--- বিজ্ঞাপন ---

ভারত যুদ্ধ জাহাজ উড়িয়ে স্মরন করলো মুক্তিযুদ্ধে নিহত তাদের সেনাদের

0

কাজী আবুল মনসুর

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ হারানো সেনাদের স্মরন করলো ভারত। আকাশে যুদ্ধ বিমান উড়িয়ে নানা কসরৎ দেখিয়ে তাদের স্মরন করেছে বলে জানা গেছে। ১৫ ডিসেম্বর ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনে কলকাতার লোকজন বিস্মিত হলেও পরে অবশ্য মুক্তিযুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধার কথাটি জানতে পারে কলকাতাবাসী। ১৬ ডিসেম্বর তাদের স্মৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পন করা হবে।

এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের কথা উল্লেখ করে আনন্দবাজার লিখেছে, ‘আকাশে উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধবিমান, সেনা কপ্টার। একেবারে নিচু দিয়ে পাক খেয়ে ফের ফিরছে ঘাঁটিতে! আচমকা এমন দৃশ্য দেখে কলকাতার অনেকেই তাজ্জব। তা হলে কোনও সেনা অভিযান হচ্ছে কিনা, সে নিয়েও জল্পনায় মেতেছেন অনেকে! না, কোনও সেনা অভিযান হচ্ছে না। বরং বিজয় উৎসব উদ্‌যাপনের মহড়া দিচ্ছে বায়ুসেনা। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে, ভারতীয় সেনার গৌরবময় জয়ের স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে এই মহড়া।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পূর্ব পাকিস্তানের সেনাকে পর্যুদস্ত করেছিল ভারতীয় সেনা। জন্ম নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ। তার এ বার সুবর্ণ জয়ন্তী। সেই জয়ের অন্যতম কারিগর ছিল বায়ুসেনা। এ বারও আগামিকাল, বুধবার সকাল ৯টা ৪০ থেকে ৯টা ৫০ মিনিটের মধ্যে বায়ুসেনার চিতা ও চেতক কপ্টার ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় স্মারকের উপরে পুষ্পবৃষ্টি করবে। বিজয় স্মারকের ১ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ন্ত অবস্থায় অভিবাদন জানাবে তিনটি সুখোই-৩০ বিমান।মহড়ায় কলকাতার অসামরিক বিমান চলাচলের আধিকারিকেরাও যুক্ত। কারণ, মহড়ার সময় সেনা পাইলটেরা বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সংস্পর্শে থাকছেন। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বুধবার অনুষ্ঠানের জন্য সেনা বিমান চলাচল করবে। তাই অসামরিক বিমান চলাচলে প্রভাব পড়বে। সকাল নটা থেকে দশটা পর্যন্ত কলকাতার আকাশে বায়ুসেনা ভিন্ন অন্য বিমানের মাঝের দূরত্ব বাড়ানো হবে। এটিসি-র এক কর্তা বলেন, “বিমান নামাওঠায় সে ক্ষেত্রে একটু দেরি হবে।” তাই নোটাম (নোটিস টি এয়ারমেন) জারি করা হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সোম ও মঙ্গল এই দু’দিন চারটি করে সুখোই বিমান একসঙ্গে মহড়া দিতে আসছে। তিনটি বিমান একসঙ্গে উড়ে যাচ্ছে। একটি থেকে যাচ্ছে স্ট্যান্ড-বাই হিসেবে। তবে, সোম ও মঙ্গলবার এই মহড়ার জন্য যাত্রীবাহী উড়ান যাতায়াতে তেমন সমস্যা হবে না বলেই জানা গিয়েছে। সোমবারেই মহড়া চলাকালীন ঢাকা থেকে অসুস্থ এক ব্যক্তিকে নিয়ে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসে। তখন বায়ুসেনার বিমানকে আটকে ওই অ্যাম্বুলেন্সকে নামিয়ে আনা হয়েছে।’

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনা নৌ-সেনা ও বিমান বাহিনীর অবদান চিরস্মরনীয়। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী এমআর আকতার মুকুলের লেখা থেকে জানা যায়,  এ যুদ্ধে ১,৯৭৮ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছে, ১৬৬২ সেনা নিখোজঁ রয়েছে, ৫,০২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে, ৫১ জন পাইলট নিহত বা নিখোজঁ হয়। একই সাথে ভারতীয় জাহাজ আইএনএস ‘খুকরি’ নিমজ্জিত হলে ৮ জন অফিসারসহ ১৭৩ নৌ-সেনা নিহত বা নিখোজঁ রয়েছে বলে ৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর সংসদে জানান সে সময়কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.