--- বিজ্ঞাপন ---

রহস্যে ঘেরা মিসরের ফেরাউন!!

0

কাজী আবুল মনসুর##

মিশরের ফেরাউন নিয়ে বিশ্বে কাহিনীর অন্ত নেই। ফেরাউনকে নিয়ে বিভিন্ন মুসলিম দেশে বানানো হয়েছে নানা সিরিজ। বিশেষ করে মুছা নবীর আমলে কাহিনীতে ফেরাউনের চিত্র তুলে ধরেছেন অনেক নির্মাতা। মুসলমান সমাজের ভেতরে যারা বয়স্ক তারা কথায় কথায় নমরূদ-ফেরাউনের কথা নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করেন। ফেরাউন কি একজন মানুষ, দেখতে কি রকম, কেন খারাপভাবে ফেরাউনকে আমাদের সমাজে চিত্রিত করা হয় এসব প্রশ্নের শেষ নেই। ফেরাউন কিন্ত এখনও মিশরের অনেক বয়স্ক মানুষের কাছে প্রিয়। কারন ফেরাউনকে কেন্দ্র করেই রচিত হয়েছে মিশরের অনেক কিছুর পটভূমি।

আমরা মনে করি ফেরাউন বুঝি একজন। যার জম্ম মিশরে। আসলে ফেরাউন উপাধি দেয়া হতো মিশরের সম্রাটদের।যিনি সিংহাসনে আসীন হতেন তিনিই হতে ফেরাউন। তবে ইসলাম ধর্মের মুসা নবীর সময় যে ফেরাউন ছিলেন তার নাম ছিল কাবুস। তিনি ছিলেন মিশরের ১৮তম রাজবংশের ফেরাউন। মূলত এই কাবুসকে ঘিরে রচিত হয়েছে ফেরাউনের যত সব খারাপ দৃষ্টান্ত।

