--- বিজ্ঞাপন ---

বিশ্ব মানের ক্ষেপনাস্ত্র তৈরিতে ইউরোপ-আমেরিকার কাছাকাছি তুরস্ক

0

তুরস্ক বর্তমানে তার নিজস্ব প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও দক্ষতাকে ব্যবহার করে বর্তমানে বিশ্ব মানের ক্ষেপণাস্ত্র, সামরিক সাজ সরঞ্জাম এবং যুদ্ধাস্ত্র তৈরিতে ইউরোপ এবং আমেরিকার প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে পৌছে যাচ্ছে। বিশেষ করে এফ-৩৫ স্টিলথ জেট ফাইটার প্রজেক্ট থেকে তুরস্ককে বের করে দেয়া হলেও এয়ার লাউঞ্চ বেসড এসওএম-জে স্ট্যান্ডঅফ স্টিলথ ক্রুজ মিসাইলটি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক লকহিড মার্টিন কর্পোরেশন এবং তুরস্কের রকেটসান যৌথভাবে ডিজাইন, উন্নয়ন, উতপাদন বিপণন করে থাকে।

আসলে তুরস্কের রকেটসান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লকহীড মার্টিন নতুন প্রজন্মের মাঝারি পাল্লার স্টিলথ স্ট্যাণ্ডঅফ ক্রুজ মিসাইলটিকে এফ-৩৫ এর নিজস্ব চাহিদার ভিত্তিতে যতটা সম্ভব উচ্চ প্রযুক্তির সিস্টেম সংযোজন করা হয়েছে। এয়ার লাউঞ্চ বেসড এসওএম-জে স্ট্যান্ডঅফ স্টিলথ ক্রুজ মিসাইলটিকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে যে কোন প্রতিকূল আবহাওয়ায় ৪০ হাজার পর্যন্ত ফুট উচ্চতা থেকে যুদ্ধবিমান কিংবা ড্রোন থেকে ভূমিতে থাকা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ব্যাংকার, সামরিক যান কিংবা স্থাপনা আবার সমুদ্রের বুকে থাকা জাহাজে সরাসরি হীট করে ধ্বংস করার সক্ষমতা প্রদান করে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

তুরস্কের নিজস্ব প্রযুক্তির তৈরি এসওএম-জে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে এখন তাদের শীর্ষস্থানীয় ড্রোন সিস্টেম সিস্টেম প্রস্তুতকারক বায়কার মাকিনার তৈরি আপ কামিং ‘আকেনসি’ হেভী কমব্যাট ড্রোন (ইউএভি) তে সংযোজন করবে। অন্যদিকে, এর আগে ২৪ অক্টোবর ২০১৪ সালে তুর্কী রোকেটসান এবং মার্কিন লকহিড মার্টিন এফ-৩৫ লাইটিং-২ এর অভ্যন্তরীণ ‘ওয়েপন্স-বে’ তে ইনস্টল করার জন্য যৌথভাবে এই নতুন প্রজন্মের এসওএম-জে স্ট্যাণ্ডঅফ ক্রুজ মিসাইল ডেভলপমেন্টের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। তবে তুরস্ককে এফ-৩৫ প্রজেক্ট থেকে সরিয়ে দেয়া হলেও মার্কিন লকহীড মার্টিন কিংবা অন্য যে কোন দেশই এখন নতুন প্রজন্মের এই মিসাইলটি ক্রয় করতে পারবে বলে জানিয়েছে তুর্কী রকেটসান কর্পোরেশন। তুরস্কের তৈরি স্ট্যাণ্ড অফ ক্রুজ মিসালের এসওএম-এ/বি সিরিজের রেঞ্জ ২৫০ কিলোমিটার হলেও এফ-৩৫ এর জন্য বিশেষভাবে কাস্টমাইজড করা এসওএম-জে সিরিজের স্ট্যাণশড অফ ক্রুজ মিসাইলের রেঞ্জ ১৮৫ কিলোমিটারের কাছাকাছি। তবে এতে উচ্চ প্রযুক্তির নতুন প্রজন্মের নেভিগেয়শন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। যা ক্ষেপণাস্ত্রটি একেবারে শতভাগ নিখুঁত আক্রমনের সক্ষমতা প্রদান করে। ৬০০ কেজি ওজনের এসওএম-জে ক্রুজ মিসাইলের গতি মাত্র ম্যাক ০.৯৪ হলেও এর নিজস্ব স্টিলথ ক্যাপাবিলিটি এবং অনেকটাই শব্দহীন হওয়ায় একে হামলার পূর্বে রাডারে সনাক্ত করাটা এক কথায় অসম্ভব। তাছাড়া আমেরিকার এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের ‘ওয়েপন্স-বে’ তে বাহিরের যে কয়েকটি দেশের অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছে তার মধ্যে তুরস্কের তৈরি এসওএম-জে স্ট্যাণ্ড অফ ক্রুজ মিসাইল অন্যতম।#

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.