--- বিজ্ঞাপন ---

দক্ষিণ কোরিয়ায় কেন বার বার নিষেধাজ্ঞা, কি করবেন দেশে আটকে পড়া ইপিএস কর্মীরা

0

করোনাকালেও দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছে বিপুল চাকরি। প্রবাসী বাংলাদেশীরা সহজে এসব চাকরী পেতে পারেন। কিন্ত কোন কিছু হয়ে উঠছে না। দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক কোম্পানি মালিক বাংলাদেশী শ্রমিকদের ফিরিয়ে এনে চাকরি দিতে চায়, কিন্ত বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু গাফিলতির কারনে বার বার কোরিয়ার শ্রম বাজারে বাংলাদেশের শ্রমিকদের প্রবেশ বন্ধ হচ্ছে। দূতাবাস দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আনে কিন্ত পরে আবার সেই আগের অবস্থায় ফিরে যায়। কোরিয়া সরকার আন্তরিক হলেও পারছে না নিজেদের দোষে। দূতাবাসও এ অবস্থায় অনেকটা হতাশ। সমস্যা নিয়ে সবাই আলোচনা করেন, ইতিবাচক কথা বলেন, কিন্ত পরে দেখা যায় কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। অথচ এই একটি বাজার সক্রিয়ভাবে ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে। কোরিয়ার শ্রম বাজারে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা পিছিয়ে পড়ছি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, করোনা শুরু হওয়ার পর প্রথমবার গত বছরের ২৩ জুন কোরিয়ার সরকার বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই খবরটি কোরিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশ করার পর দূতাবাস সক্রিয় হয়। দূতাবাস করোনার সময় বাংলাদেশী কর্মীদের এবং যারা কোরিয়া আসার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছেন তাদের সাবধান করে দেয়। বাংলাদেশের সাথে প্রথম নিষেধাজ্ঞায় পাকিস্তানকেও নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে সে দেশের সরকার। জানা গেছে, এ সময় ছয়টি দেশ নিষেধাজ্ঞায় পড়ে। পাকিস্তান তাদের শ্রম বাজার ঠিক রাখতে মরিয়া হয়ে উঠে। পাকিস্তানে কোভিড পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় কোরিয়ার সরকার ইসলামাবাদের ভিসা আবেদন আবার চালু করে। এখনো পাকিস্তানের জনগণ কোরিয়ায় প্রবেশ করছে। প্রতি মাসে পাকিস্তান থেকে করোনা রোগী যাবার ব্যাপারে সে দেশের প্রশাসন কঠোর অবস্থা গ্রহণ করে। ফলে মাঝে মধ্যে ২/১ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়লেও কোরিয়ার সরকার তেমন আমলে নেয়নি। পাকিস্তানের বিষয়ে তারা ছাড় দেয়।

বাংলাদেশ দূতাবাস নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করে। বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে দূতাবাস সে দেশেরর সরকারকে বুঝায় বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সক্রিয় আছে। শেষপর্যন্ত দীর্ঘ ৮ মাস পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সে দেশের সরকার। নিষেধাজ্ঞা তোলার পর বাংলাদেশি কর্মীরা যাওয়া আসা শুরু করে করেন। এরই মধ্যে কোরিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সব জায়গায় বার বার তাগাদা দেয় যাতে কোভিড পজেটিভ কোন কর্মী যাতে কোরিয়ায় প্রবেশ না করেন। যারা যাচ্ছেন তারা যেন ভালো করে বিষয়টি যাচাই বাছাই করেন। কারণ একবার নিষেধাজ্ঞা তুলতে অনেক ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়। বার বার এ রকম হলে কোরিয়া বাংলাদেশ থেকে আস্থা হারাবে। কিন্ত কে শুনে কার কথা।