উইকিপিডিয়া হতে জানা যায়, মুসার সময় যে ফেরাউন ছিল তিনি ১৮তম রাজবংশের, তার নাম কাবুস বলে উল্লেখ করা হয়। সে যুগে ফেরাউন হতো মিসরের সম্রাটের খেতাব। ফেরাউন যখন স্বপ্নে দেখলেন যে, বনী-ইসরাঈল বংশে জন্মগ্রহণকারী এক পুত্র সন্তান কর্তৃক তিনি বিতাড়িত হবেন। তার রাজত্বের অবসান ঘটবে এবং তার প্রবর্তিত দ্বীনের পরিবর্তন হবে। তখন তিনি তার পরিষদবর্গকে এ বিষয় অবিহত করলেন এবং এর ব্যাখ্যা জানতে চাইলেন। হামান ছিলেন ফেরাউনের মন্ত্রী। তাদের স্বপ্নের ব্যাখার ভিত্তিতে ফেরাউন শঙ্কিত হয় এবং তার প্রতিকার হিসেবে তিনি ফরমান জারি করেন যে, বনী-ইসরাঈলের কোন নবজাতক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করলেই যেন তাকে হত্যা করা হয়। প্রতিটি সন্তান-সম্ভবা মায়ের প্রতি যেন নজরদারী রাখা হয়। এভাবে কিছুকাল অতীবাহিত হওয়াতে বনী-ইসরাঈলের পুত্র সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে এবং এতে করে ফেরাউনের সম্প্রদায়ের লোকজন আশঙ্কা প্রকাশ করে যে, বনী-ইসরাঈল বংশের বিলুপ্ত ঘটলে তাদের দাস ও শ্রমিকের অভাব ঘটবে এবং দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। তারা এ আশঙ্কার বিষয়টি ফেরাউনকে অবহিত করেন। অতঃপর তিনি নির্দেশ দেন যে, বছর অন্তর অন্তর যেন পুত্র সন্তান হত্যা করা হয়; তবে গোপনে গোপনে সার্বিক হত্যার ঘটনা কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। বর্ণিত আছে যে বছর হত্যার আদেশ রহিত ছিল সেই বছর হারুন জন্মগ্রহণ করেন। আর হত্যার আদেশ যখন বলবৎ ও কার্যকরী ছিল সেই বছর হযরত মূসা মায়ের পেটে আসেন। বিষয়টি তার স্বীয় কন্যা মরিয়ম ব্যতীত আর কেউ জানত না। কথিত আছে ‘কাবেলা’ নামক এক কিবতী স্ত্রী মূসার মাতার প্রতি প্রহরী রূপে নিযুক্ত ছিল। ভূমিষ্ট কালীন সময়ে সে হাজির হয়। সদ্যোজাত মূসার রূপ লাবণ্য দর্শনে কাবেলা মুগ্ধ হয়ে পড়ে এবং শিশুর প্রতি তার স্নেহ-মায়া সৃষ্টি হয়। সে মূসার জননীকে অভয় দিয়ে বলে, ‘তুমি চিন্তা করিও না, আমি এ বিষয় প্রকাশ করিব না। এভাবে মূসার জননী শিশু মূসাকে তিন চার মাস পর্যন্ত বুকের দুধা খাইয়ে গোপনে বড় করতে থাকেন। শিশু মূসার জন্মের পর থেকেই উম্মে মূসা বিচলিত হয়ে পড়েন এই ভেবে, না জানি এ সংবাদ ফেরআউনের দরবারে পৌঁছে যায়। নিষেধাজ্ঞার কালে গর্ভধারণ, পুত্র সন্তান প্রশব এ সমগ্র বিষয়টি উম্মে মূসাকে সার্বক্ষণিকভাবে চিন্তাক্লিষ্ট ও তটস্থ করে রাখে। ভয় ও শঙ্কায় তার দিন অতীবাহিত হতে থাকে। কিভাবে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখা যায় এই ভেবে তিনি দুঃশ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়েন। যখন আর মূসার উপস্থিতি গোপন রাখা সম্ভব ছিল না, তখন তার মা তাঁকে আল্লাহ্‌র হুকুমে শিশু মূসাকে স্থাপনপূর্বক চাদরে আবৃত করে একটি ঝুড়িতে রেখে নীল নদে ভাসিয়ে দেন। আল্লাহ্‌ তাআলা সূরা আল কাসাসের ৭ নম্বর আয়াতে বলেনঃ“ আমি মূসা-জননীকে আদেশ পাঠালাম যে, তাকে স্তন্য দান করতে থাক। অতঃপর যখন তুমি তার সম্পর্কে বিপদের আশঙ্কা কর, তখন তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ কর এবং ভয় করো না, দুঃখও করো না। আমি অবশ্যই তাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দেব এবং তাকে পয়গম্বরগণের একজন করব। ”
ঝুড়িটি ভাসতে ভাসতে ফেরাউনের প্রাসাদ সংলগ্ন বাগানে থেমে থাকে। ফেরাউনের লোকজন এটিকে উঠিয়ে নেয় এবং পরবর্তীতে ফেরাউনের স্ত্রী ‘আসিয়া’ এর নিকট নিয়ে এল। মূসা দেখতে ছিলেন অত্যন্ত সুন্দর। ফেরাউনের কোনও পুত্র সন্তান ছিলো না, শুধু একটি কন্যা সন্তান ছিলো পরবর্তীতে যে ফেরাউনের সিংহাসনে বসেন। শিশু দর্শনে সবার মন স্নেহসিক্ত হয়ে উঠে। বিশেষ করে, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়ার কোমল অন্তর মাতৃস্নেহে বিগলিত হয়। বিষয়টি ফেরাউনকে অবহিত করা হলে তিনি শিশুটিকে মেরে ফেরার নির্দেশ দেন, কিন্তু এতে স্ত্রী আসিয়া বাধা দেন। আল্লাহ্‌ তাআলা কোরআনের সূরা আল কাসাসের ৯ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করেনঃ “ ফেরাউনের স্ত্রী বলল, এ শিশু আমার ও তোমার নয়নমণি, তাকে হত্যা করো না। এ আমাদের উপকারে আসতে পারে অথবা আমরা তাকে পুত্র করে নিতে পারি। ” সন্তানের থেকে বিচ্ছেদের ফলে, মূসার (আঃ) মায়ের অন্তর দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। তিনি মূসার (আঃ) ভগিনীকে “মরিয়ম” বললেন তাকে অনুসরণ করার জন্য এবং সে তার কথামত অজ্ঞাতসারে অপরিচিতা হয়ে তাকে অনুসরণ করলো। ফেরাউনের স্ত্রীর তত্ত্বাবধানে এবার শিশু মূসা প্রতিপালিত হতে থাকে। তবে সমস্যা দেখা দেয় স্তনপান নিয়ে। শিশু মূসা কোন ধাত্রীরই স্তন পান করছে না। বিষয়টি ফেরাউন স্ত্রী আসিয়াকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলে। অবশেষে মূসার ভগিনী যে গোপনে সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছিল সে এসে আবেদন জানায় যে, আমি এমন একজন মহিলার কথা জানি যার স্তন এই শিশু পান করতে পারে। সেই মহিলাটিকে হাজির করতে তাকে আদেশ দেয়া হয়। অতঃপর সে নিজ মাতা অর্থাৎ মূসার জননীকে সবার সামনে উপস্থিত করে। মূসা নির্বিঘ্নে মাায়ের  দুগ্ধ পান করতে থাকেন। এ ঘটনায় সবাই বিস্ময়াভিভূত হয়। উম্মে মূসাকে রাজপরিবারের অবস্থান করার অনুমতি প্রদান করা হল। কিন্তু তিনি সেখানে থাকতে অস্বীকার করেন এবং বলেন যে, তার স্বীয় স্বামী-পুত্র-কন্যা-পরিবার রয়েছে। অবশেষে কিছু শর্তসাপেক্ষে তাকে শিশুসহ নিজ গৃহে অবস্থান করার অনুমোদন দেয়া হয়। উম্মে মূসা অত্যন্ত প্রফুল্ল চিত্তে স্বীয় পুত্র শিশু মূসাকে নিয়ে নিজগৃহে প্রত্যাবর্তন করে। আল্লাহ্‌ তাআলা সূরা আল কাসাসের ১৩ নম্বর আয়াতে বলেনঃ“ অতঃপর আমি তাকে জননীর কাছে ফিরিয়ে দিলাম, যাতে তার চক্ষু জুড়ায় এবং তিনি দুঃখ না করেন এবং যাতে তিনি জানেন যে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য, কিন্তু অনেক মানুষ তা জানে না।’

