--- বিজ্ঞাপন ---

ভূমধ্যসাগরে আবারো জাহাজ পাঠিয়েছে তুরস্ক, ক্ষুদ্ধ গ্রীস

0

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম##

তুরস্ক আবারও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে খনিজ অনুসন্ধানকারী জাহাজ ‘ওরুচ রেইস’কে পাঠিয়েছে। জারী করেছে নৌ সতর্কতামূলক বার্তা নতুন নেভটেক্স । ঐ সমুদ্র এলাকায় তেল গ্যাস অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে কিছুদিন আগেও গ্রীসের সাথে প্রায় যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিল দেশটি। তুরস্ক বলছে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই অনুসন্ধান। এবারও সেই আগের মতোই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে যাচ্ছে দু’দেশ।ফলে গ্রীসের সঙ্গে আবার তাদের সংঘাত বাড়তে পারে।তুর্কী যুদ্ধজাহাজের কড়া প্রহরায় পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যাচ্ছে তুরস্কের অশোধিত তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ এই  ওরুচ রেইস নামের বহুল আলোচিত জাহাজ ।

রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, তুরস্কের এরদোয়ান সরকার  এ যাত্রায় গ্রীসের সাথে দীর্ঘদিন থেকে চলতে থাকা সমুদ্র ও ভৌগলিক সীমানার একটি সর্ম্পূর্ণ সমাধান চাইছে। এসকল বিরোধের মধ্যে রয়েছে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, গ্রীস কর্তৃক বিতর্কিত দ্বীপসমূহকে সামরিকীকরণ, সুস্পষ্টভাবে আকাশসীমা ও ভৌগলিক সীমারেখা নির্ধারণ করা।

তুরস্কের সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত অনুসন্ধান চালাবে ওরুচ রেইস। গ্রিসের কাস্তেলরিজো দ্বীপের কাছে যাবে এই অনুসন্ধানকারী জাহাজ। ওরাক রাইসের সঙ্গে যোগ দেবে আরো দুইটি জলযান।তুরস্কের দৈনিক সাবাহ, আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি, রয়টার্স এ সংবাদ দেয়।

গত অগাস্টেও পূর্ব ভূমধ্যসাগরের বিতর্কিত জলসীমায়  গিয়েছিল ওরুচ রেইস। তার সঙ্গী ছিল নৌবাহিনীর জাহাজ। তুরস্কের দাবি ছিল, গবেষণার জন্য তারা এই জাহাজ পাঠিয়েছে।এ নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে তাঁদের সংঘাত শুরু হয়। উত্তেজনা চরমে ওঠে। ফ্রান্সও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানকে উত্তেজনা কমাবার অনুরোধ করেন। তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকিও দেয়া হয়।

গত মাসে ওরুচ রেইসকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তুরস্ক। তখন এর্দোয়ান বলেছিলেন, তিনি সমস্যার সমাধানের জন্য কূটনীতিকে একটা সুযোগ দিতে চান। তবে সে সময়ও তুরস্কের সরকারি অফিসাররা বলেছিলেন, অনুসন্ধানকারী জাহাজের কিছু মেরামতি প্রয়োজন। তাই তা দেশে ফেরানো হয়েছে। তাঁদের পরিকল্পনায় কোনো বদল হয়নি। মেরামতি হয়ে গেলে আবার তা পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যাবে। দেখা যাচ্ছে, তাঁরা ঠিকই বলেছিলেন। ইতিমধ্যে দুই দেশই ন্যাটোরউদ্যোগে আলোচনায় রাজি হয়েছে। গত সপ্তাহে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর কথাও হয়েছে। গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এই প্রথমবার আলোচনায় বসেছিলেন বিদেশমন্ত্রীরা।

তুরস্কের সরকারি টেলিভিশন জানিয়েছে, জার্মান বিদেশমন্ত্রী হাইকো মাস, আগামী বুধবার তুরস্ক যাবেন। তাঁর সঙ্গে তুরস্কের নেতাদের আলোচনায় সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের এই উত্তেজনা। তার মধ্যেই পূর্ব ভূমধ্যসাগরে জাহাজ পাঠিয়ে তুরস্কও একটা বার্তা দিতে চেয়েছে।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.