--- বিজ্ঞাপন ---

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন বলা হয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড

0

বৃটিশ শাসন আমলে আমাদের দেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হতো। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এর পেছনে আসলে অনেক যুক্তিসঙ্গত কারণও ছিল। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম যোগ্য উপাচার্য হিসেবে পি জে হার্টগ (ফিলিপ জোসেফ হার্টগ) দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর বদলে যেতে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা। পি জে হার্টগ ছিলেন মূলত রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রিধারী একজন বৃটিশ ইহুদি নাগরিক। তাছাড়া স্যার পি. জে. হার্টগ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য এবং তিনি ১৯২০ সালের ১ ডিসেম্বর উপাচার্য হিসেবে তার দায়িত্ব বুঝে নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পরই তিনি সে সময়ে দেশের শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত ও গুণীজনদের খুঁজতে লাগলেন।

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ঢাকার গর্ভনরের সুপারিশ পর্যন্ত তোয়াক্কা করেন নি। তিনি দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, মোতাহের হোসেন, সত‍্যেন্দ্রনাথ বোস, জ্ঞান ঘোষ, এম এন কৃষ্ণন এর মতো খ্যাতিমান, গুণীজন ও প্রজ্ঞাবান পন্ডিতদের বেছে বেছে ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয়ে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

যদিও আজ থেকে শত বছর আগে বৃটিশ আমলে পশ্চিম বাংলার অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিদের চরম বিরোধিতা এবং বাধা সত্ত্বেও বৃটিশ সরকার পূর্ব বাংলায় শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ঢাকায় একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়। যার আলোকে ১৯২১ সালে স্থাপিত হয় আমাদের প্রাণের প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যা ছিল মূলত স্যার স্যাডলর শিক্ষা কমিশন ১৯১৭ এর প্রস্তাবনার প্রতিফলন। আর দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী শিক্ষকদের পদচারণায় ও অংশগ্রহণে সে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক আদর্শ এবং শ্রেষ্ঠ উচ্চস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ নামে আত্মপ্রকাশ করেছিল। #

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.