--- বিজ্ঞাপন ---

এলিয়েনদের সঙ্গে মার্কিন সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, ট্রাম্পও নাকি জানেন!!

বললেন, ইজরায়েলের মহাকাশ বিজ্ঞানী হায়েম এশাদ

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ##

আমেরিকার ট্রাম্প ইসরাইল ভক্ত এ কথা কম বেশি সবাই জানে। ইসরাইল এবার ট্রাম্পের সাথে ভীন গ্রহের এলিয়েন নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। আর এ খবরে অনেক মূখরোচক গল্প সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইজরাইলের মতো দেশের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যখন বলেন, এলিয়েনদের সাথে মার্কিন সরকারের চুক্তির কথা তাহলে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববাসী কি বলবে। এমনতর সংবাদ বিশ্বের নানা প্রান্তের গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। ইজরায়েলের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন সিকিউরিট চিফ হায়েম এশাদ চাঞ্চল্যকর এ তথ্যটি দিয়ে শোরগোল সৃস্টি করেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম বর্তমান লিখেছে, বাস্তবে এলিয়েনরা রয়েছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তা জানেন। শুধু তাই নয়, গবেষণার জন্য এলিয়েনদের এক সংগঠনের সঙ্গে মার্কিন সরকারের চুক্তিও হয়েছে। ইজরায়েলের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন সিকিউরিট চিফ হায়েম এশাদের এই মন্তব্যে জোর বিতর্ক ছড়িয়েছে। একই সঙ্গে আমেরিকার এরিয়া ৫১ নিয়েও নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা। ইজরায়েলের এক সংবাদপত্রে ৮৭ বছরের এশাদের এক সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই এলিয়েনদের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক কথা বলেছেন এশাদ। এটাও জানিয়েছেন যে, মানব জগতে তাদের (এলিয়েনদের) ঠাঁই হবে কি না, তা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই এই বিষয়টিকে গোপন রাখা হয়েছে।
মার্কিন সরকারের সঙ্গে এলিয়েনদের গ্যালাকটিক ফেডারেশেনের এক চুক্তি নিয়েও এশাদ ওই সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন। দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে ইজরায়েলের স্পেস সিকিউরিটি বিভাগকে এশাদ নেতৃত্ব দিয়েছেন। এহেন এক বিশেষজ্ঞের মুখ থেকে এলিয়েনদের অস্তিত্ব নিয়ে মন্তব্য মহাকাশবিজ্ঞানীদের মধ্যে কার্যত ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে।
ইজরায়েলের আর একটি সংবাদপত্র ‘জেরুজালেম পোস্ট’-এ এশাদকে উদ্ধৃত করে আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মহাকাশের গতিবিধি জানার জন্য আমেরিকা গবেষণা চালাতে চায়। সেই উদ্দেশ্যেই এলিয়েনদের সঙ্গে মার্কিন সরকারের এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে, দু’পক্ষের সহযোগিতায় মঙ্গলে এক গোপন ঘাঁটি নির্মাণ করে গবেষণা কাজ চালানো হবে। এশাদের এই মন্তব্য আরও একবার এরিয়া ৫১ নিয়ে নতুন করে জল্পনা সৃষ্টি করল। নেভাদার দক্ষিণে এক মার্কিন ঘাঁটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, অত্যন্ত নিরাপত্তা বেষ্ঠিত ওই ঘাঁটিতে বায়ুসেনাদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কারও ধারণা, এরিয়া ৫১-ই এলিয়েনদের গোপন ডেরা। সেখানে মার্কিন সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে এলিয়েনদের গবেষণা চলে। বিশ্বের আঙিনা ছাড়িয়ে আমেরিকা মঙ্গলেও কর্তৃত্ব কায়েম করতে চায়। তাই তারা এহেন গোপন গবেষণা চালাচ্ছে। সব মিলিয়ে এরিয়া ৫১ গোটা বিশ্বের কাছে একটা রহস্য।
এশাদের ওই সাক্ষাৎকারে এরিয়া ৫১-এর সেই রহস্যই উন্মোচিত হতে চলেছে বলে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। এলিয়েনদের পক্ষ নিয়ে এশাদ দাবি করেছেন, মানব সমাজ তাদের (এলিয়েনদের) গ্রহণ করতে রাজি নয়। তাই তারা সামনে আসতে চায় না। এলিয়েনরা মনে করে, মানুষ যখন তাদের অস্তিত্ব স্বীকার করবেন এবং মহাকাশ ও মহাকাশযানের আসল গুরুত্বকে সম্পূর্ণ বুঝতে সক্ষম হবেন, তখনই একমাত্র তারা (এলিয়েনরা) প্রকাশ্যে আসবে। তবে নিজের মন্তব্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী এশাদ এটাও স্বীকার করেছেন যে, বর্তমান সমাজ হয়তো তা বিশ্বাস করতে পারবে না। সেই কারণেই তিনি আগে এই দাবি করেননি। এখন বলছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন যা বলছি, তা যদি পাঁচ বছর আগে বলতাম, তা হলে আমার ঠিকানা হতো হাসপাতাল।’
এশাদের মন্তব্য নিয়ে অবশ্য মার্কিন সরকার বা ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। যদিও নেটিজেনরা এশাদকে নিয়ে লাখো লাখো কমেন্ট করেছে। কেউ তাঁর দাবি বিশ্বাস করেছেন, তো কেউ তা নিছক মজার ছলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কেউ আবার এশাদকে হাসির খোরাক বানিয়ে নানা মিম পোস্ট করেছেন। তবে নেটিজেনরা যা-ই বলুক না কেন, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা কখনওই মঙ্গলে প্রাণের সম্ভাবনাকে অস্বীকার করেনি। গত বছরই ট্রাম্প প্রশাসন মহাবিশ্বের জন্য পেন্টাগন বাহিনীর সূচনা করেছিল। কাজেই পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্বকে যে আমেরিকা বিশ্বাস করে এমনটাই বলা যেতে পারে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.