--- বিজ্ঞাপন ---

জয়ের দ্বারপ্রান্তে জো বাইডেন, ট্রাম্প আদালতে

0

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ##

জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। আর মাত্র ৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেলেই নির্বাচিত হবেন বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী দেশটির প্রেসিডেন্ট। পেয়েছেন ২৭০টি ভোটের মধ্যে ২৬৪টি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২১৪ ভোট পেয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। জো বাইডেন অবশ্য সকাল থেকেই জেতার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। সুইং স্টেট দখল করেছেন।ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৫টি ইলেকটোরাল ভোট। গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যে ক্লিন সুইপ করেছেন। এই রাজ্য কার দিকে যাচ্ছে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। তবে শেষ বেলায় মিশিগান জয় করে বাইডেন জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন। ট্রাম্প এখনো দাঁড়িয়ে আছেন ২১৪টি ভোটে। বাইডেন পৌঁছে গিয়েছেন ২৬৪ ভোটে। আর ছয়টি ভোট পেলেই প্রেসিডেন্টের সিংহাসনে বসতে পারবেন ডেমোক্র্যাট দলের এই প্রার্থী ওবামা আমলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে পরিস্থিতি খানিকটা জটিল হয়েছে । ট্রাম্প বাইডেনের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন । মিশিগানে ফের ভোট গণনার আর্জি জানিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী। শুধু তাই নয়, নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে ট্রাম্প বাহিনী। ফলে জিতলেও সহজে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসতে পারবেন না বাইডেন। আইনি লড়াইয়ে নামতে হবে। বাইডেন বাহিনী অবশ্য জানিয়েছে দিয়েছে, সমস্ত রকম আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তারা।

বুশের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবেনা তো ?

২০০০ সালে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর পেয়েছিলেন ২৬৭ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন।  আর রিপাবলিকান বুশ পেয়েছিলেন ২৪৬ভোট ৷ শুধুমাত্র ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ২৫টি ভোট বাকি ছিল৷ সেখানে দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান এতো কম ছিল, যে সপ্তাহের পর সপ্তাহ জুড়ে ভোট গণনা চলছিল৷ অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেটির ফয়সালা হয়৷ জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন৷’

ট্রাম্প নির্বাচনের আগে থেকেই পোস্টাল ব্যালট নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। বুধবারেও একাধিকবার সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পোস্টাল ব্যালট গুণতে সময় লাগছে বলেই দ্রুত ফলাফল জানানো যাচ্ছে না। এই পোস্টাল ব্যালট নিয়েই ট্রাম্প অচলাবস্থা তৈরি করতে পারেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার জন্য ২৭০ টি ভোট লাগে। বিভিন্ন রাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজ ভোট যোগ করে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে হয় প্রার্থীদের। এখনো পর্যন্ত বাইডেন দখল করতে পেরেছেন মিশিগান, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, ওয়াশিংটন, নিউ মেক্সিকো, ভার্জিনিয়া, ম্যাসাচুসেটসের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট।

ট্রাম্প পেয়েছেন টেক্সাস, ফ্লোরিডা, কেনটাকি, লুসিয়ানা, মিসিসিপি, টেনিসির মতো রাজ্য। এখন দেখার ২৭০ ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে আর কত সময় লাগে বাইডেনের। আর ট্রাম্প নতুন কী চাল চালেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জার্মান ডিডব্লিউ, রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, আল জাজিরা  প্রভৃতি বার্তা সংস্থার বৃহস্পতিবার ( ৫ নভেম্বর) আপডেট  থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এপর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে ভোট যুদ্ধে ট্রাম্পকে সামান্য পিছনে রেখে এগিয়ে জো বাইডেন। প্রাথমিক হিসেবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ২৬৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। প্রাপ্ত ভোট ৭২,১৩৬,৫৮৯ (৫০.৪%)। অপরদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ২১৪। প্রাপ্ত ভোট ৬ে৮,৬৪৯,৯৪৭ ( ৪৭.৯৭%)। ১৬ কোটির বেশি আমেরিকান নাগরিক এবার ভোট দিয়েছেন।

