--- বিজ্ঞাপন ---

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (জৈবযুদ্ধ) ঝুঁকির মুখে সারা বিশ্ব!

0

সারা বিশ্ব এখন করোনা নামক এক জৈব যুদ্ধ মোকাবেলা করে চলেছে। বিশ্বের এক নম্বর সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট জাপানের হিরোশিমা এবং ৯ই আগস্ট নাগাসাকিতে মানব ইতিহাসে্র অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং জঘন্যতম নিউক্লিয়ার অস্ত্রের প্রয়োগ করে বসে শুধুমাত্র নিজেকে বিশ্বের এক নম্বর সুপার পাওয়ার দেশ হিসেবে প্রকাশ করার জন্য। অথচ হিরোসিমায় ফেলা লিটলবয় নামক এটম বোমার ধ্বংস ক্ষমতা ছিল মাত্র ১৫ কিলোটন টিএনটি এবং নাগাসাকিতে ফেলা ফ্যাটম্যানের ধ্বংস ক্ষমতা ছিল ২২ কিলোটন টিএনটি। আর এই দুটি এটম বোমার আঘাতে জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মোট প্রায় ৪ লক্ষাধিক নিরীহ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। তাছাড়া জাপানের শহর দুটি নিউক্লয়ার হামলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়ে যায়।

আর এক বিংশ শতাব্দীতে এসে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ওহিও ক্লাস সাবমেরিনে থাকা মাত্র একটি ট্রাইডান্ট-২ ডি-৫ (এসএলবিএম) মিসাইলে ৬-৮টি ৪৫৫ কিলোটন টিএনটি ধ্বংস ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়ারহেড বহন করে। এদিকে রাশিয়ার সাইলো বেসড আরএস-৩৬/২৮ ইন্টারকন্টিন্যানটাল ব্যালেস্টিক মিসাইল ৮০০ কিলোটন টিএনটি ধ্বংস ক্ষমতা সম্পন্ন ১০টি ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। আর পুরো মাত্রায় কোল্ড ওয়ার চলাকালীন ১৯৬১ সালের ৩০শে অক্টোবর তৎকালীন সময়ে সভিয়েত ইউনিয়ন তাদের তৈরি অতি মাত্রায় ভয়ঙ্কর ৫০ মেগাটন টিএনটি ধ্বংসাত্বক ক্ষমতার তিন স্তরের এএন৬০২হাইড্রোজেন বোম্বস (জার বম্বস) পরীক্ষা করে সারা বিশ্বে এক ভীতিজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল।

তবে বলাই বাহুল্য যে, বিশ্বের বর্তমান সুপার পাওয়ার দেশগুলোর এই সমস্ত অতি ভয়ঙ্কর ও প্রাণঘাতী নিউক্লিয়ার এণ্ড থার্মোনিউক্লিয়ার মিসাইল কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে বেশ কয়েক বার মাটির সাথে মিশিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ঠ। আর এ মুহুর্তে বিশ্বের নয়টি দেশের অস্ত্র ভাণ্ডারে আনুমানিক ১৬ হাজারের কাছাকাছি নিউক্লিয়ার এণ্ড থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্রের বিশাল মজুত রয়েছে। যা প্রতিনিয়ত দেশগুলো গোপনে বৃদ্ধি করেই যাচ্ছে।

এগুলোর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের মতো দেশগুলোর কাছে হাজার হাজার টন রসায়নিক অস্ত্রের পাশাপাশি নিরব ঘাতক বায়োলজিক্যাল ওয়েপন্সের মজুত গড়ে তুলেছে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে ধ্বংস করার জন্য। তাই এভাবে ভবিষ্যতে আমাদের মানব সভত্যা ধ্বংসের জন্য সুপার পাওয়ার দেশগুলো আর কতই না ধ্বংসাত্বক নিউক্লিয়ার, থার্মোনিউক্লিয়া, বায়োলজিক্যাল, ক্যামিক্যাল অস্ত্র তৈরি করে রেখেছে যা কিনা বিশ্ব সমাজের একেবারেই ধারণার বাহিরে। হায়রে আমার উন্নত বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন।

তবে অত্যন্ত দূঃখজনক হলেও সত্য যে, এখন এই এক বিংশ শতাব্দী এসে সারা বিশ্ব আজ ২০২০ সালেরে শুরু থেকে (প্রাকৃতিক হোক কিংবা মানব সৃষ্ট কারণে) প্রাণঘাতী ও অতি ভয়ানক এক অজানা করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) বায়োলজিক্যাল বিশ্বযুদ্ধের মোকাবেলা করে যাচ্ছে। যা কিনা ঝড়ের গতিতে সারা পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। এখনো পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় ১৫ কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রায় ৩৩ লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। মরণব্যাধি ভাইরাস ব্যাপক মাত্রায় ইউরোপ এবং আমেরিকায় প্রভাব বিস্তার করে এখন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে ভারতে প্রতিদিন চার হাজারের কাছাকাছি মৃত্যুবরণ করছেন এবং আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় তিন লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ।

বর্তমানে বিশ্বের প্রথম পর্যায়ের সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করে, বিংশ শতাব্দীর প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের থেকেও অতীব ভয়াবহ হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। গবেষকের মতে, সারা বিশ্বের প্রায় ৭.০০ বিলিয়ন মানুষ ইতোমধ্যেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আঁচ পেতে শুরু করে দিয়েছে। করোনা মহামারির (কভিড-১৯) উৎপত্তিস্থল চীনের উহান হলেও আজ তা কিন্তু সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করলেও বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশগুলোর হুঁশ ফিরে এসেছে বলে মনে হয় না। আমেরিকা বলছে, উহান ল্যাবে চীনা বায়োলজিক্যাল বিজ্ঞানীদের গোপনে করোনা (কভিড-১৯) ভাইরাস তৈরি এবং তা পরিকল্পিতভাবে সারা বিশ্বের ছড়িয়ে দেয়ার মতো জঘন্য কাজের দায় কিন্তু চীন কোন ভাবেই এড়াতে পারে না। যদিও চীন বরাবরই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার নিজেদের সরাসরি সংশ্লিষ্ঠতার বিষয়টিকে অস্বীকার করে যাচ্ছে।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.