--- বিজ্ঞাপন ---

গোপনে ইরানের তেল বিক্রি করে দিচ্ছে আমেরিকা?

0

আমেরিকা ইরানের তেল সরিয়ে নিচ্ছে বা গোপনে বিক্রি করে ফেলছে এমন গুঞ্জন নতুন নয়। কিন্ত ইরান সব কিছু জেনেও না জানার ভান  করে আছে। একের পর এক এ জাতীয় ঘটনা হলেও ইরানের জোরালো প্রতিবাদ নজরে আসছে না।আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত  তথ্য মতে, গত বছর ২০২০ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ভেনিজুয়েলা উদ্দেশ্য যাওয়ার পথে ইরানের ৪টি তেল ট্যাংকার আটক করে সব তেল বিক্রি করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মুলত ২.১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আটক করেছিল মার্কিন নৌবাহিনী। যার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে।

এখন আবার ২০২১ সালে এসে বাইডেন সরকারের আমলে নতুন করে আরেকটি বিশাল আকারের ইরানের তেল ট্যাংকার আটক করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন এক এক গোপন গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। হয়ত কিছুদিনের মধ্যেই আটককৃত ইরানের ট্যাংকারের সব তেল অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দিবে। যদিও সুপার পাওয়ার ইরান এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত টু শব্দটিও করে নি। যা হোক সাধারণ দৃষ্টিতে ইরানের তেল ট্যাংকার আটক এবং তেল বিক্রি করে দেয়া এক রকম ভয়াবহ রকমের ডাকাতি বলে মনে হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এটা সম্পূর্ণ বৈধ। কারণ ইরানকে কালো তালিকাভুক্ত এবং এক তরফা অর্থনৈতিক অবরোধ চাপিয়ে দেয়ায় এখন নিজের ইচ্ছে মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যে কোন স্থানে ইরানের সম্পদ এবং তেল আটক করতে পারে বলে জানিয়েছিল আগের ট্রাম্প প্রশাসন। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তেল আটকের পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে গত সপ্তাহে হরমুজ প্রনালীর কাছে ইরানের আইআরজিসি বাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী ৭ হাজার টন ওজনের ইথানল ক্যামিক্যাল পূর্ণ ট্যাংকার জাহাজ আটক করে নিজ দেশের সীমানায় নিয়ে যায়। ইরানের দাবি দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইশারায় পূর্বের তেল কেনা বাবদ ৭.০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থ জব্দ করে রেখেছে। যা ছাড় না করলে আটককৃত জাহাজ ফেরত দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে ইরানের প্রশাসন। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া তার দেশের আটককৃত ক্যামিক্যালবাহী জাহাজ এবং এতে থাকা সকল নাবিক ও ক্রুদের অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার জড়ালো দাবি জানিয়েছে।

এদিকে ইরানের আইআরজিসি তরফ থেকে প্রচার করা হচ্ছে ইরানের সারা দেশ জুড়ে মাটির ভূগর্ভে মিসাইল ঘাঁটিতে কল্পিত আনুমানিক ৫৫-৬০ হাজারের কাছাকাছি বিভিন্ন পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল (উত্তর কোরিয়ার প্রযুক্তি নির্ভর) মোতায়েন করে রেখেছে তার শত্রুদের ধ্বংস করে দিতে। আর সিরিয়ায় থাকা ইরানের সকল সামরিক স্থাপনা এবং অস্ত্র গুদামে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী প্রতিনিয়ত নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে গেলেও এর বিরুদ্ধে কঠোর জবাব কিংবা পাল্টা মিসাইল হামলার নজির খুজে পাওয়া দুষ্কর।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.