--- বিজ্ঞাপন ---

চীনের উইঘুরঃ যাদের জীবন মানেই যুদ্ধ

0

আবদুল্লাহ আরাফাত ##

চীনের উইঘুর। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি ঐতিহাসিক নাম। যে নামটির সাথে জড়িয়ে আছে অনেক দুঃখের ইতিহাস। প্রতিজন উইঘুরের জীবন কাটে যুদ্ধ আর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে। চীন পৃথিবীর বৃহত শক্তি হওয়ার কারনে উইঘুরদের পাশে কেউ নেই। কি রাষ্ট্র, কি ব্যক্তি। পৃথিবীর মানুষ দেখছে উইঘুরদের নির্যাতনের প্রতিদিনকার চিত্র। কিন্ত কারও কিছু করার নেই। যে কোন মূল্যে উইঘুরদের দমিয়ে রাখাই হচ্ছে চীনের প্রধান কাজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।এই জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে তাদের নিজস্ব সমাজ, সংস্কৃতি, দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস। উইঘুররাও তেমনি একটি জাতিগোষ্ঠী। উইঘুররা হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধশালী গোষ্ঠী যাদের রয়েছে দীর্ঘদিনের ইতিহাস। সাম্প্রতিক সময়ে এই জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে বিভিন্ন নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনা গণমাধ্যমে উঠে আসছে ।

চীন সবসময় বলে আসছে  তারা উগ্রপন্থা রোধে ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিজেদের সুরক্ষার জন্য উইঘুর জাতিগোষ্ঠীর কিছু সংখ্যক মানুষকে ‘সংশোধন ও নতুন করে শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য কিছু বৃত্তিমূলক  প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলেছে। সম্প্রতি, মিডল ইস্ট মনিটর বিবিসির বরাত দিয়ে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য পরিবেশন করেছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাওয়া উইঘুরদের গ্রেফতার করছে।  সেইসাথে বেইজিং-এর যোগসাজশে তাদের চীনে প্রত্যাবর্তন করানো হচ্ছে ৷ নিজেদের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে আসা এই মুসলিম জনগোষ্ঠী হয়তো কখনো ভাবেনি তাদের  ‘আরব দেশগুলোতে’ এই ধরণের পরিণতি ভোগ করতে হবে। এদিকে, ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, তিনি উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানেন না। আসল সত্যিটা হলো, চীন পাকিস্তানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বড় নিয়ামকের ভূমিকা পালন করছে। ২০২০ সালের আগষ্টে প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম দ্য ডিপ্লোম্যাট অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো তুরস্কের চুপ থাকা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কারণ, তুর্কিদের  সাথে উইঘুরদের নৃতাত্ত্বিক সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। এছাড়া, অন্যান্য মুসলিম বিশ্ব এই দমনপীড়নের বিরুদ্ধে সবসময় নীরব ছিল, এর কারণ সহজেই অনুধাবন  করা যায়। এদিকে, জাতিসংঘ সমর্থিত ৩৯ টি দেশ জার্মানির নেতৃত্বে চীনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন  চীনের ভূমিকাকে গণহত্যার  কাছাকাছি বলে মন্তব্য করেছিলেন। চীন সরকার অবশ্য পাশ্চাত্যের এসব দেশের অভিযোগকে একেবারেই ভিত্তিহীন এবং উস্কানিমূলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক টাইমস ৪০৩ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।  চাঞ্চল্যকর এই নথিতে রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এর অপ্রকাশিত বক্তব্য, ঘৃন্য নির্দেশনা, উইঘুরদের উপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণের বিবরণ ছিল। ২০১৬ সাল থেকে জিনজিয়াং প্রদেশের চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দলীয় সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চেন কুয়ানগুয়ো ৷ তিনি রাষ্ট্রপতি  শির নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন এবং অত্যন্ত বিশ্বস্ত একজন ব্যক্তি ৷ তার আমলেই বাড়তে থাকে মুসলিম বন্দি শিবিরের সংখ্যা ৷ বেইজিং দাবি করছে, এর মাধ্যমে তারা চরমপন্থাকে বিনাশ করছে। তবে ন্যাশনাল রিভিউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসবের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে জিনজিয়াংয়ের উপর চীনা আধিপত্যকে আরও শক্তিশালী করা।

