কাজী আবুল মনসুর ##
সারা বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সাবমেরিন নিয়ে আধিপত্য বজায় রাখতে সচেষ্ট এখন রাশিয়া। দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে নজর দিয়ে রেখেছে। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি চোখ ফাকিঁ দিয়ে কেউ এ সাবমেরিন রাজ্যে ঢুকতে পারে না। শেষপর্যন্ত হৈচৈ উঠে তখন, যখন বিশ্ব জানলো রাশিয়া পারমানবিক সাবমেরিন নির্মানে অনেক দুর এগিয়ে গেছে। অনেকটা নীরবে রাশিয়া সাগরের ডুবো যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে সক্রিয় রয়েছে। এরই মধ্যে রাশিয়ান সাগরে প্রশিক্ষন, অনুশিলনও শুরু করেছে।
দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে শক্তি বাড়াচ্ছে রাশিয়া। আকাশ ও স্থল পথে রাশিয়ার রয়েছে বিপুল শক্তি। এবার রাশিয়া পারমানবিক চালিত সাবমেরিন রফতানি করবে। এই সপ্তাহের গোড়ার দিকে রাশিয়ান নৌবাহিনীর পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন ওরিওল (কে -২৬৬ ওরেল) এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে। ওরিওল থেকে একটি পি-৭০০ গ্রানাইট ক্ষেপনাস্ত্র ছোড়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় অনুশিলন। এটি একটি এন্টি ক্রুজ ক্ষেপনাস্ত্র। আরেকটি ক্ষেপনাস্ত্র হলো ইল-৩৮। যেটা বিমান ঘায়েল করা যায়। ক্ষেপনাস্ত্র এলাকা থেকে ১২০ কিলোমিটার দুরের লক্ষ্যবস্ততে আঘাত করতে সামর্থ হয়। পরীক্ষাকালে পুরো এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এমনকি বিমান চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া রাশিয়া তাদের নৌবাহিনীর অনুশিলনে শত্রু শিবিরের সাবমেরিন কোথায় রয়েছে তারও পরীক্ষা চালায়। নানা কায়দায় সাবমেরিন থেকে শত্রু সাবমেরিন বের করার ক্ষেত্রেও সেনারা প্রশিক্ষিত হয়।