দেশে আসছে চীনের সিনোফার্মের করোনা টিকা। আর এই সিনোফার্মের তৈরি দুই চিনা টিকাই করোনা রুখতে সক্ষম। আমেরিকার ডাক্তারি গবেষণা পত্রিকা ‘জামা’ (জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)-য় প্রকাশিত হয়েছে ওই দুই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট। তাতেই এমন দাবি করা হয়েছে।
দুই চিনা টিকার একটির নাম ‘ডব্লুআইভি ০৪’। অন্যটির নাম ‘এইচবি০২’। গত বুধবার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই চিনা টিকা করোনা রুখতে যথাক্রমে ৭২.৮ শতাংশ এবং ৭৮.১ শতাংশ কার্যকর। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট সামনে আসার আগেই হাঙ্গারি, সার্বিয়া, সেশেলস, পেরু-সহ বিভিন্ন দেশে ওই দুই টিকা রপ্তানি করেছে চিন। তার মধ্যে সেশেলস এবং চিলিতে বহু মানুষকে ওই টিকা দেওয়ার পরেও নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়ায় টিকার কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল বিভিন্ন মহল।
গবেষণা পত্রিকা ‘জামা’য় প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব, বাহারাইন, মিশর এবং জর্ডনের মোট ৪০ হাজার ৮৩২ জনের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলেছে। স্বেচ্ছাসেবকদের তিনটি দলে ভাগ করে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দু’টি টিকা দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, টিকা দেওয়ার পর কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে ওই ট্রায়ালের কিছু সীমাবদ্ধতাও উল্লেখ করা হয়েছে। মোট অংশগ্রহণকারীদের ৮৫ শতাংশই ছিলেন পুরুষ, ৬০-ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের সংখ্যা ২ শতাংশেরও কম এবং অধিকাংশ স্বাস্থ্যবান।
উল্লেখ্য, চীনের চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ বা সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের দেড় কোটি টিকা কিনতে যাচ্ছে। বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় প্রথম চালানে সিনোফার্মের ৫০ লাখ টিকা জুনে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। তিন মাসে সিনোফার্মের কাছ থেকে দেড় কোটি টিকা কিনতে দুই পক্ষ তিনটি চুক্তি সইয়ের জন্য চূড়ান্ত করে ফেলেছে।#