২০১৯ সালের জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ(এইচআরডাব্লিউ)-র বরাতে   এক সংবাদে বলা হয়,অ্যাপ দিয়ে মুসলমানদের উপর নজর রাখছে চীন। ‘ইন্টিগ্রেটেড জয়েন্ট অপারেশনস প্লাটফর্ম’ বা আইজেওপি নামে পরিচিত এক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে চীনের জিনজিয়াং-এ বসবাসরত মুসলমানদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের কথা আগেই জানিয়েছিল এইচআরডাব্লিউ ৷ তবে এবার এইচআরডাব্লিউ জানিয়েছে, আইজেওপি ব্যবস্থার সঙ্গে এবার একটি অ্যাপ যুক্ত করেছে চীন৷ এই অ্যাপের সাহায্যে মানুষের ৩৬ ধরনের আচরণের তথ্য সংগ্রহ করা হয়৷ যেমন, প্রতিবেশীর সঙ্গে বেশি না মেশা, বাড়িতে ঢোকার সময় পেছনের দরজা ব্যবহার করা, স্মার্টফোন ব্যবহার না করা, উৎসাহী হয়ে মসজিদে দান করা, বিদ্যুতের অস্বাভাবিক ব্যবহার ইত্যাদি৷ হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ভিপিএন-এর মতো ইন্টারনেট অ্যাপসের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যেগুলো ব্যবহারের জন্যও উইঘুরসহ অন্যান্য মুসলমানদের চীনে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে এইচআরডাব্লিউ ৷  

ভৌগোলিক অবস্থানঃ

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের বসবাস। এর আয়তন প্রায় ১৬ লক্ষ ৬৪ হাজার কিলোমিটার, যা বাংলাদেশের বর্তমান আয়তনের তুলনায় ১২ গুণ বড়। পূর্বে এটি ‘পূর্ব তুর্কেস্তান’ নামে পরিচিত ছিল। দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও যুদ্ধের পর এই অঞ্চল ১৯৪৯ সালে চীনের অধীনে চলে আসে। চীনের এই অঞ্চলের সাথে ৮ টি দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে।

বসবাসঃ

উইঘুররা বৃহত্তর পরিসরে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাস করে। চীনের কমিউনিস্ট  শাসিত সরকারের সবচেয়ে বড় স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হলো এই জিনজিয়াং। জিনজিয়াং এর মাত্র ৯.৭ শতাংশ জায়গা বসবাসের উপযোগী। এটি দুটি ভাগে বিভক্ত ক) জংগারিয়ান বেসিন খ) তারিম বেসিন। মূলত ৮০ শতাংশ মানুষ এই তারিম বেসিন এলাকায় বসবাস করে। উরুমকি হলো এই প্রদেশের রাজধানী। এছাড়া কাশগড় নামে আরেকটি শহরও রয়েছে যেটি পূর্বে সিল্ক রুটের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। অতীতে এই অঞ্চলে উইঘুররা সংখ্যাগরিষ্ট থাকলেও ধীরে ধীরে চীনা হানদের বসবাস এই অঞ্চলে সম্প্রসারিত হতে থাকে। সর্বশেষ জরিপ অনুসারে, ৪৬ শতাংশ উইঘুর ও ৪০ শতাংশ হান জিনজিয়াং-এ বসবাস করে। উইঘুররা তুর্কি বংশোদ্ভূত এবং এখানে আজারবাইজানী ও তুর্কমানদের প্রভাব দেখা যায়। মূল ভূখণ্ড জিনজিয়াং-এ প্রায় ১১ মিলিয়ন উইঘুর বসবাস করে। তারা তাদের নিজস্ব ভাষা উইঘুরে কথা বলে। এছাড়াও তারা মধ্য এশিয়ার দেশ কিরঘিস্তান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তুরস্ক, সিরিয়া, জর্ডান, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সুইডেন প্রভৃতি দেশে বসবাস করে।

ধর্মঃ

দশম শতকে এই অঞ্চলে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে এবং ষোড়শ শতাব্দীতে ইসলাম সর্বক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের ধর্মাচরণে সুফিবাদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ইদ খাহ মসজিদ হলো জিনজিয়াং ও চীনের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এখানে একত্রে দশ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। খুতান মসজিদ ও আফাখ খুজা মসজিদও এই অঞ্চলের বিখ্যাত মসজিদ। এছাড়াও, এখানে প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন নিদর্শনেরও দেখা পাওয়া যায়।

অর্থনীতিঃ

এখানকার মানুষের প্রধান পেশা কৃষি ও বাণিজ্য। হামি তরমুজ নামে একটি ফল এই অঞ্চলে বিখ্যাত। এছাড়াও এখানে তেল ও খনিজ পদার্থের ভান্ডার রয়েছে। সম্প্রতি চীনের সরকার তার দেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছে এই অঞ্চলে।

রাজনীতিঃ কাগজে কলমে জিনজিয়াংস্বায়ত্তশাসিত  হওয়ার কারণে এখানে সরকার রয়েছে। বর্তমানে উইঘুর সরকারের চেয়ারম্যান হচ্ছেন সোহরাত জাকির। যদিও চীনের মূল সরকারের কথার বাহিরে যাওয়ার ক্ষমতা এই সরকারের নেই।

খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গঃ

আকমাদ আলাচ, হালা বাশি (ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব), পেরহাত তুরসুন (কবি), আব্বাস বুরহান (বিজ্ঞানী), নূর বেকরি, সাইফুদ্দিন আজিজ (চীনা রাজনীতিবিদ) দিলরাবা দিলমুরাদ (অভিনেত্রী)।

