--- বিজ্ঞাপন ---

ভারতের মিসাইল পরীক্ষা ব্যর্থ, উৎক্ষেপনের ৮ মিনিট পরেই মিশন বাতিল

0

 মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ##

চীনকে ভয় দেখাতে গিয়ে তড়িঘড়ি করে ‘নির্ভয়’ নামক মিসাইল এর পরীক্ষা ব্যর্থ হল । ভারতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাড়াহুড়ো করে এ পরীক্ষা করায় সফলতা আসেনি বলে এর কড়া সমালোচনা করেছে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ভারতের দৈনিক সংবাদ ‘প্রতিদিন’ পত্রিকা অনলাইন সংস্করণে শিরোনাম দেয় “উৎক্ষেপণের ৮ মিনিট পরেই বাতিল মিশন, প্রশ্নের মুখে ভারতের ‘নির্ভয়’ মিসাইল” । প্রশ্নের মুখে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘নির্ভয়’ মিসাইলের কার্যক্ষমতা। সোমবার ওড়িশা উপকূল থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। তবে ছোঁড়ার ৮ মিনিট পরই আচমকা মিসাইলটির মিশন বাতিল করে দেয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)।ভারতের এএনআই সংবাদ সংস্থাও সংবাদটি পরিবেশন করে। অবশ্য বালাকোটে ভারতের মিগ-২১ জঙ্গী বিমান ভূপাতিত ও পাকিস্তানের হাতে পাইলট অভিনন্দনের বন্দি হওয়ার পরও নয়াদিল্লী তড়িঘড়ি করে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে  বেশ চড়া দামে ‘রাফাল’ যুদ্ধবিমান ক্রয় করে। ভারতের পার্লামেন্টে বেশী দামে তাড়াহুড়ো করে ‘রাফাল’ বিমান ক্রয় নিয়ে সমালোচনা হয়েছে প্রচুর। সমালোচকরা বলেন, প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ৩৬টি বিমানের পরিবর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও কম মূল্যে হাইটেক জঙ্গী বিমান ক্রয় করা যেত।  পত্রিকাটি ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় , এদিন সকাল ১০.৩০ নাগাদ বঙ্গোপসাগরে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সাবসোনিক ‘নির্ভয়’ মিসাইলটি ছোঁড়া হয়।তবে উৎক্ষেপণের ৮ মিনিট পর যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেওয়া মিশন বাতিল কড়ে দেওয়া হয়।ফলে মাঝ সমুদ্রে আছড়ে পরে ধ্বংস হয়ে যায় ক্ষেপণাস্ত্রটি।তবে ঠিক কী সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।ফলে মিসাইলটির কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।যদিও প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার দাবি, আগামী মাসে ফের ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে।এনিয়ে বিগত ৩৫ দিনে ১০টি মিসাইল উৎক্ষেপণ করল ভারত।

ভারতীয় পত্রিকার ভাষায়, ‘ড্রাগন’ চীনকে উচিত শিক্ষা দিতে আগেই লাদাখ সীমান্তে ‘নির্ভয়’ মিসাইল মোতায়েন করেছিল ভারত।তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ফৌজে অন্তর্ভুক্তি হয়নি ক্ষেপণাস্ত্রটির।কিন্তু হানাদার চীনা বাহিনীকে জবাব দিতে অন্তর্ভুক্তির আগেই বেশ কয়েকটি মিসাইল ইউনিট প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী আগামী মাসেই সপ্তম দফার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে নির্ভয় মিসাইলের।তারপরই ভারতের স্থলসেনা ও নৌসেনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হবে এই ক্ষেপণাস্ত্র।কিন্তু চীনের সঙ্গে লড়াইয়ের আবহে সীমান্তে প্রতিরক্ষা ও আক্রমণের ক্ষমতা বৃদ্ধ করতে অনুষ্ঠানের আগেই বেশ কয়েকটি নির্ভয় মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে নয়াদিল্লি।সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কঠিন জ্বালানিতে চলা এই সাবসোনিক মিসাইল ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম।শত্রুপক্ষের রাডারের চোখে ধুলো দিতে জমি বা সমুদ্রপৃষ্ট ঘেঁষে নিশানায় দিকে উড়ান ভরে মিসাইলটি।

এর আগে গত ভারতের আজকাল অনলাইন ৫ অক্টোবর সেদেশের দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার খবর দেয়। মূলত: চীনকে লক্ষ্য করে ভারতের নিত্য নতুন সমরাস্ত্রের পরীক্ষা চলছে দ্রুত।পত্রিকাটি জানায়, সুপারসোনিক মিসাইল অ্যাসিসটেড রিলিস অফ টর্পেডো (‌এসএমএআরটি)‌-র সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করল ভারত।এদিন সোমবার ওডিশার হুইলার দ্বীপের উপকূল থেকে এসএমএআরটি–র সফল উৎক্ষেপণের জন্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন সেদেশের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

এসএমএআরটি ডুবোজাহাজ যুদ্ধের জন্য তৈরি হাল্কা ওজনের মিসাইল–টর্পেডো সিস্টেম যা সাধারণ টর্পেডোর থেকেও অনেক দূরের লক্ষ্য ভেদ করতে পারে। পরীক্ষা সফল হলে পর ডিআরডিও’র চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি বলেন, ডুবোজাহাজ দমন যুদ্ধের খেলা বদলে দেওয়ার মতো প্রযুক্তি আছে এসএমএআরটি। তাই এটাকে ‘‌গেম চেঞ্জার টেকনোলজি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।অবশ্য কিছুদিন আগেই লেজার-গাইডেড অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলেরও সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল ডিআরডিও।### ১১.১০.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.