যেসব রাজ্যে ঝুলে আছে নির্বাচনের ফল

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন মোট ভোটের গড় বা জাতীয় ভোট নয়, বরং রাজ্যগুলোতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ভাগ্য গড়ে দেয় ভোটাররা। সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডা, ওহাইও এবং টেক্সাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাজ্য জিতেছেন। কিন্তু আরও চার বছর প্রেসিডেন্ট থাকতে হলে তাকে জিততে হবে আরও কিছু রাজ্য। অন্যদিকে বাইডেনেরও আছে কিছু ভিন্ন উপায়। কিন্তু কোনটাই চূড়ান্ত নয়।রাজ্যগুলি হচ্ছে:

অ্যারিজোনা- ঐতিহ্যগতভাবে রিপাবলিকান, কিন্তু এবার এটিও ব্যাটলগ্রাউণ্ড। বাইডেন এগিয়ে আছেন এখন পর্যন্ত। কিছু গণমাধ্যম তাকেই সম্ভাব্য বিজয়ী বলছে। জর্জিয়া- আরেকটি রিপাবলিকান রাজ্য যেখানে এবার তুমুল লড়াই হচ্ছে। ট্রাম্প অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তবে কিছু এলাকার ভোট এখনো গণনা বাকী। নেভাডা- বাইডেন এখানে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে। অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন তিনি।উইসকনসিন- গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউণ্ড। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যটি ডেমোক্র্যাটদের হাতে থাকলেও ২০১৬ সালে হেরে গিয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন। এবার এখনো অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বাইডেনমিশিগান- হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। তবে ডেমোক্র্যাট সমর্থিত বেশ কিছু এলাকার ব্যালট গণনা বাকী আছে।পেনসিলভানিয়া- বিশটি ইলেক্টোরাল ভোট এখানে। বড় ব্যাটলগ্রাউণ্ড। ট্রাম্প এ মূহুর্তে এগিয়ে আছেন। কিন্তু পোস্টাল ভোট পড়েছে এখানে বিপুল সংখ্যায় যেগুলোর গণনা এখনো শুরু হয়নি। রিপাবলিকানদের আইনি লড়াই শুরু হতে পারে এখান থেকেই।

ফ্লোরিডার ফলাফল সামনে আসেনি। সেখানে ট্রাম্প সামান্য এগিয়ে। ট্রাম্প ফ্লোরিডা জিতলে লড়াইয়ে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারবেন। আবার বাইডেন প্রথম সুইং স্টেট জিতে গিয়েছেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের ভোট যে কোনো দিকেই জেতে পারতো। এই ধরনের রাজ্যগুলিকে বলা হয় সুইং স্টেট। যাদের ভোট যে কোনো দিকে যেতে পারে। যে যত বেশি সুইং স্টেট দখল করতকে পারবে, জেতার সম্ভাবনা তার তত বেশি। প্রথম সুইং স্টেট দখল করে বাইডেন অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন। তবে এ সবই প্রাথমিক প্রবণতা। এ বছর বিপুল পরিমাণ পোস্টাল ব্যালটে ভোট হয়েছে। সেই ভোট গণনা না হওয়া পর্যন্ত বোঝা মুশকিল জয় কার হবে। প্রাথমিক হিসেবে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ২৪৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। অপরদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাথমিক ভোট ২১৪। বাইডেনের থেকে এই মুহূর্তে ট্রাম্প  পিছিয়ে। তবে ফ্লোরিডায় বড় জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। অন্য দিকে নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন দখল করেছেন বাইডেন। পেয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া। নিউ ইয়র্ক বরাবরই ডেমোক্র্যাটদের দখলে থাকে। এবারও তার পরিবর্তন হয়নি। ফ্লোরিডা জয়ের বিষয়ে বহু দিন আগে থেকেই আশাবাদী ছিলেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতেও ফ্লোরিডা জয় একপ্রকার নিশ্চিত বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। নির্বাচনের আগে সেখানে একাধিক সভা করেছিলেন। নিজের ভোটও ফ্লোরিডায় দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ট্রাম্প যত সহজে ফ্লোরিডা জিতবেন ভেবেছিলেন, বাস্তবে তা তত সহজ হচ্ছে না।

