--- বিজ্ঞাপন ---

কি এই ‘লেপার্ড -২’ ট্যাংক , কেন এত হৈচৈ?

0

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বিশেষ সংবাদাতা #

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে অতি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে জার্মানীতে তৈরী যুদ্ধের ৬০টন ওজনের ভারী ট্যাংক ‘লেপার্ড-২’। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোয় যোগদান ঠেকাতে গত বছর ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। সেই অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামরিক সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক লেপার্ড ২ ও এম১ আব্রাম ট্যাংক দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। সবমিলিয়ে ৩২১টি ট্যাংক পাচ্ছে কিয়েভ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এসব ট্যাংক ইউক্রেনে এসে পৌঁছাবে। রাশিয়া এখনও ইউক্রেনের প্রায় ১০ থেকে ১২ শতাংশ ভূখণ্ড তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জার্মানি জানিয়েছে তাদের লক্ষ্য ইউক্রেনের জন্য লেপার্ড ২ ট্যাঙ্ক সহ দুটি ব্যাটালিয়ন দ্রুত স্থাপন করা এবং প্রাথমিকভাবে নিজস্ব তালিকা থেকে ১৪টি লেপার্ড ২ ট্যাঙ্ক সরবরাহ করা। একটি ব্যাটালিয়নে সাধারণত তিনটি বা চারটি কোম্পানি থাকে যার প্রতিটিতে প্রায় ১৪টি ট্যাঙ্ক থাকে। পোল্যান্ডও ১৪টি ট্যাংক দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ব্রিটেন তার নিজস্ব ১৪টি চ্যালেঞ্জার ট্যাংক দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রায় চার মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যমানের এই জার্মান ট্যাঙ্ককে ‘বিশ্বের সেরাদের মধ্যে একটি’ বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশী মুদ্রায় এধরনের একটি ট্যাংকের দাম পড়বে ৫০ কোটি টাকারও বেশী। জার্মান Leopard-2 ট্যাঙ্কগুলি প্রায়শই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্কগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু সিরিয়ায় আইএসআইএস-এর বিরুদ্ধে তুরস্ক পরিচালিত লেপার্ড-২ ট্যাঙ্কগুলি কীভাবে কাজ করেছিল? জার্মান-তৈরি একসময় বিশ্বের সেরা বলে আখ্যায়িত সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে এটি সামান্য গেরিলা যুদ্ধে ধ্বংস হওয়ার ছবি প্রকাশের পর হৈচৈ পড়ে যায়। সিরিয়ার সংঘাতের ছবি এবং ভিডিওগুলিতে দেখায যায় যে, এর ৪ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ট্যাগ, V12 টুইন-টার্বো ইঞ্জিন, শক্ত ইস্পাত এবং টাংস্টেন থেকে তৈরি শেল এবং সর্বোচ্চ গতি থাকা সত্ত্বেও, Leopard 2 যুদ্ধক্ষেত্রে বিশেষভাবে ভাল চলছে না।
সিরিয়ায় ব্রিটিশ-পশ্চিমা সমর্থিত কুর্দিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জার্মানীর দেয়া তুরস্কের কেনা লেপার্ড-২ ট্যাংক তেমন কার্যকর ভূমিকা দেখাতে পারেনি। ২০১৬ সালের আগস্টে তুরস্কের সিরিয়ায় কুর্দীদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ‘ইউফ্রেটিস শিল্ড’ নামে পরিচিত সামরিক অভিযানে মাইনের আঘাতে বিধ্বস্ত লেপার্ড ২ ট্যাঙ্কের ধ্বংসবাশেষের সংবাদ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ইসলামিক স্টেট পরবর্তীতে অনলাইনে একটি নথি প্রকাশ করে যেখানে ১০টি লেপার্ড ট্যাঙ্ক ধ্বংসের ফটোগ্রাফিক প্রমাণ দেখায় যার মধ্যে পাঁচটি ট্যাঙ্ক-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্য দুটি মাইন বা আইইডি দ্বারা, একটি রকেট বা মর্টার ফায়ার দ্বারা এবং অন্যগুলি আরও অস্পষ্ট। ১৯৭০ এর দশকের শেষ থেকে আজ পর্যন্ত, ৩,০০০ এরও বেশি ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হয়েছে যার প্রতিটির মূল্য প্রায় £৪ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং। তুরস্ক তাদের মধ্যে ৩৫৪টি কিনেছে এবং উত্তর সিরিয়ার শহরগুলিতে কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের ব্যবহার শুরু করেছে। কিন্তু এসব ট্যাংক অকার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে। তুরস্কের ট্যাঙ্ক মোতায়েন করার ছবি দেখানোর পর জার্মান সরকার অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে পড়ে।
অপরদিকে সিরিয়ায় লেপার্ড খোয়ানোর এ ঘটনা তুরস্ককে ক্ষুব্ধ করে তোলে এবং অবিলম্বে জার্মানি ট্যাংকগুলির নিরাপত্তায় নতুন প্রটেকশন ব্যবস্থা সহ আপগ্রেডের জন্য জার্মানীর নিকট দাবী করে। তুরস্ক লেপার্ড ট্যাংকগুলিতে প্রজেক্টাইল সনাক্ত করতে এবং পাল্টা ব্যবস্থা শুরু করতে সক্ষম অ্যাক্টিভ প্রোটেকশন সিস্টেম (এপিএস) যুক্ত করার দাবি করে। তুরস্ক বুঝতে শুরু করে তাদের ট্যাঙ্কগুলি কুর্দী গেরিলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ভাল করতে পারছিল না এবং এক্ষেত্রে তাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ম্লান হয়ে যায়। তুরস্ক আফরিন এবং মানবিজের সিরিয়ার ছিটমহলগুলিতে কুর্দি যোদ্ধাদের হত্যা করার জন্য লেপার্ড ২ ট্যাংক ব্যবহার করছে এমন প্রতিবেদনের পরে জার্মানি তুরস্কের উপর পরবর্তীতে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরে ফলে জার্মানিকে ট্যাংকগুলিকে নতুন আপগ্রেড দেওয়ার জন্য রাজি করাতে তুরস্কের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তুরস্ক সোভিয়েত যুগের ট্যাঙ্কগুলির আপগ্রেডের জন্য দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির দিকে যেতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৪আগস্ট, তুর্কি সামরিক বাহিনী আইএসআইএসের উপস্থিতি থেকে উত্তর সিরিয়ার ভূখণ্ড মুক্ত করার জন্য ‘ইউফ্রেটিস শিল্ড’ অপারেশন শুরু করে। তুরস্ক ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) এর সিরিয়ার বিদ্রোহী দলগুলির সাথে আন্তঃসীমান্ত সামরিক অভিযান চালয়েছিল। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে আলেপ্পোর প্রায় ৪০ কিলোমিটার পূর্বে আল-বাব শহরে পৌঁছানো পর্যন্ত তুর্কি সামরিক অভিযান সফলভাবে চালিয়েছিল, যেখানে সাঁজোয়া যানগুলি দায়েশ এবং কুর্দি ক্ষেপণাস্ত্রের বাধার মুখোমুখি হয়েছিল। তুরস্ক যুদ্ধক্ষেত্রে সেরা ট্যাঙ্ক জার্মান লিওপার্ড ২এ৪ কিনেছিল।
২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে তুরস্ক জার্মানি থেকে ৩৫৪টি Leopard 2A4 ট্যাঙ্ক কিনেছিল তুরস্ক। যখন দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক ভাল ছিল, উভয়ই ন্যাটো সদস্য । এটা বোঝা যায় যে বিক্রিটি বেশ কয়েকটি শর্তে সম্মত হয়েছিল – যার মধ্যে একটি হল তুরস্ক তাদের কুর্দিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে না।যদিও এটি পরিষ্কার নয় যে শর্তগুলি কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মত হয়েছিল কিনা, ২০১৬ পর্যন্ত এটা মনে হয় যে ট্যাঙ্কগুলি কোনও কুর্দিদের সংঘর্ষে ব্যবহার করা থেকে থেকে দূরে ছিল। তুরস্কের মার্কিন নির্মিত পুরোনো মডেলের প্যাটন এম-60 ট্যাঙ্কগুলি দিয়েই গঠিত দেশটির সাঁজোয়া ব্রিগেডগুলির একটি বড় অংশ।