মুছা নবীর ক্ষেত্রে ইতিহাসটা এ রকম হলেও ফেরাউনের মনে কোন দয়া মায়া ছিলনা। অনেক শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে ফেরাউন। মুসা নবীর সময় মিশরের সিংহাসনে থাকা ফেরাউন মূলত হয়ে উঠেন ইসলাম ধর্মের দুশমন। তার ধারাবাহিকতায় ফেরাউনদের নির্মম হত্যাকান্ডের ইতিহাস মুসলিম বিশ্বে বেশ প্রচলিত। মিশরের ফেরাউনদের কেউ কেউ এতই প্রভাবশালী ছিলেন যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এসব ফেরাউনের লাশ মিশরের যত্ন করে মমি করে রাখা হয়েছে। এসব মমি নিয়ে মানুষের মাঝে কৌতুহলের অন্ত নেই। যেমনটি কৌতুহল দেখিয়েছিলেন ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ মিতেরা। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ১৯৮১ সালে তৎকালীন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া মিতেরা মমি করে রাখা ফেরাউনের লাশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় মিথেরা ফেরাউনের একটি মমি তুলে ফ্রান্সে পাঠানোর জন্য মিশর সরকারের কাছে অনুরোধ করেন। পরে জানা যায় যে লাশ মমি আকারে পাঠানোর জন্য চিহ্নিত করা হয় তা অভিশপ্ত মিশরের সম্রাট রেমসিস দ্বিতীয় এর। মিশর সরকারের সাথে ফ্রান্সের বন্ধুত্ব সুলভ সম্পর্ক থাকার কারনে মিশর রাজি হয়। কাচঁ ঘেরা একটি বাক্স তৈরি করে ফেরাউনের মমি পাঠানো হয় ফ্রান্সে। এ সময় পুরো ফ্রান্স জুড়ে বেশ সাজ সাজ রব পড়ে। মিশর থেকে ফেরাউনের লাশবাহী বিমান যখন ফ্রান্সের মাটিতে অবতরণ করে তখন বিমান বন্দরে এক অভুতপূর্ব,দৃশ্যের অবতারনা হয়। ভিআইপি মর্যাদায় অভিষিক্ত হয় ফেরা্নউনের মমি। ফ্রান্সের সরকার প্রধান থেকে শুরু করে প্রায় পুরো মন্ত্রী পরিষদ, সাংবাদিক, ইতিহাসবিদ, সরকারী উচ্চ-পদস্থ ফরাসী কর্মকর্তা লাশটিকে গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে হাজির হয়।

