--- বিজ্ঞাপন ---

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের প্রতি আন্তরিক, বিমান বন্দরে পিসিআর ল্যাব প্রসঙ্গে সুজন

0

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই প্রবাসীদের প্রতি আন্তরিক বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। শুক্রবার  সকালে আরব আমিরাত প্রবাসীরা বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন বিষয়ে নিবিড় সহযোগিতা করায় সুজনকে ধন্যবাদ জানাতে গেলে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন দেশের বিমানবন্দরসমূহে পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা না থাকার কারণে যথাসময়ে কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারছে না করোনাকালীন সময়ে ছুটিতে আসা আরব আমিরাত প্রবাসীরা। ফলে উৎকন্ঠায় পড়ে প্রায় লক্ষাধিক আরব আমিরাত প্রবাসী। সঠিক সময়ে কাজে যোগদান না করলে চাকরি হারানো এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার শঙ্কায় তারা বিমানবন্দরসমূহে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে নানামূখী কর্মপন্থা গ্রহণ করে। এরই ফলশ্রুতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশের তিন বিমানবন্দরে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ প্রদান করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে ইতিমধ্যে সাতটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুমোদন প্রদান করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। যথাসময়ে বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করলে সঠিক সময়ে কাজে যোগদান করতে পারবেন আরব আমিরাত প্রবাসীরা। এর ফলে দেশে আটকে থাকা প্রবাসী ছাড়াও তাদের পরিবার পরিজন ভয়াবহ উৎকন্ঠা থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে কিছু দুষ্টচক্রের কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনহিতকর উদ্যোগগুলো বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। কোন ধরণের দুষ্টচক্রকে জনগন মানবেনা বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। এক কোটিরও বেশি প্রবাসী রেমিটেন্স প্রেরণ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। প্রবাসীদের দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য দেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ বিনিয়োগের উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি ও প্রবাসীদের কল্যাণে উদারতা নিয়ে কাজ করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। করোনাকালীন সময়ে বিদেশে যাওয়া প্রবাসী কর্মীদের কোয়ারেন্টিনের জন্য ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি প্রবাসী কর্মীদের আলাদাভাবে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে যারা চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বৈধ চ্যানেলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এভাবেই নানামূখী পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রবাসীদের সবসময়ই উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যা প্রবাসীদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ মনযোগ বলে উল্লেখ করেন সুজন। তিনিও দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বলেন প্রবাসীরা চাইলে দেশের জাতীয় উন্নয়নে অংশীদার হতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে এগ্রো বেইজড শিল্প স্থাপনে প্রবাসীদের বিনিয়োগ করারও আহবান জানান। প্রবাসীরা তাদের সুবিধা অসুবিধায় সবসময় সুজনকে তাদের কাছে পাওয়া এবং বিশেষ করে পিসিআর ল্যাব স্থাপনে আন্তরিকতার সাথে সব মহলে নিবিড় যোগাযোগ রাখায় তাঁকে ফুল দিয়ে ও মিষ্টি খাইয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রবাসীদের যে কোন সমস্যায় বর্তমানের মতো তাদের পাশে থাকার অনুরোধ জানান তারা।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মো. ইলিয়াছ, আরব আমিরাত প্রবাসী প্রকৌশলী এস এম মহিউদ্দিন বেলাল রনি, মোহাম্মদ নেওয়াজ কবির, মোজাম্মেল হক, ছাত্রনেতা জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, মোহাম্মদ হেলাল, মোহাম্মদ রাসেল, মো. সিরাজ সুজন, এস এম সোলাইমান প্রমূখ।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.