--- বিজ্ঞাপন ---

যুক্তরাষ্ট্রগামী ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধার্থে”সুপার ফ্রাইডে”আয়োজন করল যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস

0

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকা গত শুক্রবার “সুপার ফ্রাইডে” নামের এক বিশেষ কর্মদিবসে অনভিবাসী শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদনকারী প্রায় ৬০০ জন শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এই আয়োজন একটি প্রচারণা কার্যক্রমের অংশ, যেন দূতাবাস এধরনের ভিসার চাহিদা মেটাতে পারে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিনিময় ও শিক্ষার্থীদের চলাচল ব্যাহত হলেও, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকা নিয়মিত কনস্যুলার সেবা চালু করেছে, এবং শরৎকালীন সেমিস্টারের আগেই যত বেশি সম্ভব শিক্ষার্থীর জন্য সাক্ষাৎকারের সুযোগ নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এই বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে, নির্ধারিত কিছু শুক্রবার শুধু শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নিতে ব্যয় করা। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুল জেনারেল উইলিয়াম ডাওয়ারস বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়ন যে একটি অনন্য সুযোগ এনে দেয় তা আমরা স্বীকার করি, এবং আমরা শিক্ষার্থী ভিসা সাক্ষাৎকারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।” যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকা আগামী শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২ আরেকটি সুপার ফ্রাইডে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্র এখনও উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে, এটি ২০০ টিরও বেশি দেশ থেকে ৯১৪,০০০-এর বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে। আমেরিকার ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে, এবং সবাই মিলে বর্তমান ও ভবিষ্যতের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা তাদের আমেরিকান সহপাঠীদের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলে। গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়ে সাড়ে আট হাজারে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ওপেন ডোরস রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে গোটা বিশ্ব থেকে আমেরিকায় শিক্ষার্থী প্রেরণে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলো মধ্যে ১৪ তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ; ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ১৭ তম স্থান থেকে তিন ধাপ এগিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, মহামারির গোটা সময় জুড়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত এবং উদার রয়েছে। সশরীরে, অনলাইনে এবং হাইব্রিড শিক্ষণ কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিরাপদে স্বাগত জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন পদ্ধতি বাস্তবায়ন করেছে; বিশ্বজোড়া সংকটের সময় শিক্ষার্থীদের নানা সুযোগ সুবিধা প্রদান করে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী চলাচল এবং বৈশ্বিক উচ্চ শিক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের যে অঙ্গীকার, এটি তারই উদাহরণ।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার সুযোগ নিতে আগ্রহী যে কেউ এডুকেশনইউএসএর মাধ্যমে এই বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন। এটি ৪৩০ টিরও বেশি শিক্ষাগত পরামর্শ কেন্দ্রের একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক, যা গোটা বিশ্বের ১৭৫টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলে কাজ করছে। এই কেন্দ্রগুলোর লক্ষ্য হল, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে সঠিক, বিশদ ও হালনাগাদ তথ্যের অ্যাক্সেস প্রদান করা। কেন্দ্রগুলোতে রয়েছেন প্রশিক্ষিত সব উপদেষ্টা, যারা যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত প্রচুর তথ্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংযোগ ঘটিয়ে দিতে তৈরি আছেন। উপদেষ্টারা একক ও দলগত ভার্চুয়াল পরামর্শ সেশন, ওয়েবিনার, ভার্চুয়াল কলেজ ফেয়ার এবং অধিকতর সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতির সুযোগ দিচ্ছেন, এবং তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সংযোগ গড়ে দিতে সাহায্য করতে পারেন, যেন শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন এবং শিক্ষার্থীদের তাদের একাডেমিক ও ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য সঠিক প্রতিষ্ঠান খুঁজে পেতে সাহায্য করবেন। তাঁরা অপশনাল প্র্যাক্টিকাল ট্রেনিং (ঐচ্ছিক ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ) সম্পর্কে বোঝাতেও সাহায্য করতে পারেন, যা ডিগ্রি অর্জনের পর নিজক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য অনেক শিক্ষার্থীকে কিছু সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ করে দেয়।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.