--- বিজ্ঞাপন ---

আর্মেনিয়ার ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র ধ্বংস করেছে আজারবাইজান

৪৪ দিনের যুদ্ধে জয় হলো আজারবাইজানের

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক##

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া যুদ্ধে শেষপর্যন্ত আজারবাইজানের জয় হয়েছে। আর্মেনিয়া যে চিন্তা ভাবনা নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়েছিল তাদের সে আশা পূরন হয় নি। আর্মেনিয়া আশা করেছিল মিত্র অনেকে তার পক্ষে কথা বলবে। বিশেষ করে রাশিয়া। কিন্ত ফল হলো বিপরীত। যুদ্ধটা শেষপর্যন্ত আজারবাইজানের পক্ষে গেলো। মাঝখান থেকে আর্মেনিয়া বিপুল ক্ষতি হয়েছে।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান যুদ্ধ শেষ। চলছে যুদ্ধ বিরতি । এখন দুই দেশ কার কত ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে ব্যস্ত। তবে আজারবাইজানের তুলনায় আর্মেনিয়ার খুব বেশি ক্ষতি হয়েছে। কয়েকদিন আগে শেষ হওয়া নাগার্নো-কারাবাখ যুদ্ধে আর্মেনিয়ার ৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র ধ্বংস করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। ৪৪ দিনের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার একটি হিসাব করেছে আজারবাইজান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিকস। সেখানেই এ তথ্য উঠে আসে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নার্গানো-কারাবাখে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধ শুরু হয়। আর্মেনিয়ার দখলে থাকা আজারবাইজানের বিপুল পরিমাণ ভূমি দখলমুক্ত করা হয়। এছাড়াও মুখোমুখি যুদ্ধেও পরাস্ত হয়েছে আর্মেনিয়া। যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিন থেকেই আজারবাইজানিরা স্থলভাগ ও আকাশে আর্মেনিয়ান বাহিনীর উপর তীব্র আক্রমণ চালিয়েছিল।
রাশিয়ার মধ্যস্থতায় চুক্তি স্বাক্ষরের পর আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, যুদ্ধ শুরুর চারদিন পরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল প্যাসিনিয়াকে জানানো হয়েছিল যে ইয়েরেভানের বাহিনী আজারবাইজানি হামলার মুখে টিকতে পারছে না এবং সৈন্যদের মধ্যে ভয় ফুটে উঠেছে। লড়াই চলাকালীন, তুরস্কের তৈরি সশস্ত্র ড্রোন আর্মেনিয়ান বাহিনীর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছিল, যা আজারবাইজানের জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছিল।
সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দুই দেশের মধ্যে নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ চলে আসছে বহুদিন ধরে। ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়া নাগার্নো-কারাবাখ দখল করলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত।
পরে চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হলেও সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর আর্মেনিয়া আজারবাইজানের সামরিক ও বেসামরিক এলাকায় হামলা চালায়। এরপরই নাগার্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। যুদ্ধে সুবিধা করতে না পেরে এবং বিশাল আকারে সামরিক ও বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে আর্মেনিয়া গত ১০ নভেম্বর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আজারবাইজানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করতে বাধ্য হয়।টানা ৪৪ দিন চলা এই যুদ্ধে নাগার্নো-কারাবাখের ৩০০টির বেশি বসতি ও এলাকা দখলমুক্ত করে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয়ের দলিল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।##সূত্র: ডেইলি সাবাহ

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.