--- বিজ্ঞাপন ---

পাক-চীনের সাথে উত্তেজনার মুখে ভারতের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

চলবে নৌ-মহড়াও

0

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ##

পাকিস্তানের সাথে কাশ্মীর সীমান্তে  চলমান উত্তেজনার মুখে ভারত একটি নতুন ধরণের মিসাইল ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইলের ২য় ধাপের সফল পরীক্ষা চালানোর কথা জানিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বেশ কয়েকটি  নতুন প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এর আগে ভারত শব্দের চাইতে দ্রুতগামী হাইপারসনিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। একদিকে যখন কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ , পাশাপাশি  ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের সাথেও লাদাখসহ সীমান্তের  অন্যান্য অংশে চলছে  বিস্ফোরন্মুখ পরিস্থিতি। এরই মধ্যে একের পর এক নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভবিষ্যত যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার ইঙ্গিত বলেই মনে করেন সামরিক বিশ্লেষকরা। সমুদ্র সীমায়ও ভারত নৌ যুদ্ধের আগাম প্রস্তুতি কসরত চালাতে শুরু করছে। আমেরিকার বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজকে সাথে নিয়ে সেখানে চলছে ২য় দফা ‘মালাবার’ নামের চার জাতির নৌ মহড়া। ভারতের দৈনিক ইকনমিক টাইমস পত্রিকা ১৭ নভেম্বর জানিয়েছে, উত্তর আরব সাগরে এই মহড়া চলবে চারদিন। মহড়ায় আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ ‘নিমিতজ’ সহ ২টি এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার, ভারতের বিমানবাহী জাহাজ ‘বিক্রমাদিত্য’ এবং জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধজাহাজ অংশ নিচ্ছে।সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ওই মহড়ার এবারের বিশেষ দিক হল চীনকে ক্ষেপিয়ে তুলতে নতুন দেশ অস্ট্রেলিয়াকে টেনে আনা হল। শুধু তা-ই নয় মালাবার মহড়ার স্থানটিও এবার বিস্তৃতি ঘটিয়ে উত্তর আরব সাগর পর্যন্ত আনা হয়েছে।প্রথম ধাপের মহড়া অনুষ্ঠিত হয় গত ৩-৬ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে।

ভারতের এক্সপ্রেস নিউজ সার্ভিসের হেমন্ত কুমার রাউত ভুবনেশ্বর থেকে জানিয়েছেন, ওড়িশা উপকূলে অবস্থিত একটি প্রতিরক্ষা কেন্দ্র থেকে ভারত মঙ্গলবার দেশীয়ভাবে নির্মিত কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল (কিউআরএসএএম) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক পরীক্ষা চালিয়েছে। ডিআরডিও দ্বারা নির্মিত, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথমবারের মতো একটি দ্রুতগামী বিমানকে লাইভ ওয়ারহেড ব্যবহার করে পরীক্ষা চালানো হয় যা অত্যন্ত সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এটি গত পাঁচ দিনে                                                                                                                                                                                                      ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (আইটিআর) থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের দ্বিতীয় পরীক্ষা ছিল। ১৩ নভেম্বর এর প্রথম ধাপের আরও একটি সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছিল।

পত্রিকাটি জানায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কিউআরএসএএম-এর পর পর  দুটি সফল পরীক্ষার জন্য ডিআরডিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। “প্রথম পরীক্ষায় সরাসরি আঘাতের সাহায্যে রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা অর্জন হয়েছে জানান তিনি।  ক্ষেপণাস্ত্রটির দ্বিতীয় পরীক্ষার সময় লক্ষ্যবস্তু সনাক্তকরণের জন্য ওয়ারহেডের পারফরম্যান্সও দেখাতে পেরেছে  তিনি উল্লেখ করেন। কিউআরএসএএম অস্ত্র সিস্টেমটি, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সক্রিয় অ্যারে ব্যাটারি নজরদারি রাডার, সক্রিয় অ্যারে ব্যাটারি মাল্টিফংশন রাডার এবং লঞ্চার সমন্বিত। এটি মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র। ডিআরডিও চেয়ারম্যান ড. জি সত্যেশ রেড্ডি দ্বিতীয় সফল পরীক্ষার জন্য কিউআরএসএএম প্রকল্পে কাজ করা সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আগামী বছরের প্রথম দিকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ###১৮.১১.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.