--- বিজ্ঞাপন ---

বাংলাদেশের কাছে ৩১টি ম্যাক্সপ্রো সামরিক যান হস্তান্তর করেছে আমেরিকা

0

বিগত তিন দশক থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা ও কর্মী সরবরাহে বৃহত্তম দেশ হিসেবে সগৌরবে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। তবে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সাথে পারস্পারিক যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি কিংবা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ক্রয়ে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বিশেষ করে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যুদ্ধ কবলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশের সেনাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক সামরিক সাজ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই অতীব জরুরী এবং এই সামরিক প্রস্তুতির লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সাথে গভীরভাবে কাজ করে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি জুলাই মাসের ১৭ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধক্ষেত্রে মাইন প্রতিরোধী ও চোরাগোপ্তা হামলা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে এমন উচ্চ প্রযুক্তির ৩১টি ম্যাক্সপ্রো সামরিক যান মাইন রেজিস্ট্যান্ট এমবুস প্রটেক্টেড (এমআরএপি) গাড়ি এবং তার সাথে ৩টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মেটালিক শার্কবোট বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী ও অত্যন্ত শক্তিশালী করে তৈরি করা সামরিক যান (এমআরএপি) বা Mine Resistant Ambush Protected (MRAP) জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদেরকে যুদ্ধকবলিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল ও মিশন পরিচালনার সময় সময় সন্ত্রাসী বা যুদ্ধরত মিলিশিয়াদের পেতে রাখা আইইডি বিস্ফোরক বা Improvised Explosive Devices (IED) থেকে যতটা সম্ভব সুরক্ষা দিবে। অন্যদিকে মেটালিক শার্ক বোটগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নদী তীরস্থ ব্যাটেলিয়নের জন্য কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্রয়কৃত মোট ৫০টি এম আরএপি সামরিক যান এবং ৭টি মেটালিক শার্কবোটের প্রথম চালান। আর এই মোট ৫০টি সামরিক যান এবং ৭টি মেটালিক শার্কবোটের মূল্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে। যার মধ্যে মার্কিন সরকার নিজেই ১৩ মিলিয়ন ডলার অনুদান হিসেবে প্রদান করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মাইন রেজিস্ট্যান্ট এমবুস প্রটেক্টেড (এমআরএপি) বা সামরিক যানগুলো ক্রেতার চাহিদা বা কাস্টমাইজড অনুযায়ী ওজন ১৪টন থেকে ১৮ টন পর্যন্ত হয়ে থাকতে পারে এবং এর উচ্চতা হয় ৯ ফিট।

উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, প্রতিটি এই জাতীয় সামরিক যানের মূল্য ৫ লক্ষ ডলার থেকে ১.০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকতে পারে। ২০২১ সালের মে মাসের হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে জাতিসংঘের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ৬,৭৪২ জন সম্মানিত শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছেন। এই ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ৬,২৪১ জন এবং পুলিশ সদস্য ৫০১ জন কর্মরত রয়েছেন। আবার সামরিক বাহিনীর মধ্যে সেনাবাহিনীর ৫,৩০৮ জন, নৌবাহিনীর ৩৪৫ জন এবং বিমান বাহিনীর ৫৮৮ জন শান্তিরক্ষী কর্মরত আছেন। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি মহিলা শান্তিরক্ষীর সংখ্যা ২৮৪ জন। যার মধ্যে সেনাবাহিনীর ১১৯ জন, নৌবাহিনীর ৫ জন, বিমানবাহিনীর ১০ জন ও পুলিশের ১৫০ জন রয়েছেন।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.