--- বিজ্ঞাপন ---

নিজের বাড়িতেই খুন হলেন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েস

0

নিজের বাড়িতেই খুন হলেন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েস। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা বলে দেশটির গণমাধ্যম জানায়।

‘বুধবার ভোরে জোভেনেলের বাসভবনে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। সূত্রের খবর, একদল ব্যক্তি হঠাৎই তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁরা স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলছিল বলে জানা গিয়েছে। এ দিনের হামলায় গুরুতর আহত হন রাষ্ট্র প্রধান এবং তাঁর মৃত্যু হয়।’ ঘটনা প্রসঙ্গে হাইতির প্রধানমন্ত্রী ক্লাউড জোসেফ গণমাধ্যমকে এমনটিই জানান।

জোসেফ আরও জানিয়েছেন, ‘ঘটনায় তাঁর স্ত্রীও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, কিন্তু বেঁচে যান তিনি। এই ‘জঘন্য, অমানবিক ও বর্বর আচরণ’-এর তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। পাশাপাশি শান্তির বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গণতন্ত্র এবং প্রজাতন্ত্রের জয় হবে।’

ক্যারিবীয় সাগরের হিস্পানিওলা দ্বীপের পশ্চিম এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ে রাষ্ট্রটি গঠিত। দ্বীপের বাকী অংশে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র অবস্থিত। ১৮০৪ সালে হাইতি লাতিন আমেরিকার প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। এটিই দাসদের সফল বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট একমাত্র রাষ্ট্র। হাইতি প্রথমে স্পেনীয় ও পরে ফরাসি উপনিবেশ ছিল। হাইতির সংখ্যাগরিষ্ঠ আফ্রিকান দাসেরা ফরাসি ঔপনিবেশিকদের উৎখাত করলে হাইতি স্বাধীনতা লাভ করে। পর্তোপ্রাঁস দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।

এই পাহাড়ি দেশটি একসময় অরণ্যে আবৃত ছিল। বেশির ভাগ গাছই কেটে ফেলা হয়েছে, যার ফলে মৃত্তিকার ক্ষয় ঘটেছে। পল্লী অঞ্চলে কৃষকেরা পাহাড়ের পাদদেশে ক্ষুদ্রাকার জমিতে চাষবাস করে। অপুষ্টি ও বেকারত্ব হাইতির বড় সমস্যা।

সমগ্র ইতিহাস জুড়ে হাইতির জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে আছে ক্ষুদ্র একটি শিক্ষিত অভিজাত শ্রেণী, যারা বেশির ভাগ সম্পদ ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী। অন্যদিকে আছে বিশাল নিম্নবিত্ত শ্রেণী যাদের কোন ক্ষমতা নেই। বর্তমানে হাইতি পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। অনেক হাইতীয় দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।

হাইতির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ইতিহাস দীর্ঘ। দেশটিতে অনেকগুলি স্বৈরশাসক শাসন করেছেন। এদের মধ্যে ফ্রঁসোয়া দুভালিয়ে-র নাম উল্লেখযোগ্য। ২১শ শতকের প্রারম্ভে এসে হাইতি একটি গ্রহণযোগ্য সরকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা চলছিল।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.