যুক্তরাষ্ট্রে বেশি ভোট পেলেই যে একজন প্রার্থী সবসময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন তা নয়।জনগণের সরাসরি বা প্রত্যক্ষ ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। ইলেকটোরাল কলেজ নামে পরিচিত এক দল কর্মকর্তার পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।ফলে মূল প্রশ্নটি সরাসরি ভোটের নয়।প্রশ্নটি ইলেকটোরাল ভোটের। জো বাইডেন জরিপে যতই এগিয়ে থাকুননা কেন ইলেকটোরাল কলেজের ২৭০টি ভোট পেলেই তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হবেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট পান সেদিকেই এখন দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর লক্ষ্য। ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ শব্দটি বলতে একদল লোককে বোঝায় যারা নির্বাচকের ভূমিকা পালন করেন। তাদের সবার কাজ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা। প্রত্যেক চার বছর অন্তর অন্তর, নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ পরে ইলেকটোরাল কলেজের নির্বাচকরা একত্রিত হন তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য।যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী এই পদ্ধতিতেই একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন যা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের আইনের জটিল এক সমন্বয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

 

কীভাবে কাজ করে ইলকেটোরাল কলেজ?

ইলেকটোরাল কলেজ’ হচ্ছে কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল, যাদের ‘ইলেকটরস্’ বলা হয়।এরা এক কথায় নির্বাচক মণ্ডলী।প্রতি চার বছর পর পর এটি গঠন করা হয়, এবং এরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টকে বাছাই করেন।কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বের অনুপাতে প্রতিটি স্টেটের ইলেকটরসের সংখ্যা নির্ধারিত হয়: যা নির্ধারিত হয় স্টেটে সেনেটরের সংখ্যা (প্রত্যেক স্টেটে দুইজন) এবং প্রতিনিধি পরিষদে প্রতিনিধির (যা জনসংখ্যার অনুপাতে) যোগফল মিলে।সবচেয়ে বড় ছয়টি স্টেট হলো ক্যালিফোর্নিয়া (৫৫), টেক্সাস (৩৮), নিউইয়র্ক (২৯), ফ্লোরিডা (২৯), ইলিনয় (২০) এবং পেনসিলভেনিয়া (২০)।ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি রাজ্যের হাতে থাকে কিছু ভোট।কোন রাজ্যের কতোজন ইলেকটোর বা নির্বাচক থাকবেন সেটা নির্ভর করে ওই রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর।যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটসংখ্যা ৫৩৮।প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে এর ২৭০টি পেতে হয়।ছোট ছোট কিছু রাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ার আছে তিনটি করে ভোট। আলাস্কা এবং নর্থ ড্যাকোটা রাজ্যের হাতেও তিনটি করে ভোট।প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন প্রার্থীরা সারা দেশে ভোটারদের কাছ থেকে যেসব ভোট পান সেগুলোকে বলা হয় পপুলার ভোট এবং ইলেকটোরাল কলেজের ভোটকে বলা হয় ইলেকটোরাল ভোট।কোনো একটি রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন তিনি ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যাবেন।উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, টেক্সাস রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী যদি ৫০.১% ভোট পান, তাহলে ওই রাজ্যের ৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট তাদের পকেটেই যাবে।ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮।মাইন ও নেব্রাসকা এই দুটো অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সবগুলো রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। মোট ইলেকটোরাল ভোট ৫৩৮ এর অর্ধেক ২৬৯ এবং জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার জন্যে আরো একটি ভোট এভাবেই ২৭০টি  ভোট পেতে হবে একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য।

পপুলার ভোট কম পেয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জর্জ ডাব্লিউ বুশ

একেক রাজ্যের হাতে একেক সংখ্যক ভোট থাকার কারণে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণার ব্যাপারে এমনভাবে ছক তৈরি করেন যেখানে তারা বেশি ভোট আছে এমন রাজ্যগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। গত পাঁচটি নির্বাচনের মধ্যে দুটোতেই কম পপুলার ভোট পেয়েও ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জর্জ বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ কম পপুলার ভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ### ৫.১১.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.