তার সবগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। যুদ্ধ ঘোষণার সামিল ইরানের এই হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের যুদ্ধ হিসাবেই দেখছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। এমনকি মার্কিন কর্মকর্তারাও এই হামলাকে ‘যুদ্ধ’ বলেই বর্ণনা করেছেন। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ইরানের এই হামলা আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’। মার্কিন টেলিভিশন ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেন, এই হামলার প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী জবাব দেবেন সেটি এখনো নির্ধারণ করেননি। তবে তিনি নিশ্চয়ই এ হামলার কঠোর জবাব দেবেন।

হামলার পর এক টুইটারে ট্রাম্প বলেন, ‘অল ইজ ওয়েল’ (সবই ভালো)। এর আগে মঙ্গলবার তিনি বলেন: ‘ইরান যদি এমন কিছু করে, যেটা তাদের করা উচিত না, তাহলে তার ফলও তাদের ভোগ করতে হবে, যেটা হবে খুব কঠিন।’বুধবার স্থানীয় সময় সকালে ইরানের হামলা নিয়ে মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে তার। এদিকে তেহরান হুমকি দিয়ে বলেছে, ট্রাম্প যদি এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেয় তাহলে খোদ আমেরিকার মাটিতে হামলা চালাবে ইরান। তাদের ভাষায়, ‘এবার যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেই আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় এসেছে।’ এমনটি হলে অচিরেই মধ্যপ্রাচ্যে আরো একটি বড় ধরনের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে। আর এই যুদ্ধ কেবল মধ্যপ্রাচ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এমনটি নয়। এতে প্রভাবিত হবে গোটা মানব জাতি। যে কারণে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো যুদ্ধ শুরু হলে তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নেবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন অনেকে। তাই দু পক্ষের প্রতি শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাপানসহ আরো অনেক দেশ।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.