--- বিজ্ঞাপন ---

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ

0

আজ ২৯ মে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী আমাদের দেশের সকল সেনা, নৌ, বিমান এবং পুলিশ বাহিনীর সম্মানিত নারী পুরুষ সদস্যের প্রতি রইল শুভকামনা ও ভালোবাসা। তাছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সকল দেশের শান্তিরক্ষীদের ত্যাগ ও অসামান্য অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

আসলে ১৯৪৮ সালে প্রথম বারের মতো জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা মিশন শুরু করা হয়। এর প্রথম মিশন ছিল ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরতি পালন ও বজায় রাখা। তারপর থেকে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬৩টি মিশনে অংশগ্রহণ করেছে, ১৭টি আজও অব্যাহত রয়েছে। ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার লাভ করে।

১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের ইরান-ইরাক মিলিটারি অবজারভেশন গ্রুপ (ইউনিমগ) মিশনে মাত্র ১৫ জন সেনা পর্যবেক্ষক প্রেরণের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ তার প্রথম যাত্রা শুরু করে। তাছাড়া পরবর্তী কয়েক বছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বেশ সুনামের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করে যায়।

১৯৯৩-৯৪ সালে সবচেয়ে আলোচিত রুয়ান্ডা, সোমালিয়া ও বসনিয়ায় এই তিনটি দেশে শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। দরিদ্র দেশের সেনাবাহিনী দক্ষতা এবং সামরিক জ্ঞানে রুয়ান্ডায় বেলজিয়ান, সোমালিয়ায় আমেরিকান ও বসনিয়ায় ফ্রান্স সেনাবাহিনীকে যে টেক্কা দিতে পারে তা জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তাদের ধারণার বাইরে ছিল। ফলে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সম্মান এবং গুরুত্ব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

২০২০ সালের ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের মোট আটটি যুদ্ধকবলিত দেশে এবং জাতিসংঘের সদর দপ্তরে মোট ৬,৭৩০ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এঁদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ছিলেন ৬৫০ জন। তাছাড়া ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘের অধীনে বিশ্বের ৪০টি দেশের ৫৪টি মিশনে শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে দেশের সম্মান ও গৌরব উচ্চস্থানে নিয়ে গেছেন।

১৮৮৮-৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আনুমানিক ১,৭২,০০০ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের অধীনে বিভিন্ন দেশে ও মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। আর এদিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী এই মিশনে দায়িত্ব পালন করে আসছে ১৯৯৩ সাল থেকে। বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরা এই মিশনে অংশ নিচ্ছেন ১৯৮৯ সাল থেকেই। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে প্রায় দুই হাজারের অধিক নারী শান্তিরক্ষী সদস্য বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধকবলিত দেশ ও অঞ্চলে সাফল্যের সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেন এবং আমাদের দেশের সম্মানিত নারীদের বৈশ্বিক পর্যায়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ এবং অবদান প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.