চীনের সর্বাধিক মুসলিম অধ্যুষিত ও বহু আন্তর্জাতিক দেশের সাথে সীমান্ত লাগোয়া জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিমদের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন ও ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের অধিকার সীমিত হয়ে পড়ছে। মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে ওঠে এসেছে লোমহর্ষক এসব তথ্য। এদিকে চীন সরকার বারবার এই ধরণের নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে আসছে।

যেভাবে উইঘুরদের উপর দমন-পীড়ন চালানো হয়

ধর্মের উপরঃ

কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে সকল ইমামকে রাজনৈতিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং মসজিদে নজরদারি করা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। “বেইজিং উইঘুরদের  চীনা রাষ্ট্রের জন্য নৃতাত্ত্বিক-জাতীয়তাবাদী হুমকি হিসাবে দেখছে – বলেন শ্যারন হোম, যিনি চীনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পরিচালক পদে কর্মরত। চীনের প্রধান ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের মতে, চীনা সরকারি কর্মকর্তা এবং আটটি ইসলামী সংস্থার প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে উভয়ই “ইসলামকে সমাজতন্ত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সম্মত হয়েছে।”    

পুরুষদের উপরঃ

 মুসলিম পুরুষদের সামরিক বাহিনীর ক্যাম্পে বন্দি করে রেখে প্রতিটি পরিবারের অন্তত একটি মেয়েকে বলপূর্বক একজন কমিউনিস্ট পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদে যুক্ত থাকার মতো মিথ্যে অভিযোগ এনে অনেক পুরুষকে আটক করা হচ্ছে যাদের অনেকে আর কখনো ফিরে আসছে না। অনেক পুরুষ স্ব-ইচ্ছায় মুখে দাড়িও রাখতে পারছে না। এছাড়া, রাস্তায় রাস্তায় সার্ভেইল্যন্স ক্যামেরায় কড়া নজরদারীও করা হচ্ছে।

নারীদের উপরঃ 

২০১৭ সালে অনেক পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের উইঘুর সম্প্রদায়ের স্ত্রী-রা হারিয়ে গিয়েছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে ৪০ জনের মতো মু্ক্তি পেয়েছেন ৷ কিন্তু এই মুক্তি পেতে দাম দিতে হয়েছে ৷  অনেকের স্বামীদের আটক করার পরে মুসলিম মহিলারা পুরুষ চীনা কর্মকর্তাদের সাথে ‘বিছানা ভাগাভাগি করতে বাধ্য’ হয়েছেন এমন সংবাদ প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এছাড়া, জনসমাগম এলাকায় মুসলিম মহিলাদের নেকাব ব্যবহারে কারণে অনেকে শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপি জানাচ্ছে, হুতান ,কাশগড়, জিনজিয়াং প্রভৃতি এলাকায় উইঘুর জনসংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। নারীদের জোর করে গর্ভপাত, স্টেরালাইজেশন, আইইউডি (অন্তঃসত্ত্বা গর্ভনিরোধক) সহ বিভিন্ন সন্তান জন্মদান বিরোধী কাজে বাধ্য করা হচ্ছে। চীন বিষয়ক গবেষক আদ্রিয়ান জেনজের লেখা রিপোর্টে অভিযোগ তোলা হয় যে সরকারি নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে বেশি সংখ্যায় সন্তান জন্ম দেয়ায় উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু নারীদের ক্যাম্পে বন্দী করে রাখার হুমকি দেয়া হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়, “সামগ্রিকভাবে দেখলে মনে হয়, তিন বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক সন্তান আছে যেসব নারীর, তাদের ঢালাওভাবে বন্ধ্যা করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।” অন্যদিকে সরকার, প্রতিদ্বন্দ্বী চীনা ‘হান’ জনগোষ্ঠীকে আরও বেশী সন্তান জন্মদান করতে উৎসাহ দিচ্ছে।

শিশুদের উপরঃ

২০১৯ সালে বিবিসি’র করা এক তদন্তে উঠে আসে যে জিনজিয়াংয়ের মুসলিম শিশুদের তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে যেন তারা মুসলিম সম্প্রদায়ের থেকে আলাদা হয়ে বড় হয়। এই সব বন্দি শিবিরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া স্বজনদের (বিশেষ করে, ছাত্ররা যারা অন্য প্রদেশে পড়তে গিয়েছিল) খুঁজতে আসলে ছাত্রদের বলা হতো নিখোঁজ ব্যক্তি উগ্রবাদি চিন্তার নীতিতে বিশ্বাসী। শিশুদের প্রায়শই রাষ্ট্র পরিচালিত এতিমখানা বা বোর্ডিং স্কুলগুলিতে পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে এবং যেখানে শিক্ষার্থীদের কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং প্রায় সব ক্লাস এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে তাদের মাতৃভাষা উইঘুর ভাষার পরিবর্তে চীনা ম্যান্ডারিনে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।

সূত্রঃ ডয়চে ভেলে, দ্য গার্ডিয়ান, ডেইলি সাবাহ

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.