--- বিজ্ঞাপন ---

বিশ্বের সর্ববৃহৎ এয়ারক্রাফট বোনইয়ার্ড বা সমাধিক্ষেত্র!

0

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ্যারিজোনায় মার্কিন বিমান বাহিনীর ডেভিস-মন্থান সামরিক ঘাঁটিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ পুরনো ও অচল বিমানের সংগ্রহশালা বা এয়ারক্রাফট বোনইয়ার্ড কিংবা সমাধি ক্ষেত্র। যেখানে কার্যত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান এবং নৌ বাহিনীর অবসরে যাওয়া সকল ডিকমিশন্ড কিম্বা পুরনো বিমানগুলোকে অত্যন্ত পরিকল্পনা মাফিক সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আসলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫৫০ফিট উচ্চতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ্যারিজোনা মরুভূমির উপর ২,৬০০ একর বা ১০.৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই বিশাল বিমানের গ্রেভ ইয়ার্ডে প্রায় ৫,০০০ এর কাছাকাছি জেট ফাইটার, বোম্বার, হেলিকপ্টার, সামরিক পরিবহন বিমানের এক সুবিশাল সংগ্রহশালা কিংবা এভিয়েশন মিউজিয়াম হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এখনে বি-২৯, বি-৫২ নিউক বোম্বার, সিএইচ-১৩০ হারকিউলিকস, এফ-১৫, এফ-১৬, এফ/এ-১৮, এফ-১৪ টমক্যাট, এ-১০ থাণ্ডারবোল্ড গ্রাউণ্ড এট্যাক ফাইটারের পাশাপাশি বেল, এ্যাপাচী ও চিনুক হেলিকপ্টারসহ মার্কিন এয়ারফোর্সে ব্যবহৃত প্রায় সকল এভিয়েশন সিস্টেম অত্যন্ত পরিকল্পনা মাফিক সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এর একটি অংশকে অবশ্য ভবিষ্যতে আপদকালীন মুহূর্তে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে একেবারেই অক্ষত অবস্থায় সারিবদ্ধভাবে সংরক্ষণ করা হয়। বিষয়টি এমন যে, ভবিষ্যতে যে কোন যুদ্ধ বা আপদকালীন মুহুর্তে এবং বিমান বাহিনীর প্রয়োজনে এভিয়েশন বোনইয়ার্ডে থাকা বিমানের কিছু অংশকে সংক্ষিপ্ত রিপিয়ার মেইন্টেনেন্স সম্পন্ন করেই সরাসরি এয়ার কমব্যাট অপারেশনে ব্যবহার করা সম্ভব। তাছাড়া মার্কিন বিমান বাহিনী তাদের অবসরে যাওয়া সকল বিমানকে এই এয়ারক্রাফট বোনইয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয় এবং এখান থেকে বিমানের প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা তাদের অব্যবহৃত বিমান থেকে পেয়ে থাকে। তবে মার্কিন বিমান বাহিনী কিন্তু তাদের বহরে থাকা কোন স্টিলথ প্রযুক্তির বোম্বার, জেট ফাইটার কিংবা হেলিকপ্টার এই বোনইয়ার্ডে বা সমাধিক্ষেত্রে রাখে না। বিশেষ করে মার্কিন বিমান বাহিনীর এফ-১১৭ নাইটহক যুদ্ধবিমান ২০০৭ সালে অবসরে চলে গেলেও সেগুলো হয় ধ্বংস করা হয়েছে কিংবা আলাদা কোন গোপন স্থানে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.