--- বিজ্ঞাপন ---

আরও বেড়েছে ভারতের সামরিক শক্তি

ফ্রান্স থেকে রাফাল জেটের চালান আসছে

0

গত ৩১শে মার্চ ২০২১ ইং তারিখে ভারতের বিমান বাহিনী চতুর্থ ব্যাচে আরো তিনটি এডভান্স রাফাল জেট ফাইটার হাতে পেয়েছে। এ নিয়ে মোট ২১টি ৪++ প্রজন্মের রাফাল জেট ফাইটার ভারতের মাটিতে এসে পৌছেছে। চুক্তি মোতাবেক ৩৬টি রাফাল জেট ফাইটারের মধ্যে অবশিষ্ট ১৫টি চলতি ২০২১ সালের এপ্রিল ও মে মাসে পর্যায়ক্রমে ফ্রান্স থেকে ভারতে এসে পৌছাবে। এই তিনটি রাফাল জেট ফাইটার ভারতে আসার পথে আকাশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান বাহিনীর এয়ার রিফুয়েলিং ট্যাংকার থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করে।

মুলত ভারতের মোদি সরকার ২০১৫ সালে ফ্রান্সের ড্যাসাল্ট এভিয়েশন কর্পোরেশনের সাথে ৮.৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যে ৩৬টি অত্যাধুনিক রাফাল মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট প্যাকেজ ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন করে। সে মোতাবেক ফ্রান্সের তৈরি প্রতিটি রাফাল জেট ফাইটারের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪১.৬৭ মিলিয়ন ডলার বা ১,৭৬৫ কোটি ভারতীয় রুপির সমান। যদিও এই চুক্তি প্যাকেজের আওতায় পাইলটের দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণ, রিপিয়ার এণ্ড মেইনটেনেন্স, স্পেয়ার পার্টস সাপ্লাই, ওয়েপন্স ও মিসাইল সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

যদিও ইউকীপিডিয়াসহ বিভিন্ন ডিফেন্স রিলেটেড ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র জেট ফাইটারের মূল্য প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। সে হিসেবে রাফালের দাম দেখানো হয়েছে ৮০ মিলিয়ন ডলার। আবার ফ্রান্সের তৈরি রাফাল মাল্টিরোল কমব্যাট জেট ফাইটারের পার আওয়ার অপারেটিং কস্ট প্রায় ১৮ হাজার ডলার। যেখানে কিনা মার্কিন এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটারের পার আওয়ার অপারেটিং কস্ট প্রায় ৩৬ হাজার ডলার এবং ইউরোপের মাল্টিনেশন প্রজেক্ট ইউরোফাইটার তাইফুন জেট ফাইটারের পার আওয়ার অপারেটিং কস্ট মাত্র ৮-১০ হাজার ডলার।

তবে এখানে প্রকাশ থাকে যে, গত ২০২০ সালের জুলাই কিংবা আগস্ট মাসে লিবিয়ায় থাকা তুরস্কের সামরিক ঘাটিতে খুব সম্ভবত ফ্রান্সের তৈরি বেশকিছু রাফাল জেট ফাইটার এয়ার স্টাইক চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে পালিয়ে যায়। যদিও অবশ্য তুরস্কের তরফে এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন তথ্য প্রকাশ করা হয় নি। অথচ লিবিয়ায় থাকা তুরস্কের ঘটিতে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি কোরাল জ্যামার, দীর্ঘ পাল্লার রাডার সিস্টেম এবং মিম-২৩ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও রাফালের বিমান হামলা প্রতিহত করতে পারেনি।

আবার মিসাইল হামলাটি কোন দেশ থেকে চালানো হয়েছিল তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না হলেও ফ্রান্সের তৈরি রাফাল জেট ফাইটার লিবিয়ার আকাশের অনেক গভীরে প্রবেশ করে এন্টি রেডিয়েশন মিসাইল হামলা চালিয়ে আবার নিরাপদে নিজ ঘাটিতে ফিরে গেলেও সামরিক বেসে থাকা তুরস্কের রাডার ধ্বংসের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আকাশে রাফালের উপস্থিতি এবং মিসাইলগুলো কোন ভাবেই সনাক্ত করতে সক্ষম হয় নি।

তাই এটা কিন্তু নিশ্চিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৫ এবং এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটারের পাশাপাশি ইউরোফাইটার তাইফুন কিংবা ফ্রান্সের তৈরি রাফেল এডভান্স ৪.৫ জেনারেশনের সেমি স্টিলথ জেট ফাইটার আসলেই একটি বিশ্ব মানের এবং যুদ্ধক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর জেট ফাইটার হিসেবে নিজের যোগ্য স্থান করে নিয়েছে।

আবার ২০১০ সালের দিকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে লিবিয়ার তৎকালীন গাদ্দাফি সামরিক বাহিনীর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে বিশ্ব মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে ইরাক এভং সিরিয়ায় আইএস দমনে অসংখ্য বার কমব্যাট এয়ার মিশনে সফতার সাথে অংশগ্রহণ করেছিল। আবার ফ্রান্সের তৈরি রাফাল জেট ফাইটারকে কিন্তু প্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করার পাশাপাশি ট্যাক্টিক্যাল নিউক্লিয়ার ওয়েপন্স বহন করার বিশেষ উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.