--- বিজ্ঞাপন ---

আবুল খায়ের গ্রুপ শীর্ষে চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা শুল্ক আদায়

0

করোনার এ দুঃসময়েও চট্টগ্রাম কাস্টমস ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। যা ইতিবাচক বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে বেসরকারী কোম্পানী রেকর্ড পরিমান ৭৫০ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে শীর্ষে আছে। সরকারী তেল কোম্পানি বাংলাদেশ অয়েল গ্যাস এ্যান্ড মিনারেল ১ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা দিয়ে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উপরে আছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায় জর্জরিত তখন চট্টগ্রাম কাস্টমস রাজস্ব আদায়ে গেল বছরের চেয়ে মাত্র ১ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা পিছিয়ে আছে।করোনার কারণে রাজস্ব আদায়ে ধস নামবে বলে অনেকে ধারনা করলেও চট্টগ্রাম বন্দর ও চট্টগ্রাম কাস্টমস সবকিছু সফলভাবে হ্যান্ডলিং করায় এটি সম্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি তরফদার রুহুল আমিন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন অর্থনৈতিক মন্দায় আছে। আমরাও মন্দা মোকাবেলা করছি। করোনাকালে চট্টগ্রাম কাস্টমসের আশাতিত এ সাফল্য আমাদের অর্থনীতির জন্য অবশ্যই ইতিবাচক। একই সাথে চট্টগ্রাম বন্দর নিজেদের কর্মদক্ষতা দিয়ে আমদানি-রফতানি কন্টেইনার সফলতার সাথে হ্যান্ডেল করেছে। বন্দরে যাতে জট সৃষ্টি না তার জন্য সচেষ্ট ছিল বন্দও কতৃপক্ষ। উভয় প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আমাদেও চেষ্টার ত্রæটি ছিলনা। বিশ্ব বাজাওে তেলসহ প্রায় সব সেক্টরে মন্দা চলছে। করোনার কারণে বিল অব এন্ট্রি, শুল্কায়নসহ নানা কাজে ব্যঘাত ঘটেছে। তিনি বলেন, বেসরকারী খাতের আমদানিকারকরা সক্রিয় ছিল। আবুল খায়ের গ্রুপ সাড়ে সাত’শ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে শীর্ষে রয়েছে বলে তিনি জানান।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের সরকারী ও বেসরকারী সেক্টরে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২০টি প্রতিষ্ঠান ইতিবাচক ভুমিকা রাখে। এর মধ্যে সরকারী তেল সেক্টও সবসময় বড় ভুমিকা রাখে। বেসরকারীভাবে ১২ থেকে ১৩টি কোম্পানি রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে ইতিবাচক ভুমিকা রয়েছে চট্টগ্রামের আবুল খায়ের গ্রুপের। এ গ্রুপের সিমেন্ট, গুড়োদুধ, চা, ঢেউটিন, সিরামিক, স্টিল ও রড়, টোব্যাকোর বাজার রয়েছে দেশজুড়ে। করোনাকালে আমদানি-রফতানিতে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছে আবুল খায়ের গ্রুপর। এ গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো করোনার এ দুঃসময়ে ৭৫০ কোটি টাকার রাজস্ব যোগান দিয়েছে। আবুল খায়ের গ্রুপর পরে উত্তরা মটরস, বসুন্ধরা গ্রুপ ওয়ালটন, টিকে গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, হোন্ডা, মেনোকা মটরস, হোন্ডা কোম্পানি, লিভার ব্রাদার্স, স্কয়ার গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখে।

সূত্র জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের শুরুতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধওে ৬৩ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। এ টাকা পরে কমিয়ে ৫৮ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা করা হয়। এনবিআর শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি পর্যবেক্ষন করে তা হলো ১১ মাসের লক্ষ্যমাত্রা। জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত শুল্ক আদায়ের উপর নির্ভও করে সবকিছু। সেই হিসেবে সরকারের টার্গেট ছিল ১১ মাসে ৫৩ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে। কিন্ত ৬ মাস যেতে না যেতে চীনে করোনা মহামারি আঘাত হানলে চীনের দরজা বন্ধ হতে থাকে।দেশের আমদানিকারকদের বড় বাজার হচ্ছে চীন। চীন থেকে আমদানি বন্ধ হবার পর দেখা যায় মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৭ হাজার ৬০৬ কোটি টাকা। মার্চেও পরে মূলত দেশের আমদানি-রফতানিতে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ধস নামে। তারপরও জুলাই শেষপর্যন্ত ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়কে ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে।### ৩০.৭.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.