--- বিজ্ঞাপন ---

আলোচনায় ফ্রান্সের তৈরি রাফাল জেট ফাইটার

0
গত ২০২০ সালের জুলাই কিংবা আগস্ট মাসে লিবিয়ায় থাকা তুরস্কের সামরিক ঘাটিতে খুব সম্ভবত মিশরের বেশকিছু রাফাল জেট ফাইটার এয়ার স্টাইক চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। অথচ লিবিয়ায় থাকা তুরস্কের ঘটিতে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি কোরাল জ্যামার, ৩০০ কিলোমিটার রেঞ্জের রাডার সিস্টেম এবং মিম-২৩ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও রাফালের বিমান হামলা প্রতিহত করতে পারেনি। মিশরের রাফাল জেট ফাইটার লিবিয়ার আকাশের অনেক গভীরে প্রবেশ করে এয়ার স্টাইক চালিয়ে আবার নিরাপদে নিজ ঘাটিতে ফিরে গেলেও সামরিক বেসে থাকা তুরস্কের রাডার ধ্বংসের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আকাশে রাফালের উপস্থিতি এবং মিসাইলগুলো কোন ভাবেই সনাক্ত করতে সক্ষম হয় নি। তাই এটা কিন্তু নিশ্চিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬, এফ-১৫ এবং এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটারের পাশাপাশি ফ্রান্সের তৈরি রাফেল এডভান্স ৪.৫ জেনারেশনের সেমি স্টিলথ জেট ফাইটার আসলেই একটি বিশ্ব মানের এবং যুদ্ধক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর জেট ফাইটার হিসেবে নিজের যোগ্য স্থান করে নিয়েছে।
তাছাড়া ২০১০ সালের দিকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে লিবিয়ার তৎকালীন গাদ্দাফি সামরিক বাহিনীর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে বিশ্ব মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে ইরাক এভং সিরিয়ায় আইএস দমনে অসংখ্য বার কমব্যাট এয়ার মিশনে সফতার সাথে অংশগ্রহণ করেছিল। আবার ফ্রান্সের তৈরি রাফাল জেট ফাইটারকে কিন্তু প্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করার পাশাপাশি ট্যাক্টিক্যাল নিউক্লিয়ার ওয়েপন্স বহন করার বিশেষ উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে।
অতএব শেষ কথার এক কথা, বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়। তাই অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে কমপক্ষে ১৬টি এই জাতীয় সুপার এডভান্স রাফায়েল এফ৪ ভেরিয়েন্টের জেট ফাইটার সার্ভিসে আনার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা যেতে পারে। তাছাড়া ফ্রান্সের ডেস্যাল্ট এভিয়েশন কর্পোরেশনের তৈরি রাফাল জেট ফাইটারের ইঞ্জিন এবং এভিয়নিক্স সিস্টেমসহ শতভাগ প্রযুক্তি নিজ দেশেই তৈরি হওয়ায় এবং রিপিতার মেইন্টেনেন্স কস্ট অনেকটাই কম হওয়ায় এটিকে কমপক্ষে দুই যুগ ব্যাপী নিশ্চিতে ব্যবহার কিরা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.