সূত্র বলছে, ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠার পর আবারও করোনা পজেটিভ কর্মী যেতে থাকে। ফেব্রুয়ারীতে কিছুটা কড়াকড়ি হলেও মার্চে ১৭ জন করোনা পজেটিভ কর্মী পাওয়া যায়। বিষয়টি দূতাবাসের জন্য বিব্রতকর হলেও তারা পরিস্থিতি সামলে নেয়। আবারও সংশ্লিষ্টদের সাবধান করে দেয় দূতাবাস। কিন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য এপ্রিলের ১৫ তারিখ পর্যন্ত যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ১৬ জনের করোনা পজেটিভ হলে কোরিয়া সরকার আর ছাড় দেয় নি। বাংলাদেশের উপর আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৩ জনের করোনা পজেটিভ। এ অবস্থায় দূতাবাসের কাছে সে দেশের সরকার ব্যাখ্যা চাইলেও দূতাবাসের কিছু করার থাকে না। করোনা পজেটিভ কর্মী যেন না যায় তার জন্য  দূতাবাসের সব রকম চেষ্টা বিফলে যায়। ১৬ এপ্রিল থেকে আবারও বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশের জন্য কোরিয়ার দরজা।

প্রশ্ন উঠেছে দায় কার?

বাংলাদেশের জন্য কোরিয়া বড় একটি সম্ভাবনাময় বাজার। কোরিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশীদের পছন্দ করে। তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশীরা বিশ্বস্ত। খুব একটা নিরুপায় না হলে বাংলাদেশীরা কোম্পানি ছাড়ে না। তারপরও কেন এ অবস্থা। বেশ কয়েকদিন ধরে ‘ স্পেশাল রিএন্ট্রি (কমিটেড) ৪২ জন প্রার্থীর ব্যাপারে বোয়েসেল একর পর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে যাচ্ছে। এসব প্রার্থীদের মধ্যে ৩২ জনই রেসপন্স করেছে। বাকিদের মধ্যে অনেকে যোগােযোগ করছে বলে জানা গেছে। কিন্ত দেশে আটকা পড়া প্রায় ২ হাজারেরও বেশি কর্মীর ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেই। সবচেয়ে বড় কথা হলো কর্মীদের মধ্যে অনেকে পুরানো প্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে কাজ করতে চায়। কিন্ত পুনরায় নিষেধাজ্ঞা সবার মনকে হতাশ করে দিয়েছে। তারা ভেবে পাচ্ছে না এখন কি করবে। বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ফলে এসব কর্মীরা আদৌ কোরিয়া যেতে পারবে কিনা এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

দূতাবাসের কোন বক্তব্য নেই

বিষয়টি কথা বলতে চাইলে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম কোন মন্তব্য করেন নি। তিনি সার্বিক ব্যাপারে বোয়েসেলের সাথে কথা বলতে বলেন। বোয়েসেল কতৃপর্ক্ষও এ ব্যাপারে দায় এড়িয়ে যান। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে গত ১২ এপ্রিল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সভাপতিত্বে যে জুম মিটিং হয় তাতে রাষ্ট্রদূত ষ্পস্টভাবে উল্লেখ করেন, কোরিয়া বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় বাজার। যা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। গত ২০২০ সালে ২৩ জুন কোরিয়া বাংলাদেশের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পর ১৯ জন কর্মীর করোনা পজেটিভ হয়ে কোরিয়া গমন করেন। রাষ্ট্রদূত এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুনরায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারঁ সাথে এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহিনও। তিনিও ইপিএস কর্মীদের সম্ভাব্য সকল ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ে কোরিয়া গমনের বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলেন। পরবর্তিতে দেখা যায় যা হবার তা হয়ে গেছে। কোরিয়া সরকার বাংলাদেশের উপর আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর ফলে আটকা পড়েছে বিপুল পরিমান ইপিএস কর্মী।