রাজকীয় হালে ফেরাউনের লাশ রাখা হয় ফ্রান্সের একটি বিশেষ সংরক্ষণাগার কেন্দ্রে। লাশটি এক নজর দেখতে এবং গবেষণা করার জন্য দেশটির সেরা মানুষগুলোকে জড়ো করা হয়। ফেরাউনের রহস্য উদ্ধারের জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেন। শেষপর্যন্ত ফেরাউনের লাশ সংক্রান্ত গবেষক টিমের প্রধান মরিস বুকাইলি নানা গবেষণার পর ঘোষণা দেন সাগরে ডুবিয়ে ফেরাউনকে মারা হয়েছে। সাগর থেকে তুলে করা হয়েছে মমি। বুকাইলির এ ঘোষণার পর মুসলিম সমাজ থেকে তাকে বলা হয়,‘মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থে ফেরাউন ডুবে মারা যাওয়ার কথা লেখা আছে। তাকেঁ এটি দেখানোর পর  বুকাইলি সে রাতেই বাইবেল ও তৌরাত পড়া শুরু করেন। বুকাইলি দেখেন, তৌরাতের একটি অধ্যায়ে লেখা আছে, দ্বিখন্ডিত লোহিত সাগর বা নীলনদের পানি ফিরে এসে ফেরাউনসহ তার পিছে পিছে আসা ঘোড়াগুলো ও তার সেনাদের সবাইকে ডুবিয়ে নেয়। তাদের কেউই বাচঁতে পারে নি। তৌরাতের এ অংশটুকু পড়ে বিস্মিত হন বুকাইলি। ভাবেন এত কিভাবে জানা ছিল ফেরাউনের ডুবে যাওয়ার ঘটনা। ফেরাউন নিয়ে আর তেমন কোন নতুন তথ্য উঠে আসেনি। ফরাসী সরকার পুনরায় কাঁচের কফিনে করে ফেরাউনের মমি মিশরে ফেরত পাঠায়। গবেষক বুকাইলির এর পর ইসলাম ধর্ম  নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। পরে জানা যায় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এই রেমসিস দ্বিতীয় মুসা নবীর সময়কালীন ফেরাউন কিনা জানা যায় নি।

তবে মিশরের অনেক মানুষ এখনও মনে করেন মৃত্যুর পরও আত্মা বেঁচে থাকে। তারা আত্মাকে ঘর বন্দী করে রাখতেন। এমনভাবে করতেন যাতে আত্মা সেখান থেকে বের হতে না পারে! মিসরের পিরামিড হলো সেসব আত্মাদের ঘর-বাড়ী। তাদের বিশ্বাস ছিল আত্মা জীবিত আছে, তাই তার খাবারের প্রয়োজন। এমন কি কাপড়-চোপড়ের ব্যবস্থাও করতেন। এসব অদ্ভুত বিষয় সবসময় সক্রিয় থাকতো প্রাচীন মিসরীয়দের মনে। মারা যাওয়া মানুষকে মমি করে পাথরের পাহাড়ের ভেতর রেখে দিতেন তারা। মিসরীয় প্রভাবশালী কোন নেতা বা রাজা মারা গেলে তো কথাই নেই। তার আত্মার ঘর হতো বিশাল। বছরের পর বছর ধরে চলতো এর নির্মান কাজ। এত এত বড় পাহাড় কিভাবে যে তৈরি করেছিল তারা তার কুল কিনারা এখনও কেউ করতে পারেনি। তাই মিসরের পিরামিড হলো পৃথিবীর আশ্চর্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। হযরত মুসা জম্মগ্রহণ করেছিলেন ফেরাউনের আমলে। ফেরাউনদের অনেকে বেচেঁ ছিলেন ৪০০/৫০০ বছর! এসব ফেরাউন এতই প্রভাবশালী ছিলেন যে, তাদের মৃত্যুর পর ধন-দৌলতও আত্মার সাথে দিয়ে দেয়া হতো।

মিসরের পিরামিডগুলো হলো আসলে ফেরাউন বা প্রাচীন মিসরীয়দের কবর। মিসরে ৭৫টি পিরামিড আছে। সবচেয়ে বড় আকর্ষনীয় পিরামিডটির নাম গীজার পিরামিড। উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। সাড়ে সাত’শ বর্গফুট জমির উপর এটি নির্মিত। মিসরের পাথর খন্ডের এক একটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন! দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৫০ ফুট। বহুদুর থেকে এগুলো এনে জোড়া লাগানো হতো। মানুষরাই এগুলো রশি বেধেঁ টেনে টেনে আনতো। অনেক চিত্রে এসব পিরামিড তৈরির কষ্টকর দৃশ্য ফুটে রয়েছে। এই পিরামিড এমনভাবে নির্মান করা হয়েছিল যাতে বিন্দুমাত্র কোন ফাঁক না থাকে। পাথরের এসব নির্মান শৈলি আজও মানুষের মনে নানা রহস্যের জম্ম দেয়। এখনও মিসরের অনেক মানুষ পুরানো দিনের এসব বিশ্বাস লালন করে চলেছে। অনেকের স্বপ্নে ফেরাউনরা ঘুরাফেরা করেন। অনেকে আনন্দিত হন ফেরাউন ভক্তের কারনে, আবার অনেকের মনে জম্ম নেয় নানা ভয়। এই বুঝি কোন বিপদ এলো।###২৯.৯.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.