--- বিজ্ঞাপন ---

সামরিক সরঞ্জামখাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায় তুরস্ক

0

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসলো বলেছেন, অতি স্বল্প সময়ে অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশ যে উন্নয়ন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান তারা (রাইজিং স্টার)। দেশটিতে প্রচুর সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে, যেখানে বিনিয়োগ করা যায়। তুরস্কের বড় বড় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
সামরিক সরঞ্জাম এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে তুরস্ক বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায় জানিয়ে মেভলুট ক্যাভুসলো বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে তুরস্ক বিশ্বে দ্বিতীয়। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে তুরস্ক সহযোগিতা করতে চায়। এছাড়া সামরিক খাতের ৭৫ শতাংশ সরঞ্জাম তুরস্ক নিজেই উৎপাদন করে, যা মানসম্মত এবং বিশ্বে এর সুনাম রয়েছে। এই খাতে তুরস্ক, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করতেও তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ ভিত্তিতে সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন করতে চায় তুরস্ক।
উভয়পক্ষের উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ-তুরস্ক বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার থেকে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের একাধিক খাতে বিনিয়োগ করতে চায় তুরস্ক। দেশটি সামরিক সরঞ্জাম খাতেও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াই হচ্ছে এই সঙ্কটের একমাত্র সমাধান। এই ইস্যূতে বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের অব্যাহত সমর্থন থাকবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছায় এবং সম্মানের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে তুরস্ক মিয়ানমারের সঙ্গেও কাজ করছে।
ঢাকা সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসলো বুধবার ২৩ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এসব তথ্য জানান। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসলো।

উল্লেখ্য গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন তুরস্কে বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাসের উদ্বোধন করেন। এ সময়ে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরে আহ্বান জানান।
সেখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সাথে দেখা করলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেয়া হয়। এছাড়াও ভবিষ্যতে দুই দেশের বিদ্যমান বাণিজ্যকে ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে ও সামরিক খাতে সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা হয়। এছাড়াও তখন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ঢাকায় একটি আধুনিক হাসপাতাল করতে জায়গা চান।  তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আগামী বছরে ডি-৮ এর সম্মেলনে অথবা মুজিব বর্ষের যেকোনো অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সফরের জোর সম্ভাবনা রয়েছে। ভবিষ্যতে যে দু দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সামরিক খাতে এক উষ্ণ সম্পর্ক বিরাজ করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.