এটা কি অজ্ঞতা নাকি ইচ্ছেকৃত

এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে কেউ কি ইচ্ছে করে কোরিয়াতে বাংলাদেশের শ্রম বাজার নষ্ট করতে চাইছে। নাকি অজ্ঞতা। কোরিয়া সূত্র জানায়,কেউ বিমানবন্দরে নামার পর কোরিয়ান দূতাবাসের নির্ধারিত ১৩টি স্থানে আবারও পিসিআর পরীক্ষা করতে হয়। পরীক্ষায় পজিটিভ হলে নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আর নেগেটিভ হলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন শেষে আবারও পিসিআর পরীক্ষা করে ফল নেগেটিভ হলেই কর্মস্থলে যোগ দেওয়া যাবে। কোরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করে আসা সাংবাদিক ওমর ফারুক হিমেল বলেন, ৫ এপ্রিল ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। ২০২১ সালের মার্চের শেষে সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যা কোরিয়ান কর্তৃপক্ষের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন,প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে সরকার নির্ধারিত খরচ ৩০ লাখ উওনের (দুই লাখ ২৮ হাজার টাকা) বেশি। পরিস্থিতি সাপেক্ষে এক কোটি উওন পর্যন্তও খরচ হতে পারে। করোনা শনাক্ত বাংলাদেশিদের এখন এই ব্যয়ভার নিতে হচ্ছে। পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ ফল আসার পেছনে মূলত ব্যক্তিগত আইসোলেশন বা হোম কোয়ারেন্টাইন না মানার প্রবণতাকেই প্রধানত দায়ী করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বারবার চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার বিষয়ে। সম্প্রতি, বোয়েসেল, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কোরিয়াগামী বাংলাদেশিদের জন্য যাত্রার আগে দেশে কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় মিটিং সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু এখনো তার কোন প্রতিফলন নেই।

এখন কি করবেন বাংলাদেশে আটকে পড়ারা

কোরিয়াতে বাংলাদেশের বার বার নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশের সুনাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কোরিয়া যাবার আগে কেন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো কর্মীদের করোনার বিষয়টি সঠিকভাবে যাচাই করছে না। কয়েক জনের কারনে যে বিপুল সংখ্যক কর্মী যাবার প্রতিক্ষায় দিন গুনছিল তাদের কি হবে। কবে আবার স্বাভাবিক হবে সব কিছু। দূতাবাস কি আবারও কোরিয়া সরকারকে বুঝাতে পারবে। বলতে পারবে আর ভুল হবে না? দায় কি দূতাবাসের নাকি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টদের। এমন অনেকগুলো প্রশ্নের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে এখন কোরিয়ার শ্রম বাজারের ভবিষ্যত।

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার নানা সিদ্ধান্ত

১৬ এপ্রিল বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদানের আগে ১২ এপ্রিল আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছেঃ

(ক) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও বোয়েসেল-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়াগামী যাত্রীকে কোভিড টেস্ট সম্পন্ন করে ৭ দিনের বাধ্যতামূলক সঙ্গনিরোধ সম্পন্ন করতে হবে।
(খ) সাতদিনের সঙ্গনিরোধ থাকা অবস্থায় কোভিড টেস্ট শতভাগ নিশ্চয়তার স্বার্থে কোরিয়ান কিট দ্বারা সরকার অনুমোদিত একটি সুনির্দিষ্ট কোভিড সেন্টার থেকে টেস্ট শেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় গমন নিশ্চিত করতে হবে।
(গ) সকল যাত্রীদের ট্রাভেল বিমার ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

(ঘ) এইচআরডি কোরিয়ার চাহিদা মোতাবেক বিশেষ ফ্লাইটে ইপিএস কর্মী প্রেরণ নিশ্চিত করতে হবে।
(ঙ) ইপিএস কর্মী ছাড়া যারা দক্ষিণ কোরিয়া গমন করবে তাদের তথ্য কোরিয়ান দূতাবাস ঢাকা কর্তৃক বোয়েসেলকে সরবরাহ করতে হবে।
(চ) সঙ্গনিরোধ-এর পূর্বে কোভিড টেস্ট, সঙ্গনিরোধ এবং সঙ্গনিরোধ পরবর্তী কোভিড টেস্ট এর যাবতীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বহন করবে। এ বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

আবারও চেষ্টা চালাচ্ছে দূতাবাস

সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞার পরে কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আবারও তদবির করেছেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে কোরিয়া সরকারের সম্পর্ক ভালো। তারঁ বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকান্ড সে দেশে প্রশংসা পেয়েছে। রাষ্ট্রদূতের অনুরোধের পর তারা নজর রাখছে বাংলাদেশের কোভিড পরিস্থিতি উপর।  বাংলাদেশের কোভিড পরিস্থিতি উন্নতি হলে নিষেধাজ্ঞা উঠানো হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। একই সাথে কোরিয়ার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়া নিষেধাজ্ঞা উঠানোর বিষয়টি কোরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শের উপর নির্ভর করছে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.