--- বিজ্ঞাপন ---

আফগান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের শুরুর মূখে একটি প্রদেশে বোমায় নিহত ২৭

0

আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের প্রায় ২০ বছর পর সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে আমেরিকা। আর সেনা প্রত্যাহারের শুরুতে শুক্রবারি একটি প্রদেশে শক্তিশালী বোমা হামলায় মারা গেছে ২৭ জন। আহত হয়েছে আরও ৯২ জন।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন জানিয়েছেন, অস্ত্রসহ কয়েক ডজন সেনাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মে মাস শুরুর আগেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবেন বলে কিছুদিন আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার অংশ হিসেবে এসব সেনা প্রত্যাহার করা হলো। মার্কিন নিউজ নেটওয়ার্ককে দেশটির সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেসরকারি নিরাপত্তা ঠিকাদার ও মার্কিন সরকারি কর্মীরাও আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করেছে।

গত সপ্তাহে সিএনএন জানিয়েছিল, সামরিক সরঞ্জামাদি আফগানিস্তানের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরের টুইন টাওয়ারে কথিত সন্ত্রাসী হামলার অজুহাত তুলে অক্টোবর মাসে সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধের নামে আমেরিকা ও ব্রিটেন আফগানিস্তানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। তালেবানকে উৎখাতের লক্ষ্য নিয়ে আগ্রাসন শুরু করলেও আজ পর্যন্ত তা সম্ভব হয় নি বরং তালেবানের শক্তি মেনে নিয়ে তাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হচ্ছে।

এদিকে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় লগার প্রদেশ এক শক্তিশালী গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার প্রাদেশিক রাজধানী পুলে আলমের আজ্‌র এলাকায় বিস্ফোরক বোঝাই একটি ট্রাকে বিস্ফোরণ ঘটলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। লগার প্রদেশের গভর্নর জানান, হতাহতদের মধ্যে বেশকিছু স্কুল শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রাদেশিক গভর্নর জানান বিশাল এই বিস্ফোরণ ঘটে সাবেক প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান দিদার লাওয়াংয়ের বাড়ির কাছে। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। লগার প্রাদেশি পরিষদের প্রধান হাসিবুল্লাহ স্তানেকজাই বলেন, ওই বাড়িটি বর্তমানে একটি গেস্ট হাউজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং গতকাল (শুক্রবার) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। সেসময় বহু রোজাদার মুসলমান ইফতারির জন্য সেখানে জাড়ো হয়েছিলেন।

হাসিবুল্লাহ স্তানেকজাই আরো জানান, ওই ভবনে বহুসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অবস্থান করছিলেন। আগামী কিছুদিনের মধ্যে আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।সূত্রঃ পার্স টুডে

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.