তারা আশা করেছিল যে লেপার্ড ট্যাংক আইএসআইএস-এর ট্যাঙ্ক-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত বিস্ফোরকগুলির মোকাবেলা করবে যা এর আগে সেদেশের অনেক মার্কিন নির্মিত এম-৬০ প্যাটন ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছিল। কিন্তু তাদের ট্যাঙ্কগুলি কাউন্টারফায়ারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একাধিক লেপার্ড ট্যাঙ্কের সাথে প্রতিপক্ষের ফায়ারপাওয়ারকে মোকাবেলা করতে পারেনি। আল-বাব যুদ্ধের সময় তুরস্কের মোট এগারোটি ট্যাংক, তিনটি পদাতিক (মোবিলিটি) ফাইটিং ভেহিকেল এবং একটি সাঁজোয়া কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানা গেছে।অবশ্য তুরস্ক পরে নিজ দেশের নিজস্ব অস্ত্র উৎপাদনকারী কোম্পানীগুলির মাধ্যমে দেশীয় প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত প্রটেকশন সিস্টেম দিয়ে ট্যাংকগুলিকে লেপার্ড ২এ৪ 2NG পর্যায়ে উন্নীত করা শুরু করে। Leopard 2A4 ট্যাঙ্কগুলিকে তুর্কি কোম্পানি Aselsan দ্বারা স্ট্যান্ডার্ড NG (Next Generation) তে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। আপগ্রেডগুলির মধ্যে একটি নতুন আর্মার প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তুরস্ক 84 টি ট্যাংক আধুনিকীকরণ করছে এবং এর নাম পরিবর্তন করা হবে Leopard 2A4TR। আধুনিকীকরণ কার্যক্রম রোকেতসানকে দেওয়া হয়েছিল এবং প্রথম ট্যাঙ্কটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুর্কি সেনাবাহিনীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। আধুনিকীকরণের ফলে ট্যাঙ্কগুলিকে নতুন ERA প্যানেল, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম এবং পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেমের সম্পূর্ণ ওভারহল দিয়ে সজ্জিত করা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন যে এসব ট্যাঙ্কের ক্ষতির জন্য তুরস্ক আংশিকভাবে দায়ী, কারণ Leopard 2s কে কোনো পদাতিক সহায়তা ছাড়াই একটি উন্মুক্ত পরিবেশে মোতায়েন করা হয়েছিল এবং তাদের অতর্কিত আক্রমণের জন্য ঝুঁকির মধ্যে রেখেছিল। এসব বিশেষজ্ঞ যুক্তি দেখান যে , লেপার্ড ২এ৪ মডেলটি সম্পূর্ণ ভিন্ন যুদ্ধের পরিবেশে লড়াই করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। যুদ্ধে সাঁজোয়া ব্রিগেডগুলি পদাতিক স্থল বাহিনী এবং অন্যান্য সমর্থন যানবাহনগুলির সহায়তার এটি অত্যন্ত মোবাইল কেন্দ্রীভূত ইউনিটে চলাচল করবে। তুরস্কের পরিস্থিতি সেরকম ছিলনা বলেই এতগুলি ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে অপ্রচলিত আমেরিকান M48 প্যাটনের প্রতিস্থাপনের জন্য প্রথম প্রবর্তন করা হয়েছিল, কারণ তাদের আরও সঠিক ফায়ারপাওয়ার, গতিশীলতা এবং বলিষ্ঠ বর্মের কারণে, লিওপার্ড ট্যাঙ্কগুলি শীঘ্রই জার্মান ট্যাঙ্ক শিল্পের গল্ফ (ভক্সওয়াগেন) হিসাবে বিখ্যাত হয়ে ওঠে। জার্মান অস্ত্র প্রস্তুতকারক ক্রাউস-মাফি ওয়েগম্যান এই ৬০-টন যুদ্ধ ট্যাঙ্কের প্রায় ৩,৫০০টি Leopard 2 সংস্করণ তৈরি করেছে। একটি ১২০ মিমি স্মুথবোর গান দিয়ে সজ্জিত, Leopard 2 ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিতে ৭০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। এর অন্যান্য সমসাময়িক ট্যাংকের মধ্যে উদাহরণস্বরূপ আমেরিকার আব্রামস এবং ফ্রান্সের লেক্লারক, জার্মান লেপার্ড৩,৫০০ গজ দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা রয়েছে। Leopard 2 এছাড়াও মাইন, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ফায়ার এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের মতো হুমকি থেকে সার্বক্ষণিক সুরক্ষা প্রদান করে। ক্ষমতা, গতিশীলতা এবং সুরক্ষার এই সংমিশ্রণটির সুস্পষ্ট কারণে ইউক্রেনীয়দের কাছে জার্মান লেপার্ডিই প্রথম পছন্দ।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ আর কতদিন চলবে তার হিসাব কারও কাছে নেই। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রথম মিত্র দেশ হিসেবে ইউক্রেনে চারটি লেপার্ড ট্যাংক পাঠালো পোল্যান্ড। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ট্যাংক পাঠানোর কথা জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা। এর আগে জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ ট্যাংক পাঠানো ঘোষণা দিলেও, সেগুলো এখনো ইউক্রেনে পৌঁছেনি।
Leopard 2A4 ট্যাঙ্কের তুলনা করা যায় আমেরিকান M1 Abrams যা মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক (আপগ্রেড ভেরিয়েন্টে)। দুটি ট্যাঙ্ক – বিশ্বের সেরা হিসাবে বিবেচিত – উভয়ই বড় যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে এবং তাদের ব্যবহারকারীদের বিজয় আনতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ১৯৯১ সালে ইরাকে যুদ্ধে এই দুই মডেলের ট্যাংক অতি কার্যকর ভূমিকা রাখে। ১৯৯১ সালের ইরাক যুদ্ধে M1 তার প্রথম অ্যাকশন দেখেছিল, ২,০০০ টিরও বেশি ইরাকি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছিল এবং একটি আব্রাম ট্যাঙ্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। উভয় ট্যাঙ্কের মাঝারি এবং দীর্ঘ রেঞ্জে বেশিরভাগ রাশিয়ান-নির্মিত ট্যাঙ্ককে পরাস্ত করার ক্ষমতা রয়েছে, যেখানে চেসিসটি স্ট্যান্ডার্ড ১২৫-মিলিমিটার গান থেকে ছোড়া গোলা প্রতিরোধ করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। Leopard 2 এর মত, M1 অনেক আপগ্রেড এবং ভেরিয়েন্ট পেয়েছে, এটিকে আধুনিক যুদ্ধের জন্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলেছে। M1 30mph এর সর্বোচ্চ গতির সাথে 62.6 টন এর সমকক্ষের তুলনায় বড়। সামগ্রিক পারফরম্যান্সে, লিওপার্ড 2 বুনিয়াদি, যেমন বর্ম, ওজন এবং গতিতে আব্রামের থেকে উচ্চতর স্থান পেয়েছে।
এদিকে ইতোমধ্যে এসব ট্যাংক ধ্বংস করার বিনিময়ে রুশ সৈন্যদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে রাশিয়ার উরাল অঞ্চলভিত্তিক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী কোম্পানি ফোরেস। এদিকে রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানি জানায়, রুশ সেনারা যদি লেপার্ড ২ বা এম১ আব্রাম ট্যাংক দখল কিংবা ধ্বংস করতে পারে তাহলে ট্যাংক প্রতি নগদ ৫০ লাখ রুবল পুরস্কার দেয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকার সমান।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.