--- বিজ্ঞাপন ---

রহস্যে ঘেরা মানুষের শরীর

0

কাজী আবুল মনসুর##

‘মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি,কোন মিস্তরি বানাইয়াছে ,মন আমার দেহ ঘড়ি, ও একখান চাবি মাইরা দিছে ছাইড়া, জনম ধইরা চলতে আছে’ এই ফোক গানটির সাথে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত। এ দেহঘড়ির রহস্যের কুল কিনারা এখনও বিজ্ঞানীরা করতে পারেন নি। অনেকে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। মানুষের শরীরের প্রতিটি স্তরে স্তরে লুকানো আছে নানা কিছু, যা খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছে না। আবিস্কারের অনেক কিছুই বাকি আছে। বলতে গেলে মানব শরীরের সামান্য মাত্র কুলকিনারা চিকিৎসা বিজ্ঞানে করা গেছে যা অপ্রতুল।

বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা মানব শরীরের কয়েকটি অমীমাংসিত রহস্য নিয়ে নাকি বছরের পর বছর ধরে গবেষণা করে যাচ্ছেন কিন্ত কোন সমাধান পাচ্ছেন না। এর একটি হলো, আমাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট। পৃথিবীতে যত মানুষ আছে তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কেন একই হবে না। এমনকি অভিন্ন চেহারার জমজদের ক্ষেত্রেও কেন আলাদা। আমাদের শরীরে অ্যাপেনডিক্স নামে  একটি অর্গান আছে, যার থেকে মানুষ প্রচুর ব্যাথা পায়, অথচ এটি অপসারণ করলে নাকি শরীরে কোনো প্রভাবই পড়ে না। তাহলে কেন মানব শরীরে এ অর্গানটি রয়েছে। মায়ের গর্ভে থাকা শিশুটিও হাই তোলে। এই হাই তোলা নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। কেন মানুষের রক্তের গ্রুপ এক না। ভিন্ন ভিন্ন রক্ত কেন নানা প্রকার রোগব্যাধিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে বা পারে না, এ নিয়ে এখনও চলছে নানা গবেষণা। প্রতিটি মানুষ তাদের জীবনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নাকি ঘুমে কাটায়। আর এ ঘুমের মধ্যে আমরা স্বপ্নে দেখি। কেন আমরা স্বপ্ন দেখি এ রহস্যের উম্মোচন করতে পারছে না কেউ। আমাদের শরীরে মাইক্রোব বা জীবাণু রয়েছে যার অধিকাংশ ভাইরাস। এগুলো আমাদের শরীরে দাপিয়ে বেড়ায়। তাদের মধ্যে প্রচুর মাইক্রোব আমাদের শরীরের উপকার করে, হজমে সাহায্য করে, ক্ষত সারিয়ে তোলে অথবা রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। আবার কোন কোন ভাইরাস শরীরে ঢুকে আমাদের শেষ করার ক্ষমতা রাখে। এ ভাইরাস নিয়ে কুল কিনারা পাচ্ছে না বিজ্ঞানীরা। মানুষের হাসি নাকি ছোঁয়াচে। যখন কেউ হাসে  তখন মানুষের মাথা থেকে এন্ডোরফিন  নামক এক প্রকার ক্যামিকেল নিঃসরন হয়। যা আমাদেরকে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করতে সাহায্য করে। তবে হাসি কেন ছোঁয়াচে তার প্রকৃত কারণ এখনো উদঘাটিত হয়নি।

আসল কথা হচ্ছে মানুষের শরীর নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। বহু বছর ধরে মানুষের শরীর নিয়ে গবেষনা হচ্ছে। হয়ত কিছু বিষয় বিজ্ঞানীরা বের করতে পারলেও এখনও বেশিরভাগই অজানা রয়েছে।  তারপরও মানব শরীর নিয়ে যে বিষয়গুলো প্রকাশ্যে এসেছে, তা হলো, মানব শরীরে ৭০% পানি ও ১৮% র্কাবন রয়েছে, একজন শিশুর জন্মরে সময় হাড় থাকে ৩৫০ টি, র্পূণবয়স্ক মানুষরে শরীররে হাড়রে সংখ্যা ২০৬ টি, মানুষের শরীরে ৬৫০ টি পেশি, কোন কোন কাজে র্সবোচ্চ ২০০ টি পেশি সক্রিয় হয়। মুখমন্ডলে ৩০ টিরও বেশি সক্রিয় আছে। হাসতে গলেে ১৫ টির বেশি পেশি সক্রিয় হয়। একজন মানুষের হৃৎপিন্ড তার মুষ্টিবদ্ধ হাতের সমান।
হৃৎপন্ডি যেমনটা ভাবা হয় বুকের বামদিকে আসলে তা নয়। এটা মাঝখানইে তবে বামদিকে এক-তৃতীয়াংশ প্রসারিত। একজন মানুষের গড় ক্ষমতা ০.১৪৩ অশ্ব ক্ষমতা। চোখের একটা পলক ফেলতে ০.৪ সকেন্ডে সময় লাগে দেহে অনুভূতি আসলে তা মস্তিস্ক পৌঁছতে ০.১ সকেন্ডে সময় লাগে কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্ররে মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়। আমাদরে মস্তিস্ক প্রায় ১০,০০০ টি বিভিন্ন গন্ধ চিনতে ও মনে রাখতে পারে। সুস্থ্ দহেে রক্তের গতিবেগ ঘন্টায় ৭ মাইল। একজন মানুষের রক্তের পরমিাণ তার মোট ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ। র্অথাৎ ৬৫ কজেি ওজন মানুষরে রক্তের পরিমাণ হল ৫ কেজি । দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে
রোগ প্রতিধোকারী শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে ।একজন মানুষরে শরীরে চামড়ার পরিমাণ হচ্ছে ২০ র্বগফুট। একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ…..।

মানুষের শরীরে যত ধমনী, শিরা উপশিরা রয়েছে তার সবগুলোকে বাইরে এনে একটার সাথে আরেকটাকে জড়িয়ে লম্বা করলে এটি লম্বায় হবে ৬০ হাজার মাইল। একটি মানুষের শরীরের শিরা উপশিরা দিয়ে একজন মানুষ গোটা পৃথিবী ৩বার ঘুরে আসতে পারবে। মানুষের শরীরে রক্ত চলাচলের জন্য যে শিরা আছে, তার সবগুলো পাশাপাশি সাজালে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে। মানব শরীরে আছে ফসফরাস। যা আগুন জ্বালাতে সাহায্য করে। মানব শরীরের ফসফরাস দিয়ে প্রায় ১২০০ দিয়াশলাই তৈরী করা যাবে। শরীরগুলো এতই শক্তিশালী যে প্রতিবারে ২৭৯ কেজি ওজন বল প্রয়োগ করতে পারে। আমাদের রুচিবোধের জন্য অর্থাৎ, কোনটা আমরা পছন্দ করি এটি বলে দেয়ার জন্য রয়েছে ৯ হাজার ছোট সেল। এগুলোকে আবার সাহায্য করার জন্য রয়েছে ১ কোটি ৩০ লক্ষ নার্ভ সেল।### ১.১০.২০ (বিদেশী পত্রিকা অবলম্